আহত শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার হোসেন বিদ্যালয়ের বাৎসরিক মিলাদ মাহফিলের দাওয়াতপত্র বিলি করার জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীতে যান। এ সময় শ্রেণীকক্ষে চিৎকার করার অভিযোগে তিনি ক্লাসের মেধাবী শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামকে জামার কলার ধরে তাকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপড় ও খামছি মারতে থাকেন। এতে আমিনুলের জামা ছিঁড়ে যায়। একপর্যায়ে আহত আমিনুল শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে। কিন্তু ওই শিক্ষক তাকে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। তা ছাড়া তাকে প্রকাশ্যে হাঁটুগেড়ে (নিল-ডাউন) বসিয়ে রাখাসহ নাকে খত দেওয়ানো হয়। এমনকি তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের মাঠে ছুটে এলে অপর শিক্ষকেরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক জুলফিকার হোসেনের ভাষ্য, ‘দুষ্টামি করার জন্য আমিনুলকে শুধুু ‘নিল-ডাউন’ করিয়েছি। নির্দয়ভাবে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ সত্য নয়। ’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল আজিজ বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, শ্রেণীকক্ষে একজন শিক্ষক কোনোভাবেই এমন আচরণ করতে পারেন না। তা ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment