অনিল-কন্যা সোনম কাপুর। মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রতিদিন একটা করে দুই লিটার আইসক্রিম, দুটি বড় পিত্জা, দিনে ১০টি বড় খাবারের দরকার পড়ত তাঁর। বাবা-মা সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। পরিবার ছেড়ে একা সোনম বিরহ ব্যথা ভুলতেই খাবারকে আপন করে নেন। ফলে চার মাসের মধ্যে ৫০ কিলোগ্রাম থেকে ওজন ৯০ কিলোগ্রাম। সোনমের শরীরের বেহাল অবস্থা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন তাঁর মা সুনিতা। তিনি মেয়ের খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়ামের ওপর এতটাই কড়াকড়ি করেন যে মাত্র কয়েক মাসে সোনম ৩৫ কিলোগ্রাম ওজন ঝরিয়ে ফেলেন। সোনম প্রথমেই প্রিয় আইসক্রিম এবং চকলেট ত্যাগ করেছিলেন। সকালে এক গ্লাস পানি, মধু এবং লেবুর রস দিয়ে দিন শুরু হয় তাঁর। সাদা ভাত, চিনি, লবণ, রুটিকেও বিদায় দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে ডিমের সাদা অংশ, মৌসুমি ফল, সালাদ সোনমের টেবিলে থাকবেই। সাঁতার এবং কত্থক নাচ নিয়ম করে করেন। যোগব্যায়ামেও কখনো ফাঁকি দেন না।
হূতিক রোশন, আমিশা প্যাটেল, কারিনা কাপুর, কারিশমা কাপুররাও একটা সময় ওজনের কারণে হাসির খোরাক জুগিয়েছিলেন অনেকেরই। সবাইকে অবাক করে ওজন কমিয়েই তাঁরা অভিনয়ে এসেছেন। ওদিকে প্রায় ২১০ কিলোগ্রাম ওজনের আদনান সামি অনেকটা ভেল্কিবাজির মতো এক বছরে ১৩০ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছিলেন। আর এখন সামির ওজন ৭৪ কিলোগ্রাম। একটা সময় পাঁচ মিনিট টানা হাঁটতে পারতেন না তিনি, প্লেনে শুধু তাঁর জন্য সিট বেল্ট বাড়াতে হতো, বেশির ভাগ সময় হুইলচেয়ারে থাকতেন, এমনকি চিত হয়ে শুতেও পারতেন না। কিন্তু এখন? প্রতিদিনই গান, নতুন সংসার, স্কোয়াশ, টেনিস—এসব নিয়ে দিব্যি সুখে দিন কাটাচ্ছেন সামি। সামি বলেন, ‘আগে একটা সময় ২৪ ঘণ্টায় দুবার ভারী খাবার খেতাম। চিকিত্সকেরা আমাকে ভাত, চিনি, তেল, রুটির মুখই দেখতে দেননি অনেক দিন। শুধু সালাদ এবং তন্দুরি মাছের ওপর রেখেছিলেন।’ আসলে ফিট না থাকলে হিট হওয়া সম্ভব নয়। আর তাই পছন্দের ডিশটি ছলছল চোখে সরিয়ে রাখা থেকে শুরু করে সকাল-সন্ধ্যা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা—কোনো কিছুতেই এখন তারকাদের ‘না’ নেই!
রুম্মান রশীদ খান
বলিউড হাঙ্গামা, আইএমডিবি, বিজনেস অব সিনেমা, ফিল্মফেয়ার, বলিউড মান্ত্রা, হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি ডট কম অবলম্বনে
0 comments:
Post a Comment