ধ্যানে চিন্তা বদলায়

প্রায় সব ধর্মেই কোনো না কোনোভাবে ধ্যানের প্রচলন রয়েছে। তবে এর চর্চা বৌদ্ধ ধর্মেই বেশি হয়ে থাকে। সেই প্রাচীনকাল থেকে সাধকরা বলে আসছেন, ধ্যানে মনে শান্তি আসে, শরীরকে শান্ত করা বা ব্যথা, ক্লান্তি, স্ট্রেস, শ্বাসকষ্ট_এসব নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এবার বিজ্ঞানীরা বৌদ্ধভিক্ষুদের (সন্ন্যাসী) মস্তিষ্ক স্ক্যান করে ধ্যান প্রক্রিয়ায় যে মানুষের চিন্তার বিন্যাসের পরিবর্তন সম্ভব, তা স্বীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের স্নায়ুবিজ্ঞানীরা তিব্বতের প্রথম সারির ২০ জন বৌদ্ধভিক্ষুর মস্তিষ্ক স্ক্যান করে ধ্যানে তাঁদের মন বা চিন্তার বিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হন। গবেষকরা ওই সব ভিক্ষুকে পাঁচ টন ওজনের একটি এফএমআরআই নামক বেশ বড়সড় একটি যন্ত্রের ভেতর বসিয়ে ধ্যান করতে দেন। তখন ধ্যানের ফলে তাঁদের রক্ত চলাচলের অবস্থা যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকদলের এক বিজ্ঞানী জোরান জসিপ্রোভিক জানান, ধ্যানের ফলে ওই ভিক্ষুদের মস্তিষ্কের স্তরগুলোতে একধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। ফলে তখন তাঁদের চিন্তার গতিপ্রবাহও পাল্টে যাবে_এটাই স্বাভাবিক। এভাবেই তাঁরা অদ্বৈত বা একাত্মময় জগতে প্রবেশ করে থাকেন। যেখানে তাঁরা নিজেকে চিন্তাশূন্য করার চেষ্টা করেন বা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তু বা পরিবেশ স্মরণ করে স্বস্তি পান এবং সুখ অনুভব করে থাকেন। ১০ বছর ধরে ধ্যান বিষয়ে গবেষণায় এ ধরনের ফল পাওয়া গেছে। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।

কালের কন্ঠ অবলম্বনে