সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
চোখের পানির রহস্য
শোকে দুঃখে চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কথা প্রায়ই আমরা বলি বা শুনি। তবে এ
কথার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শোকের মাত্রা যতই তীব্রতর হোক,
কান্না যতই বেশি হোক না কেনো চোখের পানি শুকায় না। হ্যাঁ চোখের পানি শুকায় তবে তা হয় কিছু অসুখের কারণে। আজ চোখের পানি নিয়ে আলোচনা করেছেন,
বাংলাদেশ ডায়বেটিক এসোসিয়েশন বা বারডেমের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.
হযরত আলী।
চোখের পানি আসলে আসে রক্ত থেকে,
সে কথা বোধহয় আমরা অনেকেই জানিনা। চোখের পানি তিন ভাগে
বিভক্ত। অশ্রুতে পানির যে অংশ আছে তা আসে চোখের ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড নামের একটি অংশ থেকে। চোখের এ পানিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একুয়াস বলেন। তবে এ পানি চোখে আসলে তা সহজেই শুকিয়ে যায়। চোখের পানি যেনো সহজ শুকিয়ে না যায় সে জন্য চোখের পাতা থেকে একটি তৈলাক্ত উপাদান যোগ হয় ।
অন্যদিকে চোখের গবলেট সেল থেকে মিউকাস নামে একটি উপাদান যোগ হয় এ
পানিতে। যা কর্নিয়ার ওপর এমনভাবে ছড়িয়ে থাকে যাতে চোখের পানি সহজেই তার ওপর থাকতে পারে।
চোখে ধুলোবালিসহ নানা ধরণের ময়লা বিভিন্ন সময়ে পড়ে বা পড়তে পারে। এই সব ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার করাই হল চোখের পানির প্রথম কাজ। চোখে ময়লাই কেবল পরে না বরং উড়ে এসে জুড়ে বসার ইচ্ছা নিয়ে আসে নানা রোগ জীবাণু। এ রোগ জীবাণু যেন চোখের ক্ষতি করতে না পারে বা চোখের মধ্য দিয়ে দেহে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য চোখে রয়েছে ল্যাক্টফেরিন নামের জীবাণু নাশক উপাদানসহ আরও জীবাণু নাশক উপাদান।
এ ছাড়া চোখের পানিতে রয়েছে এন্টি বডি। এই এন্টি বডিও জীবাণু প্রতিহত করে। অন্যদিকে চোখের পানি বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয় ও তা কর্নিয়াকে সরবরাহ করে। চোখের পানি বের হওয়ার একটি পথ আছে। এই পথ চোখ থেকে নাকে চলে গেছে। চোখের পানির নিষ্কাশন পথকে লেক্রিমাল ড্রেনেজ বলা হয়। তবে চোখের পানির খানিকটা বাতাসে মিলিয়ে যায় আর বাকিটা নাকের এই পথ দিয়ে বের হয়ে যায়।
জীবনে
আবেগ ঘন পরিস্থিতির মুখে পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ
রকম আবেগ ঘন অব্স্থায় চোখের পানি নির্গমন বাড়ে। একই সাথে কাঁদানে গ্যাসসহ অন্যান্য গ্যাস বা রাসায়নিক পদার্থের কবলে পড়লে তাতে চোখের পানির নির্গমন বাড়ে। চোখে পানি বাড়লে তার নিষ্কাষণও বাড়বে। তাই সে সময় নাক দিয়ে পানি ঝরে। নাকের পানি ও
চোখের পানিতে একাকার এরকম একটি কথার সাথে আমরা পরিচিত। এখানে নাকের পানি যে মূলত চোখেরই পানি তা বোধহয় সবাই বুঝতে পেরেছেন। চোখের পানি শোকে দুঃখে বা অতি কান্নায় শুকিয়ে যায় না। সে কথা আলোচনার শুরুতেই একবার বলেছি। চোখের পানি রক্ত হতে তৈরি হয়। আবেগ দেখা দিলে বা অন্য কোন পরিস্থিতে চোখের পানির উৎপাদন দেহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও চোখের পানি শুকায়। এই শুকানোর কারণ,
চোখের অসুখ। চোখের পানি উৎপাদন করে লেক্রিমাল গ্যান্ড নামের গ্রন্থি তাতে অসুখ হলে বা এ গ্রন্থি ফেলে দিলে চোখের পানি শুকিয়ে যেতে পারে। একইভাবে যদি চোখের পানির তৈলাক্ত উপাদান হ্রাস পায় তবে অশ্রু শুকিয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া দেহের অনেক রোগের কারণে চোখের পানি শুকিয়ে যেতে পারে। এর মধ্য কিছু আছে চোখের নিজস্ব রোগ আর কিছু আছে দেহের রোগ। কোলাজেন ডিজিজ, আর্থরাইটিস বা থাইরয়েডের অসুখের কারণে চোখের পানি শুকিয়ে যেতে পারে। বয়স হলেও অনেকের চোখের পানি শুকিয়ে যায়। এ ঘটনা বয়সী মহিলা পরুষ সবার ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। চোখের পানি কমে গেলে নানা উপসর্গ দেখা দেবে। এর মধ্যে চোখ লাল হওয়া,
চোখে বালি জাতীয় কিছু পড়েছে বলে মনে হওয়া। ক্লান্তি লাগা প্রভৃতি হতে পারে। এই পানি যাদের চোখে কম,
তারা পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি আসবে না। চোখের যে সব উপসর্গের কথা একটু আগে বলা হয়েছে এসিতে গেলে বা বাতাসে গেলে তা বাড়বে। এ ছাড়া এ কারণে চোখে ঘাঁও হতে পারে। ঠিক এ
কারণে ভিটামিন এ ঘাটতির থেকে চোখে ঘা দেখা দেয়। এই ঘা শেষ পর্যন্ত অন্ধত্ব ডেকে আনতে পারে। তাই চোখের পানি কমে গেলে তা নিয়ে হেলাফেলা করার কোনো অবকাশ নেই। #
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Myth,
Thesis,
অদেখা ভুবন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- গীতা সারাংশ
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- Free Web Hosting Sites
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- EARN MONEY ONLINE
- Free Web Hosting Sites
- গীতা সারাংশ
- 10 Surprising Facts About Headaches
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment