তাছাড়া শোয়ার ঘরে অন্যান্য কাজের ওপরও বিভিন্ন রঙের প্রভাব রয়েছে। হলুদাভ বাদামি কিংবা গাঢ় অফ হোয়াইট রঙের ঘরে দম্পতিদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ লাল রঙের ঘরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ ঘটে। ধূসর রঙের ঘরে বসবাসকারীদের মধ্যে আলস্যভাব বেশি দেখা যায়। যেখানে সাদা কিংবা রুপালি ঘরে বাস করলে পরিশ্রমী হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
নীল রঙে ভালো ঘুম
শোয়ার ঘরের দেয়াল ও ব্যবহূত পর্দা, চাদর, কুশন, আসবাবের রঙ কিংবা বৈদ্যুতিক আলো সবকিছু মিলিয়ে একটি রঙের আবহ তৈরি হয়। মানুষের মন-মেজাজের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি হয়তো। সম্প্রতি ইউরোপের গবেষকরা ঘুমের ওপর বিভিন্ন রঙের প্রভাব নিয়ে এক গবেষণার ফলা প্রকাশ করেন। আমাদের চোখের রেটিনায় গ্যাংলিন নামক সংবেদক থাকে, যা বিভিন্ন রঙের আবহে মন ও মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মনে ২৪ ঘণ্টার ছন্দ ধরে রাখতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শোয়ার ঘরে কোন রঙ ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক আর কোনটি ব্যাঘাত ঘটায় চলুন জেনে নিই।
নীল সবসময়ই বেদনার রঙ নয়। রাতে ভালোমতো ঘুমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে রঙটি। নীলের প্রভাবে গ্যাংলিন বেশ প্রশান্ত সংকেত পাঠায় আমাদের মস্তিষ্কে। শোয়ার ঘর নীল হলে গড়ে আট ঘণ্টার মতো নির্বিঘ্নে ঘুমানো যায়। তাছাড়া নীল আলোয় ঘুমটি গাঢ় ও বেশ ক্লান্তিনাশক হয়। সকালে জেগে উঠে নীলে চোখ মেললেই একটি সুখী ও ইতিবাচক বোধ জাগ্রত হয় মনে। সবুজ ও হলুদও ঘুমের জন্য ভালো। এ রঙগুলো গড়ে পৌনে আট ঘণ্টার মতো ঘুমাতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে ঘুমের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রঙ হলো পার্পল (লালচে বেগুনি)। মস্তিষ্ককে খুব বেশি উত্তেজিত করে পার্পল। সন্ধ্যার সময় রঙটির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে ভালো হলেও ঘুমের সময় মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কর্মব্যস্ত দিনটির একটি সুসমাপ্তি ব্যাহত হয় শোয়ার ঘরে এর উপস্থিতিতে। পার্পল রঙের শোয়ার ঘর কিংবা বৈদ্যুতিক আলো মানুষের গড় ঘুমকে ছয় ঘণ্টারও নিচে নামিয়ে আনতে পারে।
এর বাইরেও মনের সৃষ্টিশীল ও অবচেতন অংশগুলোয় উজ্জীবিত করে পার্পল। ঘুমের সময় তা কঠিন স্বপ্ন দেখাতে ভূমিকা রাখতে পারে, যার প্রভাবে সকালে ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।
ধূসর কিংবা বাদামি রঙ মনের ওপর বিষণ্নতা এবং উদাসীনতা চাপিয়ে দেয়। শোয়ার ঘরে এ রঙ দুটিও এড়িয়ে চলতে হবে। বিষণ্ন মেজাজে ঘুম কখনই স্বাস্থ্যকর হবে না।
তাছাড়া শোয়ার ঘরে অন্যান্য কাজের ওপরও বিভিন্ন রঙের প্রভাব রয়েছে। হলুদাভ বাদামি কিংবা গাঢ় অফ হোয়াইট রঙের ঘরে দম্পতিদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ লাল রঙের ঘরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ ঘটে। ধূসর রঙের ঘরে বসবাসকারীদের মধ্যে আলস্যভাব বেশি দেখা যায়। যেখানে সাদা কিংবা রুপালি ঘরে বাস করলে পরিশ্রমী হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়।
ঘরের বিভিন্ন অংশে আলো আঁধারির খেলাও মনের দোলাচল বাড়িয়ে দেয়। ছুটির দিনের সন্ধ্যাগুলোয় তা উপভোগ্য হলেও কর্মদিবসে এটি এড়িয়ে চলা ভালো। আলোর তীব্রতার প্রভাবটিও মনে রাখতে হবে। কাজের সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ ক্ষতিকর। অন্যদিকে বিশ্রামের সময় তীব্র আলো এড়িয়ে চলতে হবে, তা যে রঙেরই হোক।
বাংলাপোষ্ট২৪
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- 10 Surprising Facts About Headaches
- EARN MONEY ONLINE
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- 10 Surprising Facts About Headaches
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- Free Web Hosting Sites
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment