গবেষকরা জানিয়েছেন, উপগ্রহটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার যেকোনো অঞ্চলেই পড়তে পারে। তবে, এটি আলাস্কা অথবা চিলিতে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
অ্যাটমোসফিয়ার রিসার্চ স্যাটেলাইট (ইউএআরএস) নামের এ স্যাটেলাইটটি ১৯৯১ সালে পাঠানো হয়েছিলো। মুল স্যাটেলাইটটির ওজন ৬.৫ টন। ২০০৫ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীর মানুষ ওজোন স্তরে ফুটো হওয়ার কথা জেনেছিল।
গবেষকরা অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, এটি পড়লেও মানুষের ক্ষতির আশংকা খুবই কম; তবে যেখানে পড়বে সেখানকার ৫০০ মাইল পর্যন্ত ক্ষত তৈরি হতে পারে। এটি পড়ার সময় বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশিরভাগই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, তবে ধাতব কিছু অংশ পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।
অবশ্য নাসার গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীতে এর আঘাত হানার আশংকা ৩২০০ ভাগের ১ ভাগ।
এদিকে নাসার গবেষক জিন স্ট্যান্সবেরি বলেছেন, ‘মহাকাশ যাত্রার যুগ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উপগ্রহে আঘাতে মানুষের ক্ষতি হয়েছে এমন খবর শোনা যায় নি। তাই আতংকিত হবার কিছু নেই।’
৩৫ ফুট লম্বা, ১৫ ফুট ব্যাসার্ধ এবং ১৩শ পাউন্ড ওজনের উপগ্রহটির জ্বালানি ২০০৫ সালে শেষ হয়ে গেছে । তবে এখনো এর ১০টি যন্ত্রাংশ ঠিকঠাকমতো কাজ করছে।
৩টি মহাসাগর এবং ৬টি মহাদেশের যে কোনো স্থানে এ উপগ্রহ ভেঙ্গে পড়তে পারে এমন আশংকা করছেন নাসার গবেষকরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোথায় এবং কবে পড়বে সেটি এখনও নিশ্চিত না হলেও এটি যে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বেই সেটি নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকরা।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment