টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, পি এম এল সুন্দরমের বয়স এখন ৩৪। ১৯৯১ সালে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানে ফেল মেরে পড়ালেখায় ইতি টানেন তিনি। এরপর বড় ভাইয়ের ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন। এর ১০ বছর পর রাজনীতি শুরু করেন তিনি। আর ২০০৬ সালে রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পেয়ে যান। এরপর আর ঠেকায় কে? হয়ে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
দুই দশক পর গত বৃহস্পতিবার তিনদিভানাম শহরের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি বলেন, তিনি স্কুল পাস করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমি বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছি। তবে জরুরি সভা থাকায় আজকের (শুক্রবার) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বিজ্ঞান পরীক্ষা ভালোই দিয়েছেন। এ বিষয়ে ৬০ নম্বরের বেশি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কল্যাণসুন্দরম জানান, শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর ২০১১-১২ সেশনে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেন ইউনিভার্সিটি ব্যবস্থায় বিএ (ইতিহাস) ক্লাসে ভর্তি হন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে ডিগ্রি কেনার জন্য বলেছেন। তবে আমি মনে করি, যথাযথ উপায়ে আমাকে ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। আর তাই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও আমি আমার পরীক্ষা শেষ করতে চাই।’
তিনদিভানামের জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সি শানমুগাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তিনি বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছেন, তবে শুক্রবার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেননি। পরে জানতে পারেন যে তিনি পদুচেরির একজন মন্ত্রী।’
0 comments:
Post a Comment