আমিষসমৃদ্ধ খাবার অধিক সময় ক্ষুধা দূরে রাখে

আমরা প্রত্যহ শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজদ্রব্য, আঁশ জাতীয় খাবার খাই ও জল পান করি। এ সবই আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। তবে খাবার আগ্রহটা তৈরি করে আমাদের মসত্মিষ্কের ক্ষুধা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের তাড়নায় আমরা খাদ্য গ্রহণ করি এবং এর বিপরীত কেন্দ্রটির তাড়নায় খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকি। এটি অতি স্বাভাবিক জৈবনিক প্রক্রিয়া।

কিন্তু মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এক শ্রেণীর মানুষের অন্যরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ আছে বা তা অর্জনের সুবিধা আছে। এতে তাদের দৈহিক ওজন ক্রমেই বাড়ছে, যা তার জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আবার অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য যান্ত্রিক সুবিধা ও কাজের চাপে যেতে খুব সামান্য ক্যালরি খরচ করতে হচ্ছে। শারীরিক শ্রম হচ্ছে না। এর জন্য দেহ স্থূল হচ্ছে। তাদের জন্য সামান্য একটু স্বসত্মির খবর হলো_ খাদ্যে বেশি পরিমাণে আমিষ (প্রোটিন) জাতীয় খাদ্য উপাদান থাকলে তা অনেক সময় ক্ষুধা দূরে রাখে।

আমিষ জাতীয় খাদ্য রক্তে উপাদান পিওয়াইওয়াই (চণণ) নামক হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। আগে দেখা গেছে পিওয়াইওয়াই হরমোনটির স্বাভাবিক দৈহিক ওজনের ও স্থূলদেহী উভয়ের ক্ষেত্রেই খাদ্য গ্রহণ এক-তৃতীয়াংশ কমায়। আর এখন দেখা যাচ্ছে আমিষ জাতীয় খাদ্য দেহের নিজস্ব পিওয়াইওয়াই হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যার ফলে ক্ষুধা কমায়। বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত খাদ্য গ্রহণকারীরও দেখা গেছে, খাদ্যে শর্করা বা স্নেহ বেশি থাকলে ক্ষুধা যতটা কমে, খাদ্যে আমিষ বেশি পরিমাণে থাকলে ক্ষুধা তার চেয়ে অনেক বেশি কমে, যা পরে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিওয়াইওয়াইর (চণণ) ঘাটতির জন্য দৈহিক স্থূলতা হতে পারে। তাই যাতের শরীরের ওজন কমানো জরম্নরী তাদের নিয়মিত শর্করা ও স্নেহ কম খেয়ে আমিষ বেশি করে খেতে হবে। তবে সেটা অবশ্যই প্রাকৃতিক আমিষ।

জনকন্ঠ