তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় অনুভুতি
জেনার কার্ড, বিংশ
শতাব্দীর প্রথম দিকে অতিইন্দ্রিয় উপলব্ধি সংক্রান্ত পরীক্ষামূলক গবেষণায় ব্যবহৃত
বিশেষ কার্ড।
আজ আমি
আপনাদের সাথে আমার ভাললাগার একটি বিষয় নিয়ে বলব, হা সেটা
সাইকোলজি। আমি এটার উপর ব্যাক্তিগতভাবে কিছু পড়াশোনা করেছিলাম অবশ্য এখনও কোথাও
পেলে ছাড়িনা। তবে এখন যেটা নিয়ে বলব সেটা প্যারা সাইকোলজির উপর। তাহলে আসুন শুরু
করা যাক।
ধরুন
আপনি আপনার নতুন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছেন। হুট করেই বন্ধুটি এমন কিছু কথা বলে বসলো
যা কখনো আপনি তাকে জানাননি। কথাগুলো কিন্তু মিথ্যে নয়। এই কথাগুলো আপনার মনের
ভেতর ছিল। কিন্তু আপনার বন্ধু সে কথা জানলো কী করে? মনের কথা
জানা বা অনুমান করার এই অদ্ভুত ক্ষমতাকেই টেলিপ্যাথি বলে। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ
আছে যারা প্রকৃতির আশীর্বাদপুষ্ট। নিজেদের অদ্ভুত ক্ষমতাবলে বুঝে নিতে পারে পাশের
মানুষটির মানসিক অবস্থা। বলে দিতে পারে তার না বলা কথা। আবার কেউ কেউ নিজের
চিন্তা-ভাবনা মুহূর্তেই ঢুকিয়ে দিতে পারে অন্যের মনে। তারা দেখতে পারে মানুষের
আত্মাও! এরকম বিষয় নিয়েই আলোচনা করে প্যারা সাইকোলজি।
অতীন্দ্রিয়
উপলব্ধি (ইংরেজীতে: Extrasensory perception) বলতে
বোঝায় মনের বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ। এক্ষেত্রে স্বভাবিকভাবে শারীরিক
কোন উপায়ে তথ্য লাভ করা হয় না। পরিভাষাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন স্যর রিচার্ড
বার্টন, ডিউক
ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জে. বি. রাইন বিভিন্ন
আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য অতিইন্দ্রিয় উপলব্ধিকে ব্যবহার করেন।
অতিইন্দিয় উপলব্ধিকে অনেক সময় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নামেও অভিহিত করা হয়। এই
পরিভাষাটি সাধারণ উপায় ব্যতিরেকে বিশেষ উপায়ে তথ্য লাভকে নির্দেশ করে। যেমন-
মনের দ্বারা অতীতকালের তথ্য লাভ।
প্যারাসাইকোলোজি
হল অতিন্দ্রিয় সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক বিদ্যা। বিজ্ঞানীরা সাধারণত অতিইন্দ্রিয়
উপলব্ধিকে অগ্রাহ্য করেন, কারণ
এক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য অনুপস্থিত থাকে। এছাড়া পরীক্ষামূলক পদ্ধতি না
থাকায় এ পদ্ধতির কোন সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্যতা না থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা একে
পুরোপুরি গ্রহণ করেননি।
ইতিহাস:
১৯৩০
সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জে. বি. ও তাঁর
স্ত্রী লুসিয়া মনস্তাত্বিক গবেষণাকে পরীক্ষামূলক গবেষণায় উন্নীত করার চেষ্টা
করেন। লুসিয়া রাইন মূলত স্বতঃস্ফূর্ত বিষয়গুলো নিয়ে এবং জে. বি. রাইন
পরীক্ষাগারে কাজ করতে থাকেন। জে. বি. রাইন খুব সতর্কতার সাথে পরিভাষাসমূহ লক্ষ্য
করেন এবং এজন্যে তিনি বাস্তব নিরীক্ষা চালান। এসময় কিছু সরল কার্ডের সেট উদ্ভাবন
করা হয়। এগুলোকে বলে জেনার কার্ড। বর্তমানে এগুলোকে বলে ইএসপি কার্ড. এসব কার্ডে
বৃত্ত, বর্গ, তরঙ্গাকৃতির
রেখা, ক্রস এবং তারকার ন্যয় চিহ্ন রয়েছে। এরকম চিহ্নসম্বলিত
পাঁচধরণের কার্ড ২৫ টি কার্ডের একটি প্যাকেটে থাকে।
একটি
টেলিপ্যাথি পরীক্ষায় প্রেরক কার্ডসমূহের একটি সিরিজের দিকে লক্ষ্য করেন, অপরদিকে গ্রাহক চিহ্নগুলো অনুমান করেন। আলোকদৃষ্টি পরীক্ষার
ক্ষেত্রে, কার্ডের সেটটি গোপন করা হয় এবং গ্রাহক অনুমান করতে থাকেন।
পূর্বাহ্নে লব্ধ জ্ঞান বা প্রিকগনিশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে, গ্রাহকের অনুমানের পর কার্ডগুলোর ধারা নির্ধারণ করা হয়।
এসকল
পরীক্ষায় কার্ডের ধারা অবশ্যই যথেচ্ছভাবে থাকতে হবে, যাতে পূর্বেই এ ব্যাপারে অবহিত না হওয়া যায়। প্রথমে
কার্ডগুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করা হয় এবং পরবর্তিতে যন্ত্রের মাধ্যমে। ইএসপি কার্ড
ব্যবহারের একটী সুবিধা হল, পূর্ব-প্রত্যাশার
চেয়ে উত্তরের যথার্থতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান সহজেই প্রয়োগ করা
যায়। রাইন সাধারণ লোককে পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করেন এবং দাবি করেন, তারা প্রত্যাশার চেয়ে ভাল করেছে।
১৯৪০
সালে রাইন ও জে. জি. প্র্যাট ১৮৮২ থেকে অদ্যাবধি কার্ডভিত্তিক অনুমান সংশ্লিষ্ট
পরীক্ষাগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা রচনা করেন। এর নাম এক্সট্রা-সেন্সরি
পার্সেপশন আফটার সিক্সটি ইয়ার্স (Extra-Sensory
Perception After Sixty Years)। এটি
বিজ্ঞানের প্রথম মেটা-অ্যানালাইসিস হিসেবে স্বীকৃত। এতে রাইনের পরীক্ষার সকল
প্রশ্নোত্তর সন্নিবেশিত আছে। এখানে ৫০টি পরীক্ষার কথা উল্লেখ আছে, এর মধ্যে ৩৩টিতে রাইন ছাড়াও অন্যান্য তদন্তকারীর ও ডীউক
ইউনিভার্সিটি গ্রুপের অবদান রয়েছে। ৬১% স্বাধীন পরীক্ষার ফলাফল ইএসপি-এর সপক্ষে
যায়। এসবের মধ্যে কলোরাডো ইউনিভার্সিটি এবং হান্টার কলেজ, নিউ ইয়র্কের মনস্তাত্বিকগণ সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন সর্বাধিক
সংখ্যক বিচারকার্য সম্পাদন করেন।কিছু প্রশ্নোত্তরের ব্যর্থতা রাইনকে আরও গবেষণা
করতে উৎসাহিত করে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Mysterious,
Pcycology,
Philosophy,
Thesis,
অদেখা ভুবন,
গবেষনা,
দর্শন,
ধ্যান
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- অসাধারন এবং বিরল কিছু মেঘের ছবি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
- স্বাস্থ্যকর জীবনরীতি – নিরামিষ ভোজন
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- কেন তাঁরা চিরকুমার
- রাজপথের দীর্ঘ আলপনা
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- ওজন কমানোর দাওয়াই
- টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় অনুভুতি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বঙ্কিমচন্দ্র–রবীন্দ্রনাথ ধর্মতর্ক
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
- সঠিক জীবনদৃষ্টি !! জীবনে আনে প্রশান্তি !!
- চকলেট এর উপকারীতা
- বহুদিন বাদে জলঢুপি কমলা
- সৌন্দর্যবর্ধক চিকিৎসা নিচ্ছেন এরশাদ
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment