এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা ইউনিয়ন পরিষদ দুই বছর আগে চিত্রা নদীর ওপর এই ছোট সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়। গ্রামের লোকজনকে এই সেতুটি পার হয়ে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, মসজিদ, তেরখাদা বাজার, তহশিল অফিস, ভূমি অফিস ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে যেতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে সেতুর পাটাতনের তক্তাগুলো ভেঙে যাওয়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তেরখাদা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত সেতুটির তক্তাগুলো ভেঙে গেছে। তেরখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মেকাইল হোসেন (৯) বলে, ‘বৃহস্পতিবার স্কুলি আসতিলাম, তহন ওই পুলির ভাঙার মধ্যি ঠেঙ (পা) চলে যায়। ওমনি (সেই) পইড়ে গিইলাম। আপনার মতো (প্রতিবেদককে দেখিয়ে) এক ভাইয়া আইসে ধইরে তুলল।’
তেরখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিলুফার ইয়াসমিন (৩২) বলেন, ‘এই সেতুতে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। আমরা আবেদন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে যেতে। চেয়ারম্যান বলেন, “আমার কাছে এখনো কোনো অনুদান আসেনি। অনুদান আসুক, তারপর কাজ করব।” দুজনের টানাটানিতে কাজটি হচ্ছে না। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের ছেলেমেয়েদের।’
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল আলম বলেন, ‘এ পুলটি বড় ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন। বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।’
0 comments:
Post a Comment