অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ-এর ‘ম্যান্টিস শ্রিম্প’ নামের চিংড়ি গবেষণা করে ডিভিডি তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা।
ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল-এর গবেষকদের মতে, চিংড়ির দেখার পদ্ধতিটি অসম্ভব জটিল। মানুষ যেখানে মাত্র তিনটি রং দেখতে পারে সেখানে চিংড়ি ১২ টি রং দেখতে পারে এবং রংয়ের পার্থক্য করে থ্রিডি ছবিও দেখতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চিংড়ির বিশেষ আলোক সংবেদনশীল কোষ ডিভডি বা সিডি প্লেয়ারের ইলেকট্রনিক সেন্সরের মতোই কাজ করে। চিংড়ি, ডিভিডি এবং সিডি প্লেয়ার আলো বিভিন্ন আকারে রূপান্তর করে যাতে সংরক্ষণ করে রাখা বা উপস্থাপন করার কাজটিও করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিংড়ির সঙ্গে ডিভিডির পার্থক্য হচ্ছে চিংড়ি বড়ো পরিসরে কাজটি করতে পারে যেখানে ডিভিডির ক্ষমতা একেবারেই কম।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চিংড়ির চোখের মতো নকশা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামী প্রজন্মের ডিভিডি তৈরি করা সম্ভব হবে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার ফটোনিক্স’ সাময়িকীতে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment