নারীর চরিত্র নাকি দেবতারাই জানেন না, তা মানুষ তো কোন ছার! সেই আদম-ইভের কাল থেকে মেয়েদের ওপর পুরুষদের এহেন এক বোকা বোকা আস্ফালন চলে আসছে। পাশের বেঞ্চের প্রিয় বান্ধবী, কলেজের প্রেমিকা, বাড়িতে বউ, অফিসের পরকীয়া রমণী নাকি আদতে কী পেলে যে খুশি হবে, তা মানুষ হয়ে জন্মেও পুরুষ বুঝে উঠতে পারে না। এমনই রহস্যময় এই নারীকুল বলে দাবি পুরুষদেরই। অথচ প্রিয় পুরুষকে আদরে-সোহাগে-অশান্তিতে নিজের চাহিদাটুকু প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নারী বহুবার বোঝাবার চেষ্টা করে। কিন্তু মোটা মাথায় যাঁদের কিছুই ঢোকে না, তাদের (নারীরা এক্ষেত্রে পুরুষ পড়তেই পারেন) খানিক খুঁচিয়েই বলতে হয় আর কী- নারী কী চায়!
এ বাদে পুরুষ নিয়ে নির্বিচারে নারীর আর একটি ক্ষোভ থাকে। স্বামী বা প্রেমিকের বন্ধুমহল বা আত্মীয়দের আপ্যায়ন-যত্নে নারীরা যত উদ্বেল থাকে, তার সিকি ভাগও পুরুষের থেকে মেলে না। এ একেবারে নিয্যস খাঁটি কথা। এই অভিযোগের সার মনে মনে স্বীকার করলেন তো? নিজেকে শুধরে নিন। বন্ধু বা আত্মীয়মহলে আপনার প্রশংসা শুনে আনন্দে আপনার নারীর চোখে জল আসবেই। তার প্রথম ধাপ হিসেবে কী করতে পারেন? হাত পুড়িয়ে বউ তো রোজই রেঁধে খাওয়াচ্ছে। একদিন নিজে হেঁশেলের দায়িত্ব নিয়ে গিন্নিকে ছুটি দিন দেখি। সংসারে আসলি শান্তি আনার এহেন পন্থা মহাপুরুষরাও স্বীকার করে থাকেন।
0 comments:
Post a Comment