সত্তরোর্ধ্ব প্রেমিক তাইজদ্দিন মাতুব্বর ওরফে তারা মাতুব্বরের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়া গ্রামে। তিনি ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক। ঘরে তার প্রথম স্ত্রী রয়েছে। আছে নাতি-নাতনিও। আর প্রেমিকা বধূ আসমাউল হুসনা ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হঠাৎবাজার এলাকার জনৈক আসলাম মিয়ার মেয়ে।
আসলাম মিয়ার বাড়িতে যাতায়াতের সূত্রে দূর-সম্পর্কে এ নানা-নাতনির মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। নানার নানা রকম দুষ্টুমি আর রসিকতা ভাল লাগে নাতনির। সমপ্রতি নাতনি আসমাউল হুসনা তার দুর্বলতার কথা অকপটে জানায় নানাকে। নানাও যেন হাতে চাঁদের নাগাল পান। কঠিন সংকল্পে আবদ্ধ হন দু’জন। সুযোগ বুঝে গত অক্টোবরে রাজবাড়ীর আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। অসম এই বিয়ের ঘটনা জানাজানি হলে চেপে যায় দুই পরিবার। মেয়েকে বাড়িতে এনে আটকে রাখেন আসলাম মিয়া। কিন্তু দিন যত গড়াতে থাকে প্রেমিক স্বামীর জন্য পাগলপারা হয়ে ওঠে হুসনা। গোপনে দুই পৃষ্ঠার এক চিঠিতে মনের সব কষ্টের কথা লিখে স্বামীর কাছে পাঠায়। স্বামী তারা মাতুব্বরও নতুন বউয়ের চিঠি পেয়ে উতলা হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের কাছে ধরনা দেন। স্ত্রীর চিঠি দেখিয়ে তাকে উদ্ধারের আকুতি জানান। কোন তদ্বিরেই কাজ হয় না। এরই মধ্যে গত ২২শে ডিসেম্বর বাড়ির লোকজনের নজর এড়িয়ে হুসনা ফের ছুটে যায় স্বামীর বাড়ি। সেখানে তারা মাতুব্বরের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা হুসনার প্রেম মেনে নেয়।
হুসনা ও তারা মাতুব্বর দম্পতি গতকাল এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তারা পরস্পরকে কাছে পেয়ে বেশ সুখেই আছেন। আর দশটা প্রেম-ভালবাসার মতো তাদের প্রেম-পরিণয়ও মোটেই নিষ্কন্টক ছিল না। তাই ভবিষ্যতের জীবনটা আরও সুখময় করতে পৃথক নতুন সংসারের উদ্যোগ নিয়েছেন এ নবদম্পতি। গোয়ালন্দের মজলিসপুরে পদ্মার বালুচরে এরই মধ্যে ঘর তোলার কাজও শুরু করেছেন। মানব জমিন
0 comments:
Post a Comment