বুধবার এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং করাচ্ছেন এ রকম শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং ব্যবসা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা।”
ক্লাসরুমে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়া হলে কোচিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না, বলেন তিনি।
কোচিং করানোর পেছনে কম বেতনের যুক্তি নাকচ করে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকরা বলেন, বেতন-ভাতা কম; অথচ এ সরকারের আমলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে।”
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে রুলের জবাব
‘কোচিং বাণিজ্য’ বন্ধে হাইকোর্টের রুলের জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে গঠিত ৪ সদস্যর একটি কমিটি ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জবাব জমা দেবে।
দেশের সব সরকারি ও এমপিওভুক্ত বিদ্যলয়ের শিক্ষকদের কোচিং করানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা ১৭ অক্টোবর জানতে চায় হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিবসহ ২০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলে হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম সভাপতি জিয়াউল করিম দুলু কোচিং বাণিজ্য বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে ব্যবস্থা
শিক্ষার্থী ভর্তিতে স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। যে সব স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি করে তদন্ত করছে এ কমিটি।
মন্ত্রী বলেন, কোন স্কুল কত টাকা কীভাবে নিয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা নিয়ে সভায় শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment