সমাজ, সংসার, আত্মীয় পরিজন পরিবার সবার সামনে থেকে মুছে যেতে থাকে পরিচয়। কাছের মানুষের পাল্টে যাওয়া আচরন আর চারপাশের অবহেলা, বঞ্চনাসহ যে নতুন পরিচয়ের দুঃসহ বোঝা এসে জুড়তে থাকে শরীরে তাতে আলগা হতে থাকে পরিচিত পুরনো সব বন্ধন। ক্রমেই শিথিল হতে থাকে রক্তের বন্ধন। একসময় এই বৈষম্য আর বঞ্চনায় অতিষ্ঠ হয়ে তারা ছেড়ে চলে যায় চেনা পৃথিবী। অভ্যস্ত পৃথিবীর বাইরে তাদের একমাত্র পরিচয় হয় হিজড়া। বসবাস করতে থাকে হিজড়া পল্লীতে।পল্লীর অন্যরাও হিজড়া।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
ছোট বেলায় আমাদের বাড়ীতে অদ্ভুত বেশ ভূষার কিছু মানুষ আসতো। ওরা
নাচতো,গাইতো,হাতে তালি দিতো আর অন্যরকম সুরে হাঁক ডাক দিতো।ওরা আমাকে কোলে
নিয়ে খেলা করতো, আমার গাল টিপে দিতো। আমি ভীষন ভয় পেতাম।হয়তো আদর করতো। আমি যখন মায়ের অবাধ্য হতাম বা খেতে চাইতাম না, মা তখন ওদের ভয় দেখাতো আর আমিও বাধ্য ছেলের মত মায়ের কথা শুনতাম।শৈশবের অবুঝ চোখ নারী পুরুষ আলাদা
করে বুঝতে পারলেও বুঝতে পারিনি প্রকৃতির নিষ্ঠুর খামখেয়ালীপনা। বুঝতে
পারিনি কারো কারো রক্তের রঙ লাল আর চোখের পানি নোনা হলেও সমাজ তাদের মানুষ
হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তারা তাদের রক্ত প্রবাহিত করতে পারেনা প্রজন্মের
পর প্রজন্ম কারন তাদের সেই ক্ষমতা নেই। তাদের আছে শুধু নোনা পানির ইয়া বড়
একটা সমুদ্র যে সমুদ্র আজন্ম আর শুকায় না। হাসি,ঠাট্টা,নাচ,গান,হাতে তালি
আর হাজারো বঞ্চনায় ওদের চোখের নোনা জল আমাদের চোখে পড়ে না। ওরা জন্মায়
আজন্ম যৌন বৈকাল্য নিয়ে। ওদের ইংরেজীতে বলে Hermaphrodite, পান্জাবীতে
শিখন্ডী (Shikandi), উর্দুতে Khusra, আরবীতে ‘মুখান্নাত’ আর আমরা বলি
‘হিজড়া’।
আমরা জানি যে, ‘XX’
প্যাটার্নের সমন্বয়ে কন্যাশিশুর আর ‘XY’ প্যাটার্নে ছেলে শিশুর জন্ম
হয়।কিন্তু ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরন ও বিভাজনের ফলে ‘XXY’ বা ‘XYY’
প্যাটার্নের কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে হিজড়া
শিশুর জন্ম হতে পারে। ইংরেজীতে হিজড়াদের হার্মফ্রোডাইট হিসেবে বর্ননা করা
হয়।সোজা বাংলায় যাকে বলে উভলিঙ্গ। উভলিঙ্গ দুইপ্রকার-প্রকৃত উভলিঙ্গ এবং
অপ্রকৃত উভলিঙ্গ।যদিও প্রকৃত উভলিঙ্গের চেয়ে অপ্রকৃত উভলিঙ্গের সংখ্যাই
বেশী।প্রকৃত উভলিঙ্গে একই শরীরে স্ত্রী এবং পুরুষ যৌনাঙ্গের সহাবস্থান
থাকে। অপ্রকৃত উভলিঙ্গ আবার পাঁচ
প্রকার-ক্লাইনেফেল্টার,সিনড্রোম,XXY-male,XX-male এবং টার্নার
সিন্ড্রোম।ক্রোমোসোমের অসামন্জস্যতা ছাড়াও বেশ কিছু হরমোনের
অল্পক্ষরন,বেশীক্ষরন বা অনুপস্থিতির কারনেও হিজড়া শিশুর জন্ম হতে পারে।
উভলিঙ্গ সাধারন দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক মনে হলেও প্রকৃতিতে অনেক উভলিঙ্গের
উদাহরন দেখতে পাওয়া
যায়।প্রোটোজোয়া,পরিফেরা,সিলেন্টারেটা,প্লাটিহেলমিনথিস,অ্যনিলিডা,
মোলাস্কা পর্বভূক্ত বেশ কিছু প্রানীদের মধ্যেও দুটি বিপরীত লিঙ্গের
সহাবস্থান দেখা যায়। তার মানে হিজড়া হয়ে জন্মানোটা পাপ নয়,বরং
প্রাকৃতিক।
আমাদের সমাজে কিছদিন আগেও
যেখানে মেয়ে হয়ে জন্মানো অভিশাপ ছিলো সেখানে হিজড়াদের অবস্থা অবর্ননীয়।
সাধারনত একটি শিশুর লিঙ্গ ত্রুটি তার জন্মের পর পরই ধরা যায়না। তবে বড়
হতে হতে আস্তে আস্তে ক্রমশ তা স্পষ্ট হতে থাকে অপ্রত্যাশিত ত্রুটিটি।
পরিবারের মানুষ জানতে শুরু করে তাদের সন্তানটি অন্য সবার মত নয়, চারপাশের
মানুষ জানতে পারে। এরপর এই অস্বাভাবিক মানুষটি আর তথাকথিত স্বাভাবিক
মানুষগুলোর সাথে থাকতে পারেনা, আমাদের সমাজব্যাবস্থা, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
ওদের জায়গা দেয়না এই সমাজে।
বাংলাদেশের
এমনকি পৃথিবীর বেশিরভাগ হিজড়ারাই নিজেরদের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করে।
যদি কোনো হিজড়ার চেহাড়ায় পুরুষালী ভাব প্রকট থাকে তাহলে সে নিজেকে
পুরুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং যদি মেয়েলী ভাব প্রকট তাহলে নিজেকে মেয়ে
হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর এসব কারনেই আমাদের দেশে বসবাসকারী হিজড়াদের
সঠিক সংখ্যা জানা যায়না। হিজড়ারা তাদের এই অবস্থার জন্য নিজেদেরকেই দায়ী
মনে করে।বেশিরভাগ হিজড়াই নিজের শরীরকে ঘৃনা করে।
চারপাশের
প্রতিকূল পরিবেশ তাদের হতাশাগ্রস্থ করে তোলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা
হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, কখনো কথনো নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
উন্নত দেশে হিজড়া সন্তানদের অভিভাবকরা নিজেদের সাথেই রাখেন, তারা
পড়াশোনা করে, চাকুরী করে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পায়।কিন্তু
আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক হিজরাই পরিবারের সাথে থাকতে পারে। আর থাকতে
পারলেও পরিচয় গোপন করে থাকতে হয়।এর জন্য দায়ী আমরাই, আমাদের দৃষ্টিবোধ,
মূল্যবোধ, আমাদের মানবতাবোধের অভাব।
সমাজ, সংসার, আত্মীয় পরিজন পরিবার সবার সামনে থেকে মুছে যেতে থাকে পরিচয়। কাছের মানুষের পাল্টে যাওয়া আচরন আর চারপাশের অবহেলা, বঞ্চনাসহ যে নতুন পরিচয়ের দুঃসহ বোঝা এসে জুড়তে থাকে শরীরে তাতে আলগা হতে থাকে পরিচিত পুরনো সব বন্ধন। ক্রমেই শিথিল হতে থাকে রক্তের বন্ধন। একসময় এই বৈষম্য আর বঞ্চনায় অতিষ্ঠ হয়ে তারা ছেড়ে চলে যায় চেনা পৃথিবী। অভ্যস্ত পৃথিবীর বাইরে তাদের একমাত্র পরিচয় হয় হিজড়া। বসবাস করতে থাকে হিজড়া পল্লীতে।পল্লীর অন্যরাও হিজড়া।
সমাজ, সংসার, আত্মীয় পরিজন পরিবার সবার সামনে থেকে মুছে যেতে থাকে পরিচয়। কাছের মানুষের পাল্টে যাওয়া আচরন আর চারপাশের অবহেলা, বঞ্চনাসহ যে নতুন পরিচয়ের দুঃসহ বোঝা এসে জুড়তে থাকে শরীরে তাতে আলগা হতে থাকে পরিচিত পুরনো সব বন্ধন। ক্রমেই শিথিল হতে থাকে রক্তের বন্ধন। একসময় এই বৈষম্য আর বঞ্চনায় অতিষ্ঠ হয়ে তারা ছেড়ে চলে যায় চেনা পৃথিবী। অভ্যস্ত পৃথিবীর বাইরে তাদের একমাত্র পরিচয় হয় হিজড়া। বসবাস করতে থাকে হিজড়া পল্লীতে।পল্লীর অন্যরাও হিজড়া।
তারা
সাদরেই গ্রহন করে নতুন অতিথিকে। হিজড়া পল্লীতে হিজড়ারা সংঘবদ্ধ ভাবে
থাকে। যেখানে রয়েছে ওদের নিজস্ব সমাজ, নিয়ম, শাসন ব্যবস্থা, সবই ভিন্ন
রকমের। তারা যে সমাজ ছেড়ে এসেছে সে সমাজ তাদের ভার বহন করতে রাজী নয়,
তাদের কাজের সুযোগ দিতে প্রস্তুত নয় কিংবা শুধুমাত্র সামাজিক স্বীকৃতি
দিতেও ইচ্ছুক নয়। তাই ওরা বেঁচে থাকে মানুষের কৃপায়, ভিক্ষাবৃত্তি করে।
হিজড়াদের কখনো শ্রমজীবী হতে দেখা যায়না। ওরা বাড়ী বাড়ী নাচ গান করে
কখনো কখনো জোর করেও ভোগ্যপন্য বা অর্থ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ বিকৃত যৌন
পেশায় বা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেলে
আনুমানিক দেড় লাখ হিজড়া রয়েছে। খোদ ঢাকা শহরেই প্রায় পনের হাজার
হিজড়ার বসবাস।আগেই বলা হয়েছে হিজড়ারা একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীতে বসবাস
করে। প্রায় ২০০-৮০০ বা তারো বেশী সংখ্যক হিজড়া মিলে মিশে একটি গোষ্ঠী
তৈরী করে।তাদের কোনো নিজস্ব ভূমি নেই, তারা যাযাবর জীবন যাপন করে। প্রতিটি
গোষ্ঠীতে একজন করে সর্দার থাকে।সর্দারকে সাধারনত ‘গুরুমা’ বলে ডাকা হয়।
গুরুমাকে হিজড়ারা মা বলে সম্ভোধন করে। গুরুমা তার শিষ্যদের সন্তানের মতই
দেখেশুনে রাখেন। একজন গুরুমার অধীনে একটা হিজড়া গোষ্ঠী একটা পরিবারের মত
বসবাস করে।হিজড়ারা তাদের গুরুমার মাকে নানী, তার সমপর্যায়ের হিজড়াদের
খালা এবং অন্যান্য হিজড়াদেরকে বোন বলে সম্ভোধন করে। নতুন সদস্য পল্লীতে
আসলে গুরুমা তাদের নাচ,গান, ঢোল বাজানো ইত্যাদি শিখিয়ে দক্ষ করে তোলেন।
হিজড়ারা
তাদের দলভারী করার জন্য নতুন হিজড়াকে খুঁজে বের করে।নতুন হিজড়া খোঁজার
একটি পদ্ধতির কথা প্রচলিত আছে। কথিত আছে যখন কারো হিজড়া সন্তান থাকে তখন
হিজড়ারা এটা জানতে পারলে তারা ওত পেতে থাকে তাকে নিজেদের দলে ভেড়ানোর
জন্য। যদি তারা দলে ভেড়াতে না পারে তখন তারা দলবদ্ধ ভাবে ওই বাড়িতে গিয়ে
তাদের স্বভাবসুলভ ভাবে হাতে তালি দিতে থাকে। হাতেতালির অমোঘ আকর্ষন সহ্য
করতে না পেরে ওই বাড়ীর হিজড়াটি নাকি তাদের সাথে যোগ দিয়ে হাতেতালি দিতে
থাকে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
হিজড়াদের
রয়েছে নিজস্ব বিচার ব্যাবস্থা।বিচারকার্য সম্পাদন করেন গুরুমা। শাস্তি
হিসেবে বেতের বাড়ি এবং আর্থিক জরিমানা করা হয়। যে আর্থিক জরিমানা প্রাপ্ত
হয় তাকে একা এলাকা থেকে টাকা তুলে জরিমানার টাকা প্রদান করতে
হয়।বাংলাদেশের হিজড়াদের উচ্চ বিচারালয় সাভারে। বছরে একবার এদের সমাজের
অভ্যন্তরীন বড় ধরনের বিচার এখানে সম্পন্ন হয়। সব ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ
শাস্তি আর্থিক জরিমানা। হিজড়ারা যুগ যুগ ধরে তাদের এই বিচার ব্যাবস্থা
মেনে আসছে পরম আস্থায়। হিজড়ারা বাংলায় কথা বলতে পারলেও তারা অপরিচিতদের
সামনে গোপন কথা সংকেতের মাধ্যমে আদান প্রদান করে।
হিজড়ারা
লিঙ্গ বৈকল্য হলেও তাদের যৌন চাহিদা প্রবল। তাদের জীবনেও প্রেম ভালোবাসা
আসে। তারাও ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। মাঝে মাঝে দুজন হিজড়াকে ভালোবেসে ঘর
বাঁধতে দেখা যায়। তারা সংসার সংসার খেলা করে।পুতুল কোলে নিয়ে বাচ্চার
স্বাধ মেটায়। কখনো কখনো অনেকে নিজেদের গন্ডি পেরিয়ে অন্য পুরুষের সাথে
সম্পর্ক গড়ে। তবে সে বিয়ে বেশি দিন টিকে না কারন তারা বংশবৃদ্ধি করতে
পারেনা। তাছাড়া আমাদের দেশে হিজড়াকে বিয়ে করা বৈধও নয়।
প্রকৃতির
নির্মম পরিহাসের ফসল হিজড়ারা। হিজড়াদের কোনো কিছুই স্বীকৃতি দেয়না
তথাকথিত সভ্য সমাজ। আমাদের দেশে হিজড়াদের ভোটার হিসেবে মেনে নিলে সরকার
তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়।আদমশুমারীতে তারা উপেক্ষিত কারন সেখানে
শুধু নারী পুরুষের ক্যাটাগরি রয়েছে।হিজড়াদের সংগঠনগুলো অনেক দিন থেকে
তাদের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে কিন্তু
রাষ্ট্রের সেদিকে মাথাব্যাথা নেই।আশার কথা এই যে,আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত
হিজড়াদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারীতে হিজড়াদের গননা করার
ঘোষনা দিয়েছে।আমাদের দেশেরও উচিত তাদের অধিকার নিশ্চিত করা। বয়স্ক
ভাতা,বেকার ভাতার মতো হিজড়াদের জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যাবস্থা করা।
হিজড়াদের
সম্মুখিন হননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তারা নানা ভাবে আমাদের
সামনে উপস্থিত হয়। নেচে গেয়ে কৌতুক করে আমাদের করুনা কামনা করে। আমরা
বেশির ভাগ স্বাভাবিক মানুষরা কৌতুহলী হয়ে ওঠি, ঠাট্টা মশকরা তুচ্ছ
তাচ্ছিল্য করি তাদের নিয়ে। প্রিয় পাঠক,একবার চিন্তা করে দেখুন এই
পৃথিবীতে ওরা জোর করে আসেনি।দুইজন মানব মানবীর চূড়ান্ত ভালোবাসার ফসল ওরা।
যারা ওদের পৃথিবীতে এনেছিলো তায়াই ওদের স্থান দেয়নি।কতটা দুঃখ কষ্ট আর
বঞ্চনা সহ্য করে ওরা হাতে তালি দিয়ে যাচ্ছে, হয়তো আমাদের মানবতাবোধকে
পরিহাস করে। আসুন ওদের মানুষ ভাবি, ওদের দুঃখ কষ্টগুলো লাঘব করার চেষ্টা
করি, এ পৃথিবী থেকে ওদের পাওনা বুঝিয়ে দেই।
তুষার কান্তি কর: হ্যালো টুডে
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
আবাক-বাংলাদেশ,
গবেষনা,
প্রকৃতি,
বিচিত্র
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- ঈর্ষা একটি ভয়ঙ্কর মানসিক রোগ
- The Biggest Water Cube Ever Seen!
- ধরা পরলো তিন চোখা মাছ!
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে
- ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে মৃত্যু
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment