সম্প্রতি রাশিয়ান এক জ্যোর্তিবিদ জানিয়েছেন, ‘কৃষ্ণবিবরের মধ্যেও প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে।’
রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস’ এর ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-এর গবেষক ভাচেস্লাভ ডোকুচেভ জানিয়েছেন, ‘ব্ল্যাকহোলের মধ্যে জীবন ধারনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি সেখানে যে সভ্যতার খোঁজ মিলবে সেটি হয়তো হবে পুরো গ্যালাক্সির মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা।’
ভাচেস্লাভ ডোকুচেভ দাবি করেছেন, ‘ব্ল্যাকহোলের মধ্যেই গ্যালাক্সির সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা গড়ে উঠতে পারে। চার্জিত এবং ঘূর্ণনশীল ব্ল্যাকহোলের প্রান্তে ফোটন টিকে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় মেনেই নিজস্ব কক্ষে সেগুলো ঘুরতে থাকে। আর ফোটন যদি সেখানে নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করতে পারে তবে সে সম্ভাবনা বড় গ্রহের বেলাতেও সম্ভব।’
ভাচেস্লাভ ডোকুচেভ জানিয়েছেন, ‘ব্ল্যাকহোলে রয়েছে ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনাদিগন্ত, আর এরপরই আরেকটি রাজ্য যাকে বলে কাউচি হরাইজন। ঘটনা দিগন্তে সময় এবং স্থান একে অন্যকে অতিক্রম করে। এটি ব্ল্যাকহোলের মুখ। এ মুখ পেরিয়ে বা ঘটনা দিগন্ত পার করে ভেতরে চলে গেলেই কোনো কিছু আর বের হতে পারে না।
কিন্তু ঘটনা দিগন্ত পেরিয়ে কাউচি দিগন্তে স্থান কাল আবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চলে। সেখানে সভ্যতা গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। এখানে কারদাসেভ স্কেলের ‘টাইপ থ্রি’ প্রাণীর দেখা মিলতে পারে। এ স্কেলে টাইপ থ্রি হচ্ছে সবচেয়ে সভ্য। মানুষ এ স্কেলে কেবল প্রথম স্তরে।
ভাচেস্লাভ ডোকুচেভ বলেছেন, ঘটনা দিগন্ত পেরোতে না পারলে কখনোই বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাচেস্লাভ ডোকুচেভ কেবল তাত্ত্বিকভাবে এ দাবি করেছেন। অবশ্য, এ দাবি পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। যেখান থেকে আলো বের হয়ে আসতে পারে না তার ভেতরে কারা বাস করছে সে সত্যি আমাদের পরীক্ষা করার আপাতত পথ নেই।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment