সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
ধনী সন্তানের মা-বাবা অবহেলিত
‘আমার সন্তান যেন থাকে
দুধে-ভাতে’_সন্তানের প্রতি মা-বাবার এমন অপত্য মমত্ববোধ চিরকালীন। এ তো
গেল ভারতচন্দ্র রচিত মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যের বয়ান। আবার সাবেক সোভিয়েত
ইউনিয়নের বিখ্যাত লেখক ইভান তুর্গেনিভের একটি গল্পের বয়ান এ রকম_”এক যুবক
এক সুন্দরী নারীর পাণিপ্রার্থী হলো। ওই নারীকে যথাসাধ্য প্রেম, ধন-দৌলত,
সব দেওয়া হলো। কিন্তু সে কিছুতেই তুষ্ট হলো না। ওই নারী চেয়ে বসল যুবকের
শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কিন্তু ওই প্রেমিকের কাছে তার মায়ের
জীবন ছাড়া আর কিছুই রইল না। যুবক যখন ওই নারীর প্রেম পাওয়ার জন্য তার মাকে
সব কিছু খুলে বলল, তখন তার মা ছেলেকে নিজের হৃৎপিণ্ড ওই নারীকে উপহার দিতে
বললেন। মোহগ্রস্ত যুবক তা-ই করল। মাকে হত্যা করে মায়ের হৃৎপিণ্ড নিয়ে দিল
দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে যখন পায়ে বাধা খেয়ে উল্টে পড়ল যুবক, আর হাত থেকে
মায়ের হৃৎপিণ্ডটা ছিটকে পড়লেও বলে উঠল, ‘আহা! খোকা, ব্যথা পাসনি তো?’”
গল্প
কিংবা বাস্তবে মা-বাবা সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। কিন্তু
সন্তানরা মা-বাবার ওপর কতটুকু দায়িত্বশীল? এ প্রশ্নের উত্তর এ জমানায় আর
বোধ হয় সমান্তরাল নেই। ধনাঢ্য প্রবীণ মা-বাবাকে থাকতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে।
আবার অপেক্ষাকৃত কম ধনাঢ্য মা-বাবারা অনাদরে জীবন যাপন করেন সন্তানের কোনো
শুশ্রূষা ছাড়াই।
সম্প্রতি এক গবেষণায়
বিজ্ঞানীদের একটি দল জানিয়েছে, ধনী সন্তানের বৃদ্ধ মা-বাবারা সন্তানের কাছ
থেকে শুশ্রূষা পান কম। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত গরিব সন্তানের মা-বাবারা বেশি
যত্ন-আত্তি পেয়ে থাকেন। অন্তত গরিব মা-বাবার সন্তানরা মাসে একটা নির্দিষ্ট
পরিমাণ অর্থ জীবন চালনা ও যাতায়াত খরচ হিসেবে মা-বাবার হাতে তুলে দেয়।
ইউক্রেনের
কিয়েভ ইকোনমিকস ইনস্টিটিউটের গবেষক ওলেনা নিজালোভা এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ইউরোপ
ও আমেরিকায় গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, সব সন্তান তাদের মা-বাবার হাতে কম বেশি
অর্থ দিয়ে থাকে। কিন্তু সন্তানরা যখন ক্রমান্বয়ে ধনী হতে থাকে, তখন
মা-বাবার ওপর দায়িত্বহীনতা বাড়লেও খরচ সেই অনুপাতে করে না। ছেলে-মেয়েতেও
আবার তফাত আছে। যদি কোনো মেয়ের মোট উপার্জনের ১০ শতাংশ বাড়ে, সে ক্ষেত্রে
ওই মেয়ে তুলনামূলকভাবে মা-বাবার প্রতি ৩৬ শতাংশ কম খরচ করে। অন্যদিকে ছেলের
সমপরিমাণ উপার্জন বাড়লে সে ১৮ শতাংশ কম খরচ করে। তারা জীবনের অন্য
ক্ষেত্রগুলোতে বাড়তি অর্থের খরচ বাড়ায়। কিন্তু মা-বাবার দিকে নজর থাকে
প্রায় আগের মতোই। আমেরিকান দুই হাজার ৭৯০ নারী-পুরুষের ওপর এ গবেষণা চালানো
হয়েছে, যাঁদের সঙ্গে তাঁদের মা-বাবা ও শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন। সূত্র : দ্য
টেলিগ্রাফ অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill

Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- চোখের পানির রহস্য
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- ঘোড়ার সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব নয় হাজার বছরের!
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
Popular Posts Last 7 Days
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- পুরুষের স্বাস্থ্য: ১০টি স্বাস্থ্যঝুঁকি
- গীতা সারাংশ
- কেন তাঁরা চিরকুমার
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- সুন্দর বনকে ভোট দিন, আপনার একটি ভোটে বাংলাদেশ কে আরা ব্যাপকভাবে পরিচিত করুন। আসুন সুন্দর বন থেকে একটু ঘুরে আসি এবং এর সর্ম্পকে জানি।
- চোখের পানির রহস্য
- গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment