সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
সঠিক জীবনদৃষ্টি !! জীবনে আনে প্রশান্তি !!
লেখক: মহাজাতক
বই: আলোকিত জীবনের হাজার সুত্র কোয়ান্টাম কণিকা
ছোট ছোট ভাবনা, ছোট ছোট স্বপ্ন আর ছোট ছোট কাজের সমষ্টি জীবন। প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন, প্রতিটি কাজই জীবনকে প্রভাবিত করে। আর সে প্রভাব ইতিবাচক হবে না নেতিবাচক হবে তা নির্ভর করে জীবনদৃষ্টির ওপর।
সাফল্যের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করে সঠিক জীবনদৃষ্টি। আর ব্যর্থতার পেছনে সুপ্ত থাকে ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি। জীবন কণিকায় ছোট ছোট বাক্যে আলোকিত মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে আনা হয়েছে। আর দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক হলে আপনিও সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় এগিয়ে যাবেন সফল জীবনের পথে।
১. দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।
২. দিনে কমপক্ষে ২০ বার বলুন - 'আমি ভাল আছি।'
৩. প্রো- একটিভ হোন। প্রো - একটিভ মানুষের প্রতি অন্যেরা আকৃষ্ট হয়।
৪. রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
৫. রাগান্বিত অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
৬. সাহসী হোন। মনে মনে ভয় থাকলেও সাহসের ভান করুন। কেউই ভান এবং সত্যিকার সাহসের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা।
৭. পৃথিবী সাহসী মানুষের জন্যে। তাই সব সময় মনে মনে বলুন - 'আমি সাহসী। আমি নির্ভিক।'
৮. দুশ্চিন্তা ও উৎকন্ঠা দিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রত্যয় ও সাহস দিয়েই মানুষ নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করেছে।
৯. মানুষ যা ভাবতে পারে, যা বিশ্বাস করতে পারে, তা অর্জন করতে পারে।
১০. মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রুপান্তরিত করে।
১১. আপনার অতিচেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্যে প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত। প্রতিদিন হাজারো কাজের ফাঁকে এই নীরব মুহূর্ত বের করে নিন।
১২. প্রকৃতির সাথে একাত্ত হোন। প্রকৃতি দেহ, মন, ও আত্নার মাঝে সবসময় ভারসাম্য এনে দেয়।
১৩. যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
১৪. কুৎসা ও কান কথা থেকে দূরে থাকুন।
১৫. নিয়ত হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রন করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ - মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।
১৬. ব্যর্থতার মাঝেই সুপ্ত আছে সাফল্যর বীজ।
১৭. অন্যর কাছ থেকে যে ব্যবহার প্রত্যাশা করেন আগে নিজে সে আচরণ করুন।
১৮. নিজের ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন।
১৯. সকল ভয়ই মৃত্যু ভয়ের প্রকাশ্য ছদ্মাবরণ। পরিবর্তনকে ভয় পাই বলেই আমরা ভয় দ্বারা আক্রান্ত হই।
২০. কারো আশাকে নষ্ট করবেননা, হয়তো এ আশাই তার শেষ সম্বল।
২১. ভাল বক্তার চেয়ে ভাল শ্রোতা অন্যকে সহজে প্রভাবিত করে।
২২. সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহণে সাহসী হোন
২৩. সবাইকে আগে সালাম দিন।
২৪. যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই 'না' বলুন।
২৫. 'আমি এ বিষয়ে জানিনা' - এ কথাটি বলতে কখনো ভয় পাবেন না।
২৬. 'আমি দুঃখিত' কথাটি সবসময় আন্তরিকতার সাথে উচ্চারণ করুন।
২৭. কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ই দরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়।
২৮. ' সমস্যা ' শব্দটির পরিবর্তে ' সম্ভাবনা ' শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।
২৯. যেকোনো সমস্যাকে বিপদ না ভেবে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।
৩০. দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না । যখন যা করা প্রয়োজন, তখনই তা করুন।
৩১. মনোযোগ ও নিমগ্নতাই প্রিতিটি কাজের একঘেয়েমি দূর করে। কাজই হয়ে ওঠে তখন আনন্দের উৎস।
৩২. নিজের প্রতি পরিপূর্ণ মনোযোগ আপনাকে অনন্য করে তোলে। নিজের প্রতি পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়ার উপায় হচ্ছে মেডিটেশন।
৩৩. বাস্তবতা আমাদের অন্তর্গত ধারনারই প্রতিফলন। অন্তর্গত ধারণা বদলে গেলে বাস্তবতাও বদলে যায়।
৩৪. প্রতিটি জিনিসকে পুরোপুরি গ্রহণ করুন। তাহলেই আপনি এ থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারবেন।
৩৫. দেহ হচ্ছে আত্নার বহিরাবরণ। দেহের সীমাবদ্ধতা আছে; আত্নার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আত্না হচ্ছে বিশুদ্ধ শক্তি। মনোগত দৃষ্টিভঙ্গির উপরই এর প্রকাশিত রুপ নির্ভর করে।
৩৬. আমরা সবাই কিছু দৃশ্য বা ছবি কল্পনা করি। আমাদের সৃষ্ট কল্পনা বা মনছবিতেই আমাদের প্রতিটি কোষ ক্রমান্বয়ে আস্থা স্থাপন করে।
৩৭. মনছবি মিসাইলের মতো লক্ষ্যভেদ করে।
৩৮. প্রশান্ত মনই শক্তির আসল ফল্গুধারা।
৩৯. প্রশান্ত মন নিরাময় প্রক্রিয়াকে বেগবান করে। মনের সুখ দেহের অসুখকে সবসময় ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
৪০. পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সৃষ্টি যে চিন্তা ও অনুভুতি দ্বারা তার জৈবিক অবস্থা বদলাতে পারে।
৪১. ' দেহ ও মনে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারি ' - এ বিশ্বাসই পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে প্রথম প্রয়োজন।
৪২. সভ্যতার সব কিছু মানুষের সৃষ্টি। আপনিও মানুষ।
৪৩. নতুন উপলব্ধি নতুন সমাধান দিতে পারে।
৪৪. জীবনের লক্ষ্যকে পরিষ্কার রাখুন। সবসময় বিশ্বাস করুন - বড় কিছু করার জন্যে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন।বিশ্বাসের আলোকে কর্মপন্থা রচনা করুন। ঝর্ণার গতিময়তায় কাজ করুন। সাফল্য আপনার পদচুম্বন করবেই।
৪৫. মনে মনে সবসময় বলুন - ' আমি এক অনন্য মানুষ। আমার আত্নিক ক্ষমতা অসীম। সারা পৃথিবী আমার। যেখানে দরকার সেখানে যাবো। যা প্রয়োজন তা - ই নেবো। যা চাই তা - ই পাবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণ করবো।
৪৬. উষ্ণ হ্রদয় ও ঠান্ডা মস্তিষ্কের সম্মিলনেই সাধারণ মানুষ অনন্য মানুষে রুপান্তরিত হয়।
৪৭. আপনি কসমিক ট্র্যাভেলার - মহাজাগতিক মুসাফির। আপনার জন্ম নেই , মৃত্যু নেই। কিছু সময়ের জন্যে পৃথিবী পরবভ্রমন করছেন মাত্র। এই ভ্রমন শেষে শুরু করবেন আরেক ভ্রমন।
৪৮. ভ্রান্ত ধারনা ও সংস্কারের শৃংখলমুক্তির পথ মেডিটেশন। মেডিটেশন অন্তর্লোককে উদ্ভাসিত করে নতুন জ্ঞান ও উপলব্ধিতে আর সংযুক্ত করে ' অন্তরের আমি ' র সাথে - আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে - সৃষ্টি করে মুক্ত বিশ্বাস।
৪৯. ভ্রান্ত ধারনা ও সংস্কারের শৃংখল ভেঙ্গে মুক্ত বিশ্বাসে উপনীত হওয়াই হচ্ছে মানুষে আসল স্বাধীনতা।
৫০. সৎসঙ্ঘ সবসময় আপনার আত্নবিশ্বাসে সহায়ক। সৎসঙ্ঘ এক আত্নিক বন্ধন যা সীমাহীন প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি প্রদান করে।
৫১. সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ হোন। অসংগঠিত সত্য শক্তিহীন। সঙ্ঘবদ্ধতাই সত্যে শক্তি সঞ্চয় করে। অসত্যের ওপর সত্যকে বিজয়ী করে।
৫২. বিশ্বাস শৃংখল মুক্ত করে। আর গোঁড়ামি শৃংখলিত করে।
৫৩. গোঁড়ামি বিশ্বাসের প্রবহমান ঝর্নাকে বদ্ধ ডোবায় পরিণত করে।
৫৪. শৃংখলাই শৃংখলমুক্তির পথ।
৫৫. বাস্তবতা নির্মাণের শক্তি আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে। বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ বিশালতাকে সীমিত করে ফেলি।
৫৬. সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য ধারনা সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এ অবিদ্যাই মানব্জীবনের অশান্তির মূল কারন।
৫৭. মনছবি হলো চাওয়া ও চাওয়ার প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাওয়া।
৫৮. বাধা পেয়ে যে ফিরে আসে তার সব শেষ হয়ে যায়। একজন মানশষ প্রথম পরাজিত হয় তার নিজের কাছে।
৫৯. আত্নবিকাশের অধিকার কেউ কাউকে দেয়না। তা আদায় করে নিতে হয়।
৬০. ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে সংকটে রুপান্তরিত করে। আর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে পরিনত করে নতুন সম্ভাবনায়।
৬১. বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতারকদের একটি সাধারন টোপ।
৬২. সর্বাবস্থায় শোকরগোজার থাকুন। কারন আপনি যত খারাপ অবস্থায়ই থাকুন না কেন, জেনে রাখুন - আপনার চেয়েও খারাপ অবস্থায় কেউ আছে।
৬৩. আজন্ম লালিত পরিবেশ সবসময় নতুন কিছু করতে বাধা দেয়। বুদ্ধিমানরা সবসময় আগে শুরু করে, বোকারা শুরু করে দেরিতে।
৬৪. মুক্তির পথে অন্তরায় হলো অনিশ্চয়তাবোধ এবং ঝুঁকি নেয়ার সাহসের অভাব।
৬৫. বস্তুর সীমাবদ্ধতা হলো - তা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু পাওয়া হয়ে গেলেই তা তৃপ্তি দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
৬৬. কোন পরাজয়ই ব্যর্থতা নয়, যদি সে পরাজয় মানসিবভাবে আপনাকে পরাজিত করতে না পারে।
৬৭. সময়ের যোগফলই জীবন। সে মানুষই সফল, যে পরিকল্পিতভাবে সময়কে কাজে লাগায়।
৬৮. সময়কে নিয়ন্ত্রনে রাখুন, অনেক কিছুই আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৬৯. প্রয়োজন ও অভাববোধ এক নয়। অভাববোধ হলো প্রয়োজন মেটার পরও আরও বেশি পাওয়ার জন্যে অস্থিরতা।
৭০. আত্নিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। আত্নিক সম্পর্ক ভালো কাজে অনুপ্রানিত করে।
৭১. মানুষ যখনই সীমালঙ্ঘন করেছে - মন্দ কাজে , এমনকি ভালো কাজেও - তখনই তার জীবনে বিপর্যয় এসেছে।
৭২. কর্ম ছাড়া প্রার্থনা কবুল হয় না।
৭৩. সবলের অহম প্রকাশ পায় শক্তির মদমত্ততায়। আর দুর্বলের অহম প্রকাশ পায় ঘৃনায়।
৭৪. জৈবিক আমিত্ন বিপন্নবোধ করলেই আমরা দুর্ব্যবহার করি। দুর্ব্যবহার আমাদের পশু সত্তার স্বরুপ প্রকাশ করে।
৭৫. চাওয়া যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা আসক্তি। দুঃখের প্রধাণ কারন এই আসক্তি।
৭৬. ক্ষোভ হচ্ছে এমন এক বিষ যা আপনি নিজে পান করেছেন আর ভাবছেন মারা যাবে আপনার প্রতিপক্ষ।
৭৭. আত্নবিশ্বাস এবং অহংকারের মধ্যে পার্থক্য হলো - আত্নবিশ্বাসের ভিত্তি আত্নজ্ঞান আর অহংকারের ভিত্তিই জৈবিক চেতনা।
৭৮. প্রতি মূহুর্তে হাজারটি বিকল্প কর্মপন্থার মধ্যে থেকে সর্বোত্তমটি বেছে নেয়ার স্বতঃর্ষ্ফূর্ত ক্ষমতাই প্রজ্ঞা।
৭৯. মনের অতিচেতন স্তর মহাবিশ্বের সকল জ্ঞানভান্ডারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। আত্ননিমগ্ন অবস্থায়ই অতিচেতন স্তর থেকে জ্ঞান ও উপলব্ধি সচেতন স্তরে প্রবেশ করে।
৮০. দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে বা গোপনে , সচ্ছল বা অসচ্ছল অবস্থায় নিয়মিত দান স্রষ্টার রহমত আনে। তাই প্রশান্তি প্রাচুর্য ও সমস্যামুক্তির জন্যে দান করুন।
৮১. দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন।
৮২. আন্তরিক প্রার্থনায় প্রার্থনা , প্রার্থনাকারী ও প্রার্থনা কবুলকারী একাকার হয়ে যান।
৮৩. জানাকে মানায় রুপান্তর করতে না পারলে সে জানা অর্থহীন।
৮৪. প্রতিযোগীর যে কোন বক্তব্য বা সমালোচনাকে মুল্যায়ন করুন। সে - ই বিজয়ী হয় , যে প্রতিপক্ষের কৌশল সম্মন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখে।
৮৫. পথে নামলে পথই পথ দেখায়।
৮৬. প্রতিপক্ষের সাথে সংলাপের পথকে কখনও বন্ধ করবেন না। কারন বিশ্বাস নিয়ে মোকাবেলা করলে পৃথিবীর কোন প্রতিপক্ষই অজেয় নয়।
৮৭. আপনার পরিচিত বলয়ের ঈর্ষাকারী ও পরচর্চাকারীদের সাথে মানসিক সম্পর্ক ছেদ করুন। তাহলেই তারা আর আপনের প্রশান্তি নষ্টের কারন হবেনা।
৮৮. কাম শৃংখলিত করে। আর প্রেম জীবনকে শৃংখলমুক্ত করে।
৮৯. সংশয় হলো বিশ্বাস অ অবিশ্বাসের মধ্যবর্তী অবস্থান। বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংশয়।
৯০. যে সম্পর্ককে ছেদ করা যায় না, সে সম্পর্কের মাঝে দেয়াল রচনা করবেন না। সেখানে মমতার বন্ধন তৈরি করুন।
৯১. নতুন বন্ধুত্ব করুন। কিন্তু পুরনো বন্ধুত্বকেও গুরুত্ত্ব দিন।
৯২. মুক্ত বিশ্বাস থেকেই শুরু হয় মানবিকতার উত্থানপর্ব। মুক্ত বিশ্বাস প্রতিটি কাজে চিত্তকে করে একাত্ন। আর কাজের সাথে একাত্ন হতে পারলেই প্রতিটি কাজ হয়ে ওঠে আনন্দের উৎস।
৯৩. রাগ ও অভিমান করে বোকা ও দুর্বলরা। বুদ্ধিমানরা কৌশলে পরিস্থিতি বদলে দেয়।
৯৪. সমাজিক মুখোশ নয়, অন্তর্গত শক্তি হচ্ছে ব্যক্তিত্ব।
৯৫. অন্যকে সে - ই অনুপ্রাণিত করতে পারে যে অন্যের দ্বারা প্রবাভিত হয় না।
৯৬. নিজের পরিবর্তন না এনে আমরা অন্যের পরিবর্তন দেখতে চাই। তাই আমাদের সত্যিকার পরিবর্তন আসে না।
৯৭. মানুয যখন অবৈজ্ঞানিক অ প্রকৃতি - বিরুদ্ধে জীবন যাপন করেছে তখনই তার দুঃখ ও দুর্ভোগ এসেছে।
৯৮. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেইএর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যত।
৯৯. আহাম্মক বিশ্রাম খোঁজে । আর বুদ্ধিমান খোঁজে শুধু কাজ।
১০০. সত্যিকার যোদ্ধা সে - ই , যে জানে কখন অস্ত্র সংবরণ করতে হয়।
১০১. নেতৃত্বকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনিও নেতা হতে পারবেন।
১০২. সংখ্যা শক্তি নয়। শক্তি হলো বিশ্বাস ও সঙ্ঘবদ্ধতা । পৃথিবীকে সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে লক্ষ্য সম্পর্কে দৃঢ় প্রত্যয়ী সঙ্ঘবদ্ধ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ।
১০৩. সকল বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান হলো জীবনযাপনের বিজ্ঞান।
১০৪. ভয় বা আশংকা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা।
১০৫. সমস্যায় পড়লেই সমাধানের জন্যে উৎকন্ঠিত হবেন না। সমস্যাকে তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।
১০৬. কাজে উদ্যেগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয়।
১০৭. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গ্রহ - নক্ষত্র সৃষ্টি হয়। আর মানুষের মেধা বিকশিত হয় সযত্ন প্রয়াসের মধ্য দিয়ে।
১০৮. বই-কিতাব পড়ে তাত্ত্বিক বা তার্কিক হওয়া যায়, আত্ন আবিষ্কারক হওয়া যায়না। আত্ন আবিষ্কারের জন্যে প্রয়োজন আত্ননিমগ্নতা।
১০৯. হিরণ্ময় মৌনতয় মন প্রবেশ করে চিন্তার উৎসমূলে। আর সে মূল থেকে উৎসারিত নতুন চিন্তাতরঙ্গ. সুনামির মতোই সংকীর্ণ আচরণ-অভ্যাসের জঞ্জালকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
১১০. যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
১১১. সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। অতীতের দিকে তাকালে দেখবেন কাজ করে অনুতাপ করার চেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করে আপনি বেশি অনুতপ্ত হয়েছেন।
১১২. যে স্বপ্ন দেখতে জানে, প্রতীক্ষা করতে পারে, সে প্রতীক্ষার কষ্টও হাসিমুখে সইতে পারে।
১১৩. আমরা খ্যাতিমান হতে চাই। কিন্তু খ্যাতির জন্যে নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করি না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌছতে পারিনা।
১১৪. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত বৈপ্লবিক ও নতুন ধারণা এসেছে, তা প্রথমে কোনো একজনের মস্তিষ্কে নীরব মুহূর্তে এসেছে। কমিটি-কমিশন কোনো নতুন ধারণার জন্ম দিতে পারে নি।
১১৫. প্রতিটি মানুষ বড় হতে পারে তার জীবনের মনছবি বা স্বপ্নের সমান।
১১৬. একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে।
১১৭. যে বলার পেছনে অনুশীলন নেই তা ক্ষণিকের জন্যে মোহিত করলেও শ্রোতাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে না।
১১৮. আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বি হতে পারেনি। যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না।
১১৯. শোকর হোল আনন্দে স্নাত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। আর সবর হলো প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে নীরব সংগ্রাম।
১২০. আনন্দের অনুভুতি মনের শক্তিকে স্বতঃষ্ফুর্তভাবে কাজে লাগায়।
১২১. দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
১২২. নিখুঁত অ বাস্তবানুগ পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সুসম্পন্নের অর্ধেক।
১২৩. বুদ্ধিমানরা সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।
১২৪. নিজের কাজে নিজে সৎ থাকুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।
১২৫. করতে না পারা আর না করে কাজ ফেলে রাখার মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে - প্রথমটি পারিপার্শ্বিক প্রভাবে প্রভাবিত আর দ্বিতীয়টি ব্যক্তির খেয়ালিপনা।
১২৬. প্রতিটি কাজ শুরু হয় শুন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পূর্ণতা পায়।
১২৭. প্রতিটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট।
১২৮. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন - কাজটি আপনি কেন করবেন।
১২৯. আত্না সবসময় ভাবে , ''আমি কী দিতে পারি'' । আর অহম ভাবে '' আমি কী পেতে পারি'' বা '' আমি কী পেলাম'' ।
১৩০. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যা কিছু নিয়ে অহংকার করা হয়েছে , তা-ই তার পতনের কারণ হয়েছে।
১৩১. জীবন থেকে সত্যেকে শিখুন। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সত্যই নিজস্ব হয়না।
১৩২. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।
১৩৩. সফল মানুষ বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেন আর ব্যর্থরা বাস্তবতার দোহাই দেয়।
১৩৪. স্থান কাল পাত্র বুঝে হাসি মুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুনে প্রষ্ফুটিত হয়।
১৩৫. কারো নিন্দায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। নিন্দুকেরা সবসময় প্রতিক্রিয়ার আশায় নিন্দা করে বেড়ায়।
১৩৬. প্রশংসায় আনন্দিত হলে নিন্দায়ও সমভাবে আনন্দিত হোন। যেখানে আপনি নিন্দিত সেখানেই আপনি নন্দিত- এই হোক দৃষ্টিভঙ্গি।
১৩৭. কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান।
১৩৮. আপনার সময় নেই - এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।
১৩৯. শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায় নি সে জানেনা অন্যকে কীভাবে সম্মান করতে হয়।
১৪০. মস্তিষ্ক মানুষকে মানুষ বানায়নি , হৃদয় মানুষকে মানুষ বানিয়েছে বিশ্বজনীন মমতার নিবাস হচ্ছে হৃদয়।
১৪১. পেশিশক্তির দাপট ক্ষণিকের, অন্তর্গত শক্তির স্থায়িত্ব অনন্তের।
১৪২. কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
১৪৩. সঠিক প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক।
১৪৪. সহপাঠি বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।
১৪৫. জীবনে ব্যর্থতার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব।
১৪৬. ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ন হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।
১৪৭. মেধার সঙ্গে যুক্ত হয়েই শ্রম রুপান্তরিত হয় সেবায়। সেবা ছাড়া যে অর্জন তা কখনো সম্পদে রুপান্তরিত হয় না।
১৪৮. অর্থ-বিত্ত বা খ্যাতি নয়, সাফল্য ও প্রাচুর্য হলো মানসিক ও পারিপার্শ্বিক এমন অবস্থা যেখানে প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়া রুপান্তরিত হয় পাওয়ায়।
১৪৯. প্রাচুর্য প্রতিটি মানুষের জন্মগত অধিকার।
১৫০. শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।
১৫১. জন্মসূত্র বা বংশমর্যাদায় নয়, মানুষের মহত্ত্ব তার কর্মে। কর্মই মানুষকে মানুষ করে, মহান করে, অমর করে।
১৫২. বিদ্যা বা জ্ঞান মানুষকে মানুষ বানায়। আর অবিদ্যা বা অপজ্ঞান মানুষকে হয় দানব না হয় দাসে পরিণত করে।
১৫৩. কোনো কাজ করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সে কাজটি আপনার ও অন্যের জন্যে কল্যাণকর কিনা। তাহলেই আপনি বিদ্যা ও অবিদ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।
১৫৪. কোথায় তাকে থামতে হবে- সীমালঙ্ঘনকারী তা কখনোই বুঝতে পারেনা। প্রতিটি দুর্দশার মূলে রয়েছে ব্যক্তির বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন।
১৫৫. বস্তুর বিনাশ আছে। বস্তু আপনার কাছে মুখ্য হয়ে উঠলে আপনিও আত্নবিনাশী শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়বেন।
১৫৬. শত ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমরা ব্যক্তি আমি'র যত্ন নিই না। কাজ এগিয়ে যায় কিন্তু ব্যক্তি পেছনে পড়ে থাকে। এ দুরত্ব একসময় ব্যক্তির জীবনে ছন্দপতনের কারণ হয়।
১৫৭. নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অন্তর্গত শক্তিকে জাগ্রত করা যায়। সকল পরিবর্তনের এই হচ্ছে শুরু।
১৫৮. যুক্তিসঙ্গত কারণে 'না' বলতে শিখুন। নিজের ও অন্যের কল্যাণার্থে প্রয়োজন দৃঢ় হতে দ্বিধা করবেন না।
১৫৯. নিজের জীবনের সীদ্ধান্ত নিজেই নিতে শিখুন। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
১৬০. আপনার অভিপ্রায় বা নিয়ত হচ্ছে আপনার নিয়তি।
১৬১. কারো প্রশংসায় অতি বিগলিত হবেন না। কারো সমালোচনায়ও বিব্রত বোধ করবেন না।
১৬২. কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন। মনকে জিজ্ঞেস করুন, ' এ মুহূর্তে আমার কী করণীয়।'
১৬৩. কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকলে কখনো ব্যক্তিত্ব অর্জিত হয়না।
১৬৪. সত্যের প্রবক্তা নিজেই যখন সত্যের বিপরীত আচরণ করেন, তখন সে সত্য মার খায়।
১৬৫. শাশ্বত সত্যবাণী যত বলা হয় তত তার মহিমা বাড়তে থাকে। যেমন একটি মোমবাই থেকে আরেকটি মোমবাতি ধরালে আলোর দ্যুতি বাড়ে।
১৬৬. আগুনকে ছাই চাপা দিয়ে যতই ঢেকে রাখা হোক, সে তার শক্তি ও ঔজ্জ্বল্য ঠিকই বিকিরণ করতে থাকে।
১৬৭. বন্দিত্ব ইট-পাথরের দেয়াল, লোহার শিকল বা পাটের দড়িতে নয়, আসল বন্দিত্ব হচ্ছে মনে। মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কেউ তার শৃঙ্খলকে ভাঙতে পারে।
১৬৮. ধ্যান, মোরাকাবা, মেডিটেশন একই সত্যে পৌছার সিঁড়ির ভিন্ন ভিন্ন নাম।
১৬৯. নিয়মিত সকালের আধঘন্টা মেডিটেশন আপনার চিন্তা, সিদ্ধান্ত ও নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
১৭০. অসাধারণত্ব একটি গুনের নাম , নারী বা পুরুষভেদে একক কোনো পক্ষের নয়।
১৭১. চেহারায়, দৈহিক গড়নে বা বাহ্যিক লেবাসে নয়, মডেল তিনি-ই যার গুনগুলোকে অনুসরণ করা যায়।
১৭২. প্রো-অ্যাকটিভ বা কর্মমুখী ব্যক্তিরাই হচ্ছেন যথার্থ স্মার্ট, মূল্যবোধসম্পন্ন, বাস্তববাদী এবং জানেন কোন পরিস্থিতিতে তাকে কী করতে হবে।
১৭৩. বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা স্মার্টনেস নয়, এটি পশুসুলভ প্রবণতা। প্রতিটি পশুই সহজাতভাবে বিপরীত লিঙ্গকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। সত্যিকার স্মার্ট সে-ই যার আন্তপ্রত্যয় ও গুণাবলী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে চারপাশের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে।
১৭৪. সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত মুল্যবান। এ মুল্যবান সময় কখনোই অন্যের ছিদ্রাণ্বষণে অপচয় করবেন না। একে গঠনমূলক কাজে ব্যয় করুন।
১৭৫. করতে হয় বলে করা আর ভালবেসে কাজ করা এক নয়। কাজকে যখন আপনি ভালবাসবেন কাজই তখন আপনাকে বহুগুনে প্রতিদান দেবে।
১৭৬. কাজের প্রস্তুতি নিতে নিতেই পুরো সময়কে নষ্ট করবেন না। যখন যা করা প্রয়োজন তখনই তা শুরু করুন।
১৭৭. একশত ভাগ নিখুঁত কর্মসম্পাদনকারী হতে যাবেন না।
১৭৮. দৈনন্দিন কাজের রুটিন করার ব্যাপারে আপনি স্বাধীন। কিন্তু তা ভঙ্গের স্বাধীনতা আপনার নেই।
১৭৯. প্রাত্যহিক কর্মতালিকা করুন কাজের গুরুত্ব বুঝে। আর তা অনুসরণ করুন আপনার রুটির অনুসারে।
১৮০. বুদ্ধিমান সে যে তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানে এবং সেখান থেকেই পথ চলা শুরু করে।
১৮১. আপনাকে ব্যবহার করে সুযোগ নিতে চায় - এমন স্বর্থান্বেষীদের ব্যাপের সতর্ক থাকুন।
১৮২. প্রতারণা করা অপরাধ। আর প্রতারিত হওয়া তার চেয়েও বেশি অসম্মানের।
১৮৩. আর্থিক লেনদেনর ক্ষেত্রে সবসময় লিখিত প্রমাণ রাখুন।
১৮৪. রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রুপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।
১৮৫. শেষ পর্যন্ত সবকিছুই হয়তো আপনার প্রত্যাশা পূরণের পথকে সুগম করে দেবে। তাই প্রতিটি সুযোগের সদ্বব্যবহার করার জন্যে সবরের সাথে কাজ করুন।
১৮৬. জীবন গতির নাম, স্থিতির নয়। আপনি কিভাবে জীবন যাপন করছেন তার ওপর নির্ভর করছে এ গতি ঊর্ধগামী না নিম্নগামী হবে
১৮৭. লক্ষ্যে ছবি যখন মনে গেঁথে যায়, তখন তা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই জীবনকে পরিচালিত করে। নিজের জীবনে তাকালে দেখবেন - সচেতনভাবে যা কল্পনা করেছেন, বিশ্বাস করেছেন , বাস্তবে তা- ই অর্জন করেছেন।
১৮৮. জৈবিক চেতনার প্রকাশ ঘটে অহমের মাধ্যমে যা অর্থ, ক্ষমতা বা পদের সাথে সাথে ফুলে-ফেপে ওঠে। আর পারিপার্শ্বিকতার হাওয়া না পেলে তা বেলুনের মতো চুপসে যায়।
১৮৯. প্রকৃতিতে কোনো অহম নেই। তাই সেখানে এত শৃঙ্খলা , এত প্রশান্তি।
১৯০. আনুগত্য ও ঔদ্ধত্য একই মুদ্রার দুটি ভিন্ন পিঠ।
১৯১. স্রষ্টায় সমর্পণ এবং অহম কখনো সহাবস্থান করতে পারে না। সত্তা থেকে অহমের দুর্গন্ধময় অস্তিত্বকে অপসারণ করতে পারলেই সমর্পণের প্রশান্তিময় সুবাতাস বইতে শুরু করে।
১৯২. দলিল, প্রমাণ কিংবা যুক্তিতর্ক দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করা যায়, কিন্তু নিজের অন্তরাত্মাকে পরিতৃপ্ত করা যায়না। আত্মশুদ্ধি ও স্রষ্টায় সমর্পণের মধ্য দিয়েই আত্মা তৃপ্ত হতে পারে।
১৯৩. ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।
১৯৪. চেতনা, ব্যক্তি এবং কাজ যখন একাকার হয়ে যায়, তখনই সে চেতনা বিকশিত হয়, প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫. নিজের জীবনাচারে প্রতিফলিত না হলে মৌখিক স্বীকৃতি বা বিশ্বাস অর্থহীন।
১৯৬. প্রচলিত সংস্কার যখন ধর্মাচারের রুপ নেয় তখন ধর্মের গন্ডি ক্ষুদ্র হয়ে আসে। আর ধর্ম যখন সংস্কৃতিতে রুপান্তরিত হয়, সে তার আপন উদারতা ও ঔজ্জ্বলতায় প্রস্ফূটিত হয়।
১৯৭. কোনো চেতনা , ধর্ম বা সংস্কৃতি জয়ী হয় তার অন্তর্নিহিত কল্যাণকামিতা , মমতা, উদারতা ও আলোকময়তা দ্বারা, অস্ত্র বা চাপের মুখে নয়।
১৯৮. বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক হাওয়া মানে শাশ্বত চেতনাকে আধুনিকতার রঙে নিজের জীবনে ধারণ করা, ব্যকডেটেড বা প্রাচীন হওয়া নয়।
১৯৯. রাগের অন্তর্মূখি প্রকাশ হচ্ছে ক্ষোভ। আর দুর্ব্যবহার ও ঘৃণা আপনার ভেতরের হীনন্মন্যতার বহিঃপ্রকাশ।
২০০. প্রতিটি ঘটনার ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ করুন। আপনার অর্জনের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
২০১. বুদ্ধিমান নিজের ভুল বুঝতে পারেন, আর আহাম্মক অন্যের ভুল ধরতেই বেশি ব্যস্ত থাকে।
২০২. যখন নিজের কাছে নিজে জবাবদিহি করতে পারবেন, তখন আপনার ভুলের পরিমাণও কমতে থাকবে।
২০৩. অন্যদের ভুলগুলোকে ততবার ক্ষমা করুন যতবার আপনি নিজে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করেন।
২০৪. 'দুঃখিত' মানে ভুলের জন্যে শুধু দুঃখ প্রকাশ করা নয়, বরং ভবিষ্যতে সে ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা।
২০৫. মস্তিষ্ক দিয়ে বিশ্বাস করা যায় না, বিশ্বাস করতে হয় হৃদয় দিয়ে।
২০৬. বিশ্বাস ও কাজের গতি এক চমৎকার সুচক্রে ঘূর্ণায়মান। বিশ্বাস কাজে গতি সৃষ্টি করে। আর কাজের গতি বিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
২০৭. বিশুদ্ধ নিয়ত, সক্রিয় উদ্যোগ, আন্তরিক কাজ এবং সৎসঙ্ঘে একাত্নতা জীবনে স্রষ্টার রহমত আনে।
২০৮. জীবনকে আনন্দময় করার জন্যে অনেক বস্তু নয়, প্রয়োজন সঠিক জীবনদৃষ্টি।
২০৯. একজন ভোগবাদীর সবচেয়ে বড় ভয় হলো মৃত্যু ভয়।
২১০. দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক না হলে অর্থ - বিত্ত বাড়ার সাথে সাথে নিরাপত্তাহীনতা ও অভাববোধও বাড়তে থাকে।
২১১. যত আপনি বিলিয়ে দিতে পারবেন তত আপনার প্রাচুর্য বাড়তে থাকবে। যত আপনি কুক্ষিগত করে রাখবেন তত আপনার অভাববোধ বাড়বে।
২১২. 'নিয়ম অন্যদের জন্যে, আমি নিয়মের ব্যতিক্রম' - এ ভাবনাই সঙ্ঘবদ্ধ কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
২১৩. বিশৃঙ্খলা বা বিরুদ্ধাচরণ এবং অহম একটি অপরটির পরিপুরক।
২১৪. যে খ্যাপে, তাকেই খ্যাপানো হয়।
২১৫. আকাশকুসুম স্বপ্নচারী, দুশ্চিন্তাকারী, সংকট সৃষ্টিকারী, শতভাগ নিখুঁত কর্মসম্পাদনকারী ও সব কাজের কাজি - দীর্ঘসূত্রীদের মধ্যকার কয়েকটি শ্রেণী।
২১৬. কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কাজের পেছনে নিরলসভাবে লেগে থাকা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২১৭. একঘেয়েমিপূর্ণ কোনো কাজ শেষে নিজেকে নিজে পুরস্কৃত করুন। এতে কাজের উদ্যম বহুগুনে বেড়ে যাবে।
২১৮. একজন অনন্য মানুষ ব্যতিক্রম অ অনন্যতাকে নিঃসন্দেহে শ্রদ্ধা করে আর সেইসাথে জানে - বিস সৃষ্টি করার শক্তি তার মাঝেও সুপ্ত রয়েছে।
২১৯. নিজের কর্মক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে বেশি করে ভাবুন। আপনি যা যা পারেন তার তালিকা তৈরি করুন। গুনগুলো যত বিকশিত হবে সীমাবদ্ধতাকে তত অতিক্রম করতে পারবেন।
২২০. নির্বোধরা গাধার মতো খেটে নিস্ফল কাজ করে।আর বুদ্ধিমানরা কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে অল্প কাজে বেশি ফল লাভ করে।
২২১. তাত্ত্বিক শিক্ষা এক বছরে যা শেখায় , বাস্তব অভিজ্ঞতা একদিনে তার চেয়ে বেশ শেখায়।
২২২. একটি তরঙ্গের অস্তিত্ত্ব ততক্ষণই যতক্ষণ তার গতি আছে। গতি থেমে গেলে তরঙ্গও বিলীন হয়ে যায়।
২২৩. জীবনে চলার পথে দঃখ আসতেই পারে।কিন্তু দুঃখের সাগরে নিজেকে নিমজ্জিত রাখবেন না। যেরকম মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া পাখিকে আপনি চুলে বাসা বাধতে দেন না।
২২৪. দুঃখ বা শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে শিখুন। আপাত ব্যর্থতাও নতুন সাফল্যের জন্যে প্রেরণা যোগাবে।
২২৫. যার কথার চেয়ে কাজের পরিমাণ বেশি , সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়া শব্দ তত কম।
২২৬. নীরব কাজ সবচেয়ে সফল প্রচারক।
২২৭. প্রতিটি বৈষম্যের পেছনে রয়েছে বৈষম্যকারীর হারাবার আশঙ্কা নয়তো ঈর্ষা।
২২৮. শোষকের সহযোগী হওয়ার মধ্যে কোনো গৌরব নেই বরং শোষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টাই মহত্ত্বের।
২২৯. বুদ্ধিমান প্রতিকারের চেষ্টা করে। আর নির্বোধ প্রতিবাদ ও হৈচৈ করে সময় নষ্ট করে।
২৩০. গীবত ও পরচর্চা অবচেতন অহমেরই বহিঃপ্রকাশ। অন্যের নিন্দার মূলে রয়েছে আত্নপ্রসাদ কিংবা হীনম্মন্যতায় আক্রান্ত আমি'কে লুকানো প্রবণতা।
২৩১. সহজেই কাউকে বিশ্বাস করবেন না। সময় নিন, যাচাই - বাছাই করুন, এরপর সিদ্ধান্ত নিন। কিন্তু একবার বিশ্বাস করলে তা পুরোপুরি করুন।
২৩২. ছোট ছোট ভুলের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। একটি ছোট ছিদ্র বিশাল জাহাজকেও ডুবিয়ে দিতে পারে।
২৩৩. অন্যের কল্যাণে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হোন। তাদের কথা সবসময় মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আপনার অল্প কথাই তখন তাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
২৩৪. পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা তৈরি হলে তবেই পরামর্শ দিন। অযাচিত উপদেশ বা পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
২৩৫. আলস্য হচ্ছে নরকে যাওয়ার প্রধান রাজপথ।
২৩৬. সময়ানুবর্তী হয়ে সুপরিকল্পিতভাবে সুনির্দিষ্ট কল্যাণকর ও ফলপ্রসু কাজ না করাই হচ্ছে আলস্য। সফলদের উত্থান হয় কাজের মধ্য দিয়ে, আর ব্যর্থতা অ পতন আসে আয়েশ ও আলস্যের পথ ধরে।
২৩৭. চাওয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে পারলে মন স্থির হয়, অতৃপ্তি কমতে থাকে। ১৯টি এমন বিষয়ের তালিকা তৈরি করুন যা আপনি মৃত্যুর আগে অর্জন করতে চান। তালিকাটি সবসম্য নিজের সঙ্গে রাখুন।
২৩৮. সাফল্য কোনো গন্তব্য নয়; বরং গন্তব্যে পৌছার জন্যে এটি এক বিরামহীন প্রয়াস।
২৩৯. জীবনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেবেন না। লক্ষ্যহীন জীবন রাডারবিহীন জাহাজের মতোই কোনো গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে না।
২৪০. যে ক্ষতি পূরণ হতে পারে তা নিয়ে আফসোস করে সময় নষ্ট না করে বিকল্পগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন।
২৪১. আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আশু লক্ষ্যগুলোকে ঠিক করুন।
২৪২. রাগ ক্ষোভ প্রতিহিংসা ঈর্ষা ঘৃণা সীমালঙ্ঘন আপনার প্রাচুর্যের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
২৪৩. অপ্রকাশিত রাগ কাজের দক্ষতা , মনোযোগ ও উদ্যমকে নষ্ট করে দেয়। জমে থাকা রাগগুলোকে কাগজে লিখে পুড়িয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ধ্যানের স্তরে রাগের কাল্পনিক বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে মন থেকে তা ঝেড়ে ফেলুন।
২৪৪. যে বিশ্বাস সাহস সৃষ্টি করে না , তা হচ্ছে অবিশ্বাস বা ভ্রান্ত বিশ্বাস। আর যে বিশ্বাস মানুষকে মুক্তি দেয় সেটাই মুক্ত বিশ্বাস।
২৪৫. ভ্রান্ত বিশ্বাস কিংবা মুক্ত বিশ্বাস - উভয়েরই রয়েছে সম্মোহনী শক্তি। আপনি তথ্য বা ধারণার আলোকে বার বার যা ব্যক্ত করেন অবচেতন মন তা-ই বিশ্বাস করে সম্মোহিত হয়।
২৪৬. আপনার সন্দেহ সংশয় নিস্ক্রিয়তা আত্নধিক্কার- এ সবই ভ্রান্ত বিশ্বাসে নিজের অজ্ঞাতে সম্মোহিত হওয়ার পরিনাম। অবচেতন মনের কাছে অযৌক্তিক নেতিবাচক কথার পুনরাবৃত্তির ফসল।
২৪৭. ভুলে যান অতীত ভুলকে। বার বার তা মনে করে অহেতুক ও অপ্রোয়জনীয় পাপবোধে ভুগবেন না। বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রা করুন সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে।
২৪৮. মানুষ হিসেবে আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধে নই। তাই ভুল হয়ে গেলে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করুন।
২৪৯. আপনার 'আমি' কে খুঁজে বের করুন। তাহলেই দেখবেন, আপনার স্বপ্ন পূরণের ক্ষমতা ও সামর্থ্য নিহিত রয়েছে আপনার ভেতরেই।
২৫০. ভালো রেজাল্ট , ভালো ছাত্র , ভালো মানুষ - শিক্ষার্থী জীবনের লক্ষ্যের সিঁড়ির তিনটি ধাপ।
২৫১. ভালো কাজ ছাড়া কোনো কিছুকেই প্রতিযোগিতা হিসেবে নেবেন না। এতে স্বার্থপরতা ও ক্ষুদ্র মানসিকতা থেকে মুক্তি পাবেন।
২৫২. মমতা সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় বিকশিত করে। আর হিংসা ও ঘৃণা সম্ভাবনার সব পথকে বন্ধ করে।
২৫৩. হিংসার জবাবে প্রতিহিংসা হিংসাকে আরো উসকে দেয়। অহিংসা ও ক্ষমাই পারে এ দুষ্টচক্রকে ভাঙতে।
২৫৪. অন্যের পরিচয়ে নয়, আত্নপরিচয় নিজেকে সবার কাছে পরিচিত করুন।
২৫৫. আত্নসম্মানবোধ ও আত্নবিশ্বাস আপনার ক্ষতিকর লজ্জা কাটানোর দুটি হাতিয়ার।
২৫৬. কারো কাছে থেকে সুবিধা গ্রহণের আগে এর বিনিময় পরে কতটা মূল্য দিতে হতে পারে তা ভেবে দেখুন।
২৫৭. অর্থ ও খ্যাতির পেছনে ছুটতে গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে অবহেলা করবেন না। আত্নিক বন্ধন গড়ে তুলতে কিছু সময় ব্যয় করুন। নিঃসঙ্গ , বঞ্চিত ও ক্লান্তিকর জীবন থেকে মুক্তি পাবেন।
২৫৮. আত্নিক সম্পর্ক বিশেষ দিবসে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে আন্তরিকতার চেয়ে সামাজিক লৌকিকতাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে।
২৫৯. হতাশা ও আনন্দ হচ্ছে এক পরস্পর বিরোধী অবস্থান। হতাশাবোধ আনন্দকে মাটি করে দেয়। আর হৃদয়ে আনন্দের অনুভুতি আনতে পারলে হতাশা পালিয়ে যায়।
২৬০. সত্যিকার বিনোদন দুশ্চিন্তা মুক্ত করে, মানসিক স্থিরতা ও প্রশান্তি এনে দেয়।
২৬১. দুঃখবিলাস বা কিছুই ভালো না লাগা আলস্যর একটি রুপ। যারা কিছু করেনা , তাদেরই আসলে কিছু ভালো লাগে না। আর যারা ব্যস্ত তাদের কিছু ভালো না লাগার কোনো সুযোগ থাকে না।
২৬২. কোনো কিছুতেই বিরক্ত হবেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সবর করুন।
২৬৩. ভালো কথা বলার সুযোগ না থাকলে নীরব থাকুন। আর উৎসাহব্যঞ্জক কিছু বলার সুযোগ থাকলে নির্দ্বিধায় বলুন।
২৬৪. কাজকে নির্ভুল ও গতিশীল করুন। প্রথমে নির্ভুলতাকে গুরুত্ত্ব দিন। এরপর ক্রমান্বয়ে কাজের গতি বাড়াতে থাকুন।
২৬৫. কাউকে দায়িত্ত্ব অর্পণের সাথে সাথে তা পালনের স্বাধীনতাও তাকে দিন।
২৬৬. ইতিহাসে তারাই কালজয়ী হয়েছেন যারা পূর্ব পুরুষের প্রচলিত ভ্রান্ত সংস্কার ও আচরণ - অভ্যাসের ক্ষুদ্র বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন।
২৬৭. গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন না। ভ্রান্ত প্রথা অনুসরণকারী নয়, শাশ্বত চেতনার আলোকে প্রথা প্রবর্তনকারীরাই মুক্তির পথ দেখান।
২৬৮. হাজার মাইলের অভিযাত্রা শুরু হয় একটি ছোট পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে। তাই আপনার যা আছে তা নিয়েই, যেখানে আছেন সেখান থেকেই শুরু করুন।
২৬৯. যত সামান্য উপকার হোক না কেন আজ থেকেই তা শুরু করুন। অন্যের কল্যাণে কাজ না করলে নিজের কল্যাণও করা যায় না।
২৭০. সুসংবাদ কিংবা দুসংবাদ - দুটোই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন। প্রকৃতিতে এমন কিছু ঘটেন না যার কোনো যৌক্তিক বা সুদূরপ্রসারী কারণ থাকে না।
২৭১. জীবন আপনার জন্যে স্রষ্টার পক্ষ থেকে অমূল্য উপহার। একে ভালবেসে অর্থবহ করে তুলুন, কিন্তু জীবনের প্রতি মোহগ্রস্ত হবেন না।
২৭২. আগে জানুন আপনি কেন বাঁচবেন। তাহলেই পারিপার্শ্বিক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
২৭৩. অবজ্ঞা, অশ্রদ্ধা ও অবহেলাপূর্ণ আচরণ জীবনকে মমতাহীন পাশবিকতার দিকে টেনে নিয়ে যায়। আর বিনয়, সহানুভুতি ও মহানুভবতার মতো মানবীয় গুনাবলি জীবনকে স্বর্গীয় করে তোলে।
২৭৪. একাগ্র প্রার্থনায় স্রষ্টাকে আমরা কিছু বলি। আর হিরন্ময় মৌনতায় স্রষ্টা কী বলছেন তা আমরা শুনি।
২৭৫. বিচ্ছিন্নতা হলো দুর্বলতা। আর সঙ্ঘবদ্ধতা হলো শক্তি। গাছের প্রাণ ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তা মূলের সঙে সংযুক্তত থাকে। সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ থাকুন। প্রকৃতির ছন্দে আপনার জীবন বিকশিত হবে।
২৭৬. স্বপ্নের জন্যে রক্ত যখন ঘাম হয়ে ঝরে, সেই নোনা পানিতে সাফল্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়।
২৭৭. প্রতিটি অর্জন হচ্ছে নতুন শুরু, নতুন যাত্রার প্রস্তুতি।
বই: আলোকিত জীবনের হাজার সুত্র কোয়ান্টাম কণিকা
ছোট ছোট ভাবনা, ছোট ছোট স্বপ্ন আর ছোট ছোট কাজের সমষ্টি জীবন। প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন, প্রতিটি কাজই জীবনকে প্রভাবিত করে। আর সে প্রভাব ইতিবাচক হবে না নেতিবাচক হবে তা নির্ভর করে জীবনদৃষ্টির ওপর।
সাফল্যের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করে সঠিক জীবনদৃষ্টি। আর ব্যর্থতার পেছনে সুপ্ত থাকে ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি। জীবন কণিকায় ছোট ছোট বাক্যে আলোকিত মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে আনা হয়েছে। আর দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক হলে আপনিও সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় এগিয়ে যাবেন সফল জীবনের পথে।
১. দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।
২. দিনে কমপক্ষে ২০ বার বলুন - 'আমি ভাল আছি।'
৩. প্রো- একটিভ হোন। প্রো - একটিভ মানুষের প্রতি অন্যেরা আকৃষ্ট হয়।
৪. রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
৫. রাগান্বিত অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
৬. সাহসী হোন। মনে মনে ভয় থাকলেও সাহসের ভান করুন। কেউই ভান এবং সত্যিকার সাহসের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা।
৭. পৃথিবী সাহসী মানুষের জন্যে। তাই সব সময় মনে মনে বলুন - 'আমি সাহসী। আমি নির্ভিক।'
৮. দুশ্চিন্তা ও উৎকন্ঠা দিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রত্যয় ও সাহস দিয়েই মানুষ নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করেছে।
৯. মানুষ যা ভাবতে পারে, যা বিশ্বাস করতে পারে, তা অর্জন করতে পারে।
১০. মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রুপান্তরিত করে।
১১. আপনার অতিচেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্যে প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত। প্রতিদিন হাজারো কাজের ফাঁকে এই নীরব মুহূর্ত বের করে নিন।
১২. প্রকৃতির সাথে একাত্ত হোন। প্রকৃতি দেহ, মন, ও আত্নার মাঝে সবসময় ভারসাম্য এনে দেয়।
১৩. যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
১৪. কুৎসা ও কান কথা থেকে দূরে থাকুন।
১৫. নিয়ত হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রন করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ - মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।
১৬. ব্যর্থতার মাঝেই সুপ্ত আছে সাফল্যর বীজ।
১৭. অন্যর কাছ থেকে যে ব্যবহার প্রত্যাশা করেন আগে নিজে সে আচরণ করুন।
১৮. নিজের ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন।
১৯. সকল ভয়ই মৃত্যু ভয়ের প্রকাশ্য ছদ্মাবরণ। পরিবর্তনকে ভয় পাই বলেই আমরা ভয় দ্বারা আক্রান্ত হই।
২০. কারো আশাকে নষ্ট করবেননা, হয়তো এ আশাই তার শেষ সম্বল।
২১. ভাল বক্তার চেয়ে ভাল শ্রোতা অন্যকে সহজে প্রভাবিত করে।
২২. সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহণে সাহসী হোন
২৩. সবাইকে আগে সালাম দিন।
২৪. যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই 'না' বলুন।
২৫. 'আমি এ বিষয়ে জানিনা' - এ কথাটি বলতে কখনো ভয় পাবেন না।
২৬. 'আমি দুঃখিত' কথাটি সবসময় আন্তরিকতার সাথে উচ্চারণ করুন।
২৭. কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ই দরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়।
২৮. ' সমস্যা ' শব্দটির পরিবর্তে ' সম্ভাবনা ' শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।
২৯. যেকোনো সমস্যাকে বিপদ না ভেবে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।
৩০. দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না । যখন যা করা প্রয়োজন, তখনই তা করুন।
৩১. মনোযোগ ও নিমগ্নতাই প্রিতিটি কাজের একঘেয়েমি দূর করে। কাজই হয়ে ওঠে তখন আনন্দের উৎস।
৩২. নিজের প্রতি পরিপূর্ণ মনোযোগ আপনাকে অনন্য করে তোলে। নিজের প্রতি পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়ার উপায় হচ্ছে মেডিটেশন।
৩৩. বাস্তবতা আমাদের অন্তর্গত ধারনারই প্রতিফলন। অন্তর্গত ধারণা বদলে গেলে বাস্তবতাও বদলে যায়।
৩৪. প্রতিটি জিনিসকে পুরোপুরি গ্রহণ করুন। তাহলেই আপনি এ থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারবেন।
৩৫. দেহ হচ্ছে আত্নার বহিরাবরণ। দেহের সীমাবদ্ধতা আছে; আত্নার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আত্না হচ্ছে বিশুদ্ধ শক্তি। মনোগত দৃষ্টিভঙ্গির উপরই এর প্রকাশিত রুপ নির্ভর করে।
৩৬. আমরা সবাই কিছু দৃশ্য বা ছবি কল্পনা করি। আমাদের সৃষ্ট কল্পনা বা মনছবিতেই আমাদের প্রতিটি কোষ ক্রমান্বয়ে আস্থা স্থাপন করে।
৩৭. মনছবি মিসাইলের মতো লক্ষ্যভেদ করে।
৩৮. প্রশান্ত মনই শক্তির আসল ফল্গুধারা।
৩৯. প্রশান্ত মন নিরাময় প্রক্রিয়াকে বেগবান করে। মনের সুখ দেহের অসুখকে সবসময় ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
৪০. পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সৃষ্টি যে চিন্তা ও অনুভুতি দ্বারা তার জৈবিক অবস্থা বদলাতে পারে।
৪১. ' দেহ ও মনে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারি ' - এ বিশ্বাসই পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে প্রথম প্রয়োজন।
৪২. সভ্যতার সব কিছু মানুষের সৃষ্টি। আপনিও মানুষ।
৪৩. নতুন উপলব্ধি নতুন সমাধান দিতে পারে।
৪৪. জীবনের লক্ষ্যকে পরিষ্কার রাখুন। সবসময় বিশ্বাস করুন - বড় কিছু করার জন্যে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন।বিশ্বাসের আলোকে কর্মপন্থা রচনা করুন। ঝর্ণার গতিময়তায় কাজ করুন। সাফল্য আপনার পদচুম্বন করবেই।
৪৫. মনে মনে সবসময় বলুন - ' আমি এক অনন্য মানুষ। আমার আত্নিক ক্ষমতা অসীম। সারা পৃথিবী আমার। যেখানে দরকার সেখানে যাবো। যা প্রয়োজন তা - ই নেবো। যা চাই তা - ই পাবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণ করবো।
৪৬. উষ্ণ হ্রদয় ও ঠান্ডা মস্তিষ্কের সম্মিলনেই সাধারণ মানুষ অনন্য মানুষে রুপান্তরিত হয়।
৪৭. আপনি কসমিক ট্র্যাভেলার - মহাজাগতিক মুসাফির। আপনার জন্ম নেই , মৃত্যু নেই। কিছু সময়ের জন্যে পৃথিবী পরবভ্রমন করছেন মাত্র। এই ভ্রমন শেষে শুরু করবেন আরেক ভ্রমন।
৪৮. ভ্রান্ত ধারনা ও সংস্কারের শৃংখলমুক্তির পথ মেডিটেশন। মেডিটেশন অন্তর্লোককে উদ্ভাসিত করে নতুন জ্ঞান ও উপলব্ধিতে আর সংযুক্ত করে ' অন্তরের আমি ' র সাথে - আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে - সৃষ্টি করে মুক্ত বিশ্বাস।
৪৯. ভ্রান্ত ধারনা ও সংস্কারের শৃংখল ভেঙ্গে মুক্ত বিশ্বাসে উপনীত হওয়াই হচ্ছে মানুষে আসল স্বাধীনতা।
৫০. সৎসঙ্ঘ সবসময় আপনার আত্নবিশ্বাসে সহায়ক। সৎসঙ্ঘ এক আত্নিক বন্ধন যা সীমাহীন প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি প্রদান করে।
৫১. সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ হোন। অসংগঠিত সত্য শক্তিহীন। সঙ্ঘবদ্ধতাই সত্যে শক্তি সঞ্চয় করে। অসত্যের ওপর সত্যকে বিজয়ী করে।
৫২. বিশ্বাস শৃংখল মুক্ত করে। আর গোঁড়ামি শৃংখলিত করে।
৫৩. গোঁড়ামি বিশ্বাসের প্রবহমান ঝর্নাকে বদ্ধ ডোবায় পরিণত করে।
৫৪. শৃংখলাই শৃংখলমুক্তির পথ।
৫৫. বাস্তবতা নির্মাণের শক্তি আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে। বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ বিশালতাকে সীমিত করে ফেলি।
৫৬. সকল ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য ধারনা সংস্কার ও বিশ্বাসের নামই অবিদ্যা। আর এ অবিদ্যাই মানব্জীবনের অশান্তির মূল কারন।
৫৭. মনছবি হলো চাওয়া ও চাওয়ার প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাওয়া।
৫৮. বাধা পেয়ে যে ফিরে আসে তার সব শেষ হয়ে যায়। একজন মানশষ প্রথম পরাজিত হয় তার নিজের কাছে।
৫৯. আত্নবিকাশের অধিকার কেউ কাউকে দেয়না। তা আদায় করে নিতে হয়।
৬০. ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে সংকটে রুপান্তরিত করে। আর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যাকে পরিনত করে নতুন সম্ভাবনায়।
৬১. বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতারকদের একটি সাধারন টোপ।
৬২. সর্বাবস্থায় শোকরগোজার থাকুন। কারন আপনি যত খারাপ অবস্থায়ই থাকুন না কেন, জেনে রাখুন - আপনার চেয়েও খারাপ অবস্থায় কেউ আছে।
৬৩. আজন্ম লালিত পরিবেশ সবসময় নতুন কিছু করতে বাধা দেয়। বুদ্ধিমানরা সবসময় আগে শুরু করে, বোকারা শুরু করে দেরিতে।
৬৪. মুক্তির পথে অন্তরায় হলো অনিশ্চয়তাবোধ এবং ঝুঁকি নেয়ার সাহসের অভাব।
৬৫. বস্তুর সীমাবদ্ধতা হলো - তা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু পাওয়া হয়ে গেলেই তা তৃপ্তি দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
৬৬. কোন পরাজয়ই ব্যর্থতা নয়, যদি সে পরাজয় মানসিবভাবে আপনাকে পরাজিত করতে না পারে।
৬৭. সময়ের যোগফলই জীবন। সে মানুষই সফল, যে পরিকল্পিতভাবে সময়কে কাজে লাগায়।
৬৮. সময়কে নিয়ন্ত্রনে রাখুন, অনেক কিছুই আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
৬৯. প্রয়োজন ও অভাববোধ এক নয়। অভাববোধ হলো প্রয়োজন মেটার পরও আরও বেশি পাওয়ার জন্যে অস্থিরতা।
৭০. আত্নিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। আত্নিক সম্পর্ক ভালো কাজে অনুপ্রানিত করে।
৭১. মানুষ যখনই সীমালঙ্ঘন করেছে - মন্দ কাজে , এমনকি ভালো কাজেও - তখনই তার জীবনে বিপর্যয় এসেছে।
৭২. কর্ম ছাড়া প্রার্থনা কবুল হয় না।
৭৩. সবলের অহম প্রকাশ পায় শক্তির মদমত্ততায়। আর দুর্বলের অহম প্রকাশ পায় ঘৃনায়।
৭৪. জৈবিক আমিত্ন বিপন্নবোধ করলেই আমরা দুর্ব্যবহার করি। দুর্ব্যবহার আমাদের পশু সত্তার স্বরুপ প্রকাশ করে।
৭৫. চাওয়া যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা আসক্তি। দুঃখের প্রধাণ কারন এই আসক্তি।
৭৬. ক্ষোভ হচ্ছে এমন এক বিষ যা আপনি নিজে পান করেছেন আর ভাবছেন মারা যাবে আপনার প্রতিপক্ষ।
৭৭. আত্নবিশ্বাস এবং অহংকারের মধ্যে পার্থক্য হলো - আত্নবিশ্বাসের ভিত্তি আত্নজ্ঞান আর অহংকারের ভিত্তিই জৈবিক চেতনা।
৭৮. প্রতি মূহুর্তে হাজারটি বিকল্প কর্মপন্থার মধ্যে থেকে সর্বোত্তমটি বেছে নেয়ার স্বতঃর্ষ্ফূর্ত ক্ষমতাই প্রজ্ঞা।
৭৯. মনের অতিচেতন স্তর মহাবিশ্বের সকল জ্ঞানভান্ডারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। আত্ননিমগ্ন অবস্থায়ই অতিচেতন স্তর থেকে জ্ঞান ও উপলব্ধি সচেতন স্তরে প্রবেশ করে।
৮০. দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে বা গোপনে , সচ্ছল বা অসচ্ছল অবস্থায় নিয়মিত দান স্রষ্টার রহমত আনে। তাই প্রশান্তি প্রাচুর্য ও সমস্যামুক্তির জন্যে দান করুন।
৮১. দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন।
৮২. আন্তরিক প্রার্থনায় প্রার্থনা , প্রার্থনাকারী ও প্রার্থনা কবুলকারী একাকার হয়ে যান।
৮৩. জানাকে মানায় রুপান্তর করতে না পারলে সে জানা অর্থহীন।
৮৪. প্রতিযোগীর যে কোন বক্তব্য বা সমালোচনাকে মুল্যায়ন করুন। সে - ই বিজয়ী হয় , যে প্রতিপক্ষের কৌশল সম্মন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখে।
৮৫. পথে নামলে পথই পথ দেখায়।
৮৬. প্রতিপক্ষের সাথে সংলাপের পথকে কখনও বন্ধ করবেন না। কারন বিশ্বাস নিয়ে মোকাবেলা করলে পৃথিবীর কোন প্রতিপক্ষই অজেয় নয়।
৮৭. আপনার পরিচিত বলয়ের ঈর্ষাকারী ও পরচর্চাকারীদের সাথে মানসিক সম্পর্ক ছেদ করুন। তাহলেই তারা আর আপনের প্রশান্তি নষ্টের কারন হবেনা।
৮৮. কাম শৃংখলিত করে। আর প্রেম জীবনকে শৃংখলমুক্ত করে।
৮৯. সংশয় হলো বিশ্বাস অ অবিশ্বাসের মধ্যবর্তী অবস্থান। বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংশয়।
৯০. যে সম্পর্ককে ছেদ করা যায় না, সে সম্পর্কের মাঝে দেয়াল রচনা করবেন না। সেখানে মমতার বন্ধন তৈরি করুন।
৯১. নতুন বন্ধুত্ব করুন। কিন্তু পুরনো বন্ধুত্বকেও গুরুত্ত্ব দিন।
৯২. মুক্ত বিশ্বাস থেকেই শুরু হয় মানবিকতার উত্থানপর্ব। মুক্ত বিশ্বাস প্রতিটি কাজে চিত্তকে করে একাত্ন। আর কাজের সাথে একাত্ন হতে পারলেই প্রতিটি কাজ হয়ে ওঠে আনন্দের উৎস।
৯৩. রাগ ও অভিমান করে বোকা ও দুর্বলরা। বুদ্ধিমানরা কৌশলে পরিস্থিতি বদলে দেয়।
৯৪. সমাজিক মুখোশ নয়, অন্তর্গত শক্তি হচ্ছে ব্যক্তিত্ব।
৯৫. অন্যকে সে - ই অনুপ্রাণিত করতে পারে যে অন্যের দ্বারা প্রবাভিত হয় না।
৯৬. নিজের পরিবর্তন না এনে আমরা অন্যের পরিবর্তন দেখতে চাই। তাই আমাদের সত্যিকার পরিবর্তন আসে না।
৯৭. মানুয যখন অবৈজ্ঞানিক অ প্রকৃতি - বিরুদ্ধে জীবন যাপন করেছে তখনই তার দুঃখ ও দুর্ভোগ এসেছে।
৯৮. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেইএর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যত।
৯৯. আহাম্মক বিশ্রাম খোঁজে । আর বুদ্ধিমান খোঁজে শুধু কাজ।
১০০. সত্যিকার যোদ্ধা সে - ই , যে জানে কখন অস্ত্র সংবরণ করতে হয়।
১০১. নেতৃত্বকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনিও নেতা হতে পারবেন।
১০২. সংখ্যা শক্তি নয়। শক্তি হলো বিশ্বাস ও সঙ্ঘবদ্ধতা । পৃথিবীকে সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে লক্ষ্য সম্পর্কে দৃঢ় প্রত্যয়ী সঙ্ঘবদ্ধ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ।
১০৩. সকল বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান হলো জীবনযাপনের বিজ্ঞান।
১০৪. ভয় বা আশংকা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা।
১০৫. সমস্যায় পড়লেই সমাধানের জন্যে উৎকন্ঠিত হবেন না। সমস্যাকে তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।
১০৬. কাজে উদ্যেগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয়।
১০৭. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গ্রহ - নক্ষত্র সৃষ্টি হয়। আর মানুষের মেধা বিকশিত হয় সযত্ন প্রয়াসের মধ্য দিয়ে।
১০৮. বই-কিতাব পড়ে তাত্ত্বিক বা তার্কিক হওয়া যায়, আত্ন আবিষ্কারক হওয়া যায়না। আত্ন আবিষ্কারের জন্যে প্রয়োজন আত্ননিমগ্নতা।
১০৯. হিরণ্ময় মৌনতয় মন প্রবেশ করে চিন্তার উৎসমূলে। আর সে মূল থেকে উৎসারিত নতুন চিন্তাতরঙ্গ. সুনামির মতোই সংকীর্ণ আচরণ-অভ্যাসের জঞ্জালকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
১১০. যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
১১১. সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। অতীতের দিকে তাকালে দেখবেন কাজ করে অনুতাপ করার চেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করে আপনি বেশি অনুতপ্ত হয়েছেন।
১১২. যে স্বপ্ন দেখতে জানে, প্রতীক্ষা করতে পারে, সে প্রতীক্ষার কষ্টও হাসিমুখে সইতে পারে।
১১৩. আমরা খ্যাতিমান হতে চাই। কিন্তু খ্যাতির জন্যে নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করি না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌছতে পারিনা।
১১৪. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত বৈপ্লবিক ও নতুন ধারণা এসেছে, তা প্রথমে কোনো একজনের মস্তিষ্কে নীরব মুহূর্তে এসেছে। কমিটি-কমিশন কোনো নতুন ধারণার জন্ম দিতে পারে নি।
১১৫. প্রতিটি মানুষ বড় হতে পারে তার জীবনের মনছবি বা স্বপ্নের সমান।
১১৬. একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে।
১১৭. যে বলার পেছনে অনুশীলন নেই তা ক্ষণিকের জন্যে মোহিত করলেও শ্রোতাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে না।
১১৮. আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বি হতে পারেনি। যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না।
১১৯. শোকর হোল আনন্দে স্নাত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। আর সবর হলো প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে নীরব সংগ্রাম।
১২০. আনন্দের অনুভুতি মনের শক্তিকে স্বতঃষ্ফুর্তভাবে কাজে লাগায়।
১২১. দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
১২২. নিখুঁত অ বাস্তবানুগ পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সুসম্পন্নের অর্ধেক।
১২৩. বুদ্ধিমানরা সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।
১২৪. নিজের কাজে নিজে সৎ থাকুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।
১২৫. করতে না পারা আর না করে কাজ ফেলে রাখার মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে - প্রথমটি পারিপার্শ্বিক প্রভাবে প্রভাবিত আর দ্বিতীয়টি ব্যক্তির খেয়ালিপনা।
১২৬. প্রতিটি কাজ শুরু হয় শুন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পূর্ণতা পায়।
১২৭. প্রতিটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট।
১২৮. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন - কাজটি আপনি কেন করবেন।
১২৯. আত্না সবসময় ভাবে , ''আমি কী দিতে পারি'' । আর অহম ভাবে '' আমি কী পেতে পারি'' বা '' আমি কী পেলাম'' ।
১৩০. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যা কিছু নিয়ে অহংকার করা হয়েছে , তা-ই তার পতনের কারণ হয়েছে।
১৩১. জীবন থেকে সত্যেকে শিখুন। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সত্যই নিজস্ব হয়না।
১৩২. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।
১৩৩. সফল মানুষ বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেন আর ব্যর্থরা বাস্তবতার দোহাই দেয়।
১৩৪. স্থান কাল পাত্র বুঝে হাসি মুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুনে প্রষ্ফুটিত হয়।
১৩৫. কারো নিন্দায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। নিন্দুকেরা সবসময় প্রতিক্রিয়ার আশায় নিন্দা করে বেড়ায়।
১৩৬. প্রশংসায় আনন্দিত হলে নিন্দায়ও সমভাবে আনন্দিত হোন। যেখানে আপনি নিন্দিত সেখানেই আপনি নন্দিত- এই হোক দৃষ্টিভঙ্গি।
১৩৭. কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান।
১৩৮. আপনার সময় নেই - এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।
১৩৯. শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায় নি সে জানেনা অন্যকে কীভাবে সম্মান করতে হয়।
১৪০. মস্তিষ্ক মানুষকে মানুষ বানায়নি , হৃদয় মানুষকে মানুষ বানিয়েছে বিশ্বজনীন মমতার নিবাস হচ্ছে হৃদয়।
১৪১. পেশিশক্তির দাপট ক্ষণিকের, অন্তর্গত শক্তির স্থায়িত্ব অনন্তের।
১৪২. কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
১৪৩. সঠিক প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক।
১৪৪. সহপাঠি বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।
১৪৫. জীবনে ব্যর্থতার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব।
১৪৬. ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ন হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।
১৪৭. মেধার সঙ্গে যুক্ত হয়েই শ্রম রুপান্তরিত হয় সেবায়। সেবা ছাড়া যে অর্জন তা কখনো সম্পদে রুপান্তরিত হয় না।
১৪৮. অর্থ-বিত্ত বা খ্যাতি নয়, সাফল্য ও প্রাচুর্য হলো মানসিক ও পারিপার্শ্বিক এমন অবস্থা যেখানে প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়া রুপান্তরিত হয় পাওয়ায়।
১৪৯. প্রাচুর্য প্রতিটি মানুষের জন্মগত অধিকার।
১৫০. শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।
১৫১. জন্মসূত্র বা বংশমর্যাদায় নয়, মানুষের মহত্ত্ব তার কর্মে। কর্মই মানুষকে মানুষ করে, মহান করে, অমর করে।
১৫২. বিদ্যা বা জ্ঞান মানুষকে মানুষ বানায়। আর অবিদ্যা বা অপজ্ঞান মানুষকে হয় দানব না হয় দাসে পরিণত করে।
১৫৩. কোনো কাজ করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সে কাজটি আপনার ও অন্যের জন্যে কল্যাণকর কিনা। তাহলেই আপনি বিদ্যা ও অবিদ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।
১৫৪. কোথায় তাকে থামতে হবে- সীমালঙ্ঘনকারী তা কখনোই বুঝতে পারেনা। প্রতিটি দুর্দশার মূলে রয়েছে ব্যক্তির বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন।
১৫৫. বস্তুর বিনাশ আছে। বস্তু আপনার কাছে মুখ্য হয়ে উঠলে আপনিও আত্নবিনাশী শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়বেন।
১৫৬. শত ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমরা ব্যক্তি আমি'র যত্ন নিই না। কাজ এগিয়ে যায় কিন্তু ব্যক্তি পেছনে পড়ে থাকে। এ দুরত্ব একসময় ব্যক্তির জীবনে ছন্দপতনের কারণ হয়।
১৫৭. নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অন্তর্গত শক্তিকে জাগ্রত করা যায়। সকল পরিবর্তনের এই হচ্ছে শুরু।
১৫৮. যুক্তিসঙ্গত কারণে 'না' বলতে শিখুন। নিজের ও অন্যের কল্যাণার্থে প্রয়োজন দৃঢ় হতে দ্বিধা করবেন না।
১৫৯. নিজের জীবনের সীদ্ধান্ত নিজেই নিতে শিখুন। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
১৬০. আপনার অভিপ্রায় বা নিয়ত হচ্ছে আপনার নিয়তি।
১৬১. কারো প্রশংসায় অতি বিগলিত হবেন না। কারো সমালোচনায়ও বিব্রত বোধ করবেন না।
১৬২. কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন। মনকে জিজ্ঞেস করুন, ' এ মুহূর্তে আমার কী করণীয়।'
১৬৩. কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকলে কখনো ব্যক্তিত্ব অর্জিত হয়না।
১৬৪. সত্যের প্রবক্তা নিজেই যখন সত্যের বিপরীত আচরণ করেন, তখন সে সত্য মার খায়।
১৬৫. শাশ্বত সত্যবাণী যত বলা হয় তত তার মহিমা বাড়তে থাকে। যেমন একটি মোমবাই থেকে আরেকটি মোমবাতি ধরালে আলোর দ্যুতি বাড়ে।
১৬৬. আগুনকে ছাই চাপা দিয়ে যতই ঢেকে রাখা হোক, সে তার শক্তি ও ঔজ্জ্বল্য ঠিকই বিকিরণ করতে থাকে।
১৬৭. বন্দিত্ব ইট-পাথরের দেয়াল, লোহার শিকল বা পাটের দড়িতে নয়, আসল বন্দিত্ব হচ্ছে মনে। মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কেউ তার শৃঙ্খলকে ভাঙতে পারে।
১৬৮. ধ্যান, মোরাকাবা, মেডিটেশন একই সত্যে পৌছার সিঁড়ির ভিন্ন ভিন্ন নাম।
১৬৯. নিয়মিত সকালের আধঘন্টা মেডিটেশন আপনার চিন্তা, সিদ্ধান্ত ও নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
১৭০. অসাধারণত্ব একটি গুনের নাম , নারী বা পুরুষভেদে একক কোনো পক্ষের নয়।
১৭১. চেহারায়, দৈহিক গড়নে বা বাহ্যিক লেবাসে নয়, মডেল তিনি-ই যার গুনগুলোকে অনুসরণ করা যায়।
১৭২. প্রো-অ্যাকটিভ বা কর্মমুখী ব্যক্তিরাই হচ্ছেন যথার্থ স্মার্ট, মূল্যবোধসম্পন্ন, বাস্তববাদী এবং জানেন কোন পরিস্থিতিতে তাকে কী করতে হবে।
১৭৩. বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা স্মার্টনেস নয়, এটি পশুসুলভ প্রবণতা। প্রতিটি পশুই সহজাতভাবে বিপরীত লিঙ্গকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। সত্যিকার স্মার্ট সে-ই যার আন্তপ্রত্যয় ও গুণাবলী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে চারপাশের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে।
১৭৪. সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত মুল্যবান। এ মুল্যবান সময় কখনোই অন্যের ছিদ্রাণ্বষণে অপচয় করবেন না। একে গঠনমূলক কাজে ব্যয় করুন।
১৭৫. করতে হয় বলে করা আর ভালবেসে কাজ করা এক নয়। কাজকে যখন আপনি ভালবাসবেন কাজই তখন আপনাকে বহুগুনে প্রতিদান দেবে।
১৭৬. কাজের প্রস্তুতি নিতে নিতেই পুরো সময়কে নষ্ট করবেন না। যখন যা করা প্রয়োজন তখনই তা শুরু করুন।
১৭৭. একশত ভাগ নিখুঁত কর্মসম্পাদনকারী হতে যাবেন না।
১৭৮. দৈনন্দিন কাজের রুটিন করার ব্যাপারে আপনি স্বাধীন। কিন্তু তা ভঙ্গের স্বাধীনতা আপনার নেই।
১৭৯. প্রাত্যহিক কর্মতালিকা করুন কাজের গুরুত্ব বুঝে। আর তা অনুসরণ করুন আপনার রুটির অনুসারে।
১৮০. বুদ্ধিমান সে যে তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানে এবং সেখান থেকেই পথ চলা শুরু করে।
১৮১. আপনাকে ব্যবহার করে সুযোগ নিতে চায় - এমন স্বর্থান্বেষীদের ব্যাপের সতর্ক থাকুন।
১৮২. প্রতারণা করা অপরাধ। আর প্রতারিত হওয়া তার চেয়েও বেশি অসম্মানের।
১৮৩. আর্থিক লেনদেনর ক্ষেত্রে সবসময় লিখিত প্রমাণ রাখুন।
১৮৪. রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রুপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।
১৮৫. শেষ পর্যন্ত সবকিছুই হয়তো আপনার প্রত্যাশা পূরণের পথকে সুগম করে দেবে। তাই প্রতিটি সুযোগের সদ্বব্যবহার করার জন্যে সবরের সাথে কাজ করুন।
১৮৬. জীবন গতির নাম, স্থিতির নয়। আপনি কিভাবে জীবন যাপন করছেন তার ওপর নির্ভর করছে এ গতি ঊর্ধগামী না নিম্নগামী হবে
১৮৭. লক্ষ্যে ছবি যখন মনে গেঁথে যায়, তখন তা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই জীবনকে পরিচালিত করে। নিজের জীবনে তাকালে দেখবেন - সচেতনভাবে যা কল্পনা করেছেন, বিশ্বাস করেছেন , বাস্তবে তা- ই অর্জন করেছেন।
১৮৮. জৈবিক চেতনার প্রকাশ ঘটে অহমের মাধ্যমে যা অর্থ, ক্ষমতা বা পদের সাথে সাথে ফুলে-ফেপে ওঠে। আর পারিপার্শ্বিকতার হাওয়া না পেলে তা বেলুনের মতো চুপসে যায়।
১৮৯. প্রকৃতিতে কোনো অহম নেই। তাই সেখানে এত শৃঙ্খলা , এত প্রশান্তি।
১৯০. আনুগত্য ও ঔদ্ধত্য একই মুদ্রার দুটি ভিন্ন পিঠ।
১৯১. স্রষ্টায় সমর্পণ এবং অহম কখনো সহাবস্থান করতে পারে না। সত্তা থেকে অহমের দুর্গন্ধময় অস্তিত্বকে অপসারণ করতে পারলেই সমর্পণের প্রশান্তিময় সুবাতাস বইতে শুরু করে।
১৯২. দলিল, প্রমাণ কিংবা যুক্তিতর্ক দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করা যায়, কিন্তু নিজের অন্তরাত্মাকে পরিতৃপ্ত করা যায়না। আত্মশুদ্ধি ও স্রষ্টায় সমর্পণের মধ্য দিয়েই আত্মা তৃপ্ত হতে পারে।
১৯৩. ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।
১৯৪. চেতনা, ব্যক্তি এবং কাজ যখন একাকার হয়ে যায়, তখনই সে চেতনা বিকশিত হয়, প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫. নিজের জীবনাচারে প্রতিফলিত না হলে মৌখিক স্বীকৃতি বা বিশ্বাস অর্থহীন।
১৯৬. প্রচলিত সংস্কার যখন ধর্মাচারের রুপ নেয় তখন ধর্মের গন্ডি ক্ষুদ্র হয়ে আসে। আর ধর্ম যখন সংস্কৃতিতে রুপান্তরিত হয়, সে তার আপন উদারতা ও ঔজ্জ্বলতায় প্রস্ফূটিত হয়।
১৯৭. কোনো চেতনা , ধর্ম বা সংস্কৃতি জয়ী হয় তার অন্তর্নিহিত কল্যাণকামিতা , মমতা, উদারতা ও আলোকময়তা দ্বারা, অস্ত্র বা চাপের মুখে নয়।
১৯৮. বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক হাওয়া মানে শাশ্বত চেতনাকে আধুনিকতার রঙে নিজের জীবনে ধারণ করা, ব্যকডেটেড বা প্রাচীন হওয়া নয়।
১৯৯. রাগের অন্তর্মূখি প্রকাশ হচ্ছে ক্ষোভ। আর দুর্ব্যবহার ও ঘৃণা আপনার ভেতরের হীনন্মন্যতার বহিঃপ্রকাশ।
২০০. প্রতিটি ঘটনার ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ করুন। আপনার অর্জনের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
২০১. বুদ্ধিমান নিজের ভুল বুঝতে পারেন, আর আহাম্মক অন্যের ভুল ধরতেই বেশি ব্যস্ত থাকে।
২০২. যখন নিজের কাছে নিজে জবাবদিহি করতে পারবেন, তখন আপনার ভুলের পরিমাণও কমতে থাকবে।
২০৩. অন্যদের ভুলগুলোকে ততবার ক্ষমা করুন যতবার আপনি নিজে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করেন।
২০৪. 'দুঃখিত' মানে ভুলের জন্যে শুধু দুঃখ প্রকাশ করা নয়, বরং ভবিষ্যতে সে ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা।
২০৫. মস্তিষ্ক দিয়ে বিশ্বাস করা যায় না, বিশ্বাস করতে হয় হৃদয় দিয়ে।
২০৬. বিশ্বাস ও কাজের গতি এক চমৎকার সুচক্রে ঘূর্ণায়মান। বিশ্বাস কাজে গতি সৃষ্টি করে। আর কাজের গতি বিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
২০৭. বিশুদ্ধ নিয়ত, সক্রিয় উদ্যোগ, আন্তরিক কাজ এবং সৎসঙ্ঘে একাত্নতা জীবনে স্রষ্টার রহমত আনে।
২০৮. জীবনকে আনন্দময় করার জন্যে অনেক বস্তু নয়, প্রয়োজন সঠিক জীবনদৃষ্টি।
২০৯. একজন ভোগবাদীর সবচেয়ে বড় ভয় হলো মৃত্যু ভয়।
২১০. দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক না হলে অর্থ - বিত্ত বাড়ার সাথে সাথে নিরাপত্তাহীনতা ও অভাববোধও বাড়তে থাকে।
২১১. যত আপনি বিলিয়ে দিতে পারবেন তত আপনার প্রাচুর্য বাড়তে থাকবে। যত আপনি কুক্ষিগত করে রাখবেন তত আপনার অভাববোধ বাড়বে।
২১২. 'নিয়ম অন্যদের জন্যে, আমি নিয়মের ব্যতিক্রম' - এ ভাবনাই সঙ্ঘবদ্ধ কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
২১৩. বিশৃঙ্খলা বা বিরুদ্ধাচরণ এবং অহম একটি অপরটির পরিপুরক।
২১৪. যে খ্যাপে, তাকেই খ্যাপানো হয়।
২১৫. আকাশকুসুম স্বপ্নচারী, দুশ্চিন্তাকারী, সংকট সৃষ্টিকারী, শতভাগ নিখুঁত কর্মসম্পাদনকারী ও সব কাজের কাজি - দীর্ঘসূত্রীদের মধ্যকার কয়েকটি শ্রেণী।
২১৬. কাজ শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কাজের পেছনে নিরলসভাবে লেগে থাকা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২১৭. একঘেয়েমিপূর্ণ কোনো কাজ শেষে নিজেকে নিজে পুরস্কৃত করুন। এতে কাজের উদ্যম বহুগুনে বেড়ে যাবে।
২১৮. একজন অনন্য মানুষ ব্যতিক্রম অ অনন্যতাকে নিঃসন্দেহে শ্রদ্ধা করে আর সেইসাথে জানে - বিস সৃষ্টি করার শক্তি তার মাঝেও সুপ্ত রয়েছে।
২১৯. নিজের কর্মক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে বেশি করে ভাবুন। আপনি যা যা পারেন তার তালিকা তৈরি করুন। গুনগুলো যত বিকশিত হবে সীমাবদ্ধতাকে তত অতিক্রম করতে পারবেন।
২২০. নির্বোধরা গাধার মতো খেটে নিস্ফল কাজ করে।আর বুদ্ধিমানরা কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে অল্প কাজে বেশি ফল লাভ করে।
২২১. তাত্ত্বিক শিক্ষা এক বছরে যা শেখায় , বাস্তব অভিজ্ঞতা একদিনে তার চেয়ে বেশ শেখায়।
২২২. একটি তরঙ্গের অস্তিত্ত্ব ততক্ষণই যতক্ষণ তার গতি আছে। গতি থেমে গেলে তরঙ্গও বিলীন হয়ে যায়।
২২৩. জীবনে চলার পথে দঃখ আসতেই পারে।কিন্তু দুঃখের সাগরে নিজেকে নিমজ্জিত রাখবেন না। যেরকম মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া পাখিকে আপনি চুলে বাসা বাধতে দেন না।
২২৪. দুঃখ বা শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে শিখুন। আপাত ব্যর্থতাও নতুন সাফল্যের জন্যে প্রেরণা যোগাবে।
২২৫. যার কথার চেয়ে কাজের পরিমাণ বেশি , সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়া শব্দ তত কম।
২২৬. নীরব কাজ সবচেয়ে সফল প্রচারক।
২২৭. প্রতিটি বৈষম্যের পেছনে রয়েছে বৈষম্যকারীর হারাবার আশঙ্কা নয়তো ঈর্ষা।
২২৮. শোষকের সহযোগী হওয়ার মধ্যে কোনো গৌরব নেই বরং শোষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টাই মহত্ত্বের।
২২৯. বুদ্ধিমান প্রতিকারের চেষ্টা করে। আর নির্বোধ প্রতিবাদ ও হৈচৈ করে সময় নষ্ট করে।
২৩০. গীবত ও পরচর্চা অবচেতন অহমেরই বহিঃপ্রকাশ। অন্যের নিন্দার মূলে রয়েছে আত্নপ্রসাদ কিংবা হীনম্মন্যতায় আক্রান্ত আমি'কে লুকানো প্রবণতা।
২৩১. সহজেই কাউকে বিশ্বাস করবেন না। সময় নিন, যাচাই - বাছাই করুন, এরপর সিদ্ধান্ত নিন। কিন্তু একবার বিশ্বাস করলে তা পুরোপুরি করুন।
২৩২. ছোট ছোট ভুলের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। একটি ছোট ছিদ্র বিশাল জাহাজকেও ডুবিয়ে দিতে পারে।
২৩৩. অন্যের কল্যাণে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হোন। তাদের কথা সবসময় মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আপনার অল্প কথাই তখন তাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
২৩৪. পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা তৈরি হলে তবেই পরামর্শ দিন। অযাচিত উপদেশ বা পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
২৩৫. আলস্য হচ্ছে নরকে যাওয়ার প্রধান রাজপথ।
২৩৬. সময়ানুবর্তী হয়ে সুপরিকল্পিতভাবে সুনির্দিষ্ট কল্যাণকর ও ফলপ্রসু কাজ না করাই হচ্ছে আলস্য। সফলদের উত্থান হয় কাজের মধ্য দিয়ে, আর ব্যর্থতা অ পতন আসে আয়েশ ও আলস্যের পথ ধরে।
২৩৭. চাওয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে পারলে মন স্থির হয়, অতৃপ্তি কমতে থাকে। ১৯টি এমন বিষয়ের তালিকা তৈরি করুন যা আপনি মৃত্যুর আগে অর্জন করতে চান। তালিকাটি সবসম্য নিজের সঙ্গে রাখুন।
২৩৮. সাফল্য কোনো গন্তব্য নয়; বরং গন্তব্যে পৌছার জন্যে এটি এক বিরামহীন প্রয়াস।
২৩৯. জীবনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেবেন না। লক্ষ্যহীন জীবন রাডারবিহীন জাহাজের মতোই কোনো গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে না।
২৪০. যে ক্ষতি পূরণ হতে পারে তা নিয়ে আফসোস করে সময় নষ্ট না করে বিকল্পগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন।
২৪১. আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আশু লক্ষ্যগুলোকে ঠিক করুন।
২৪২. রাগ ক্ষোভ প্রতিহিংসা ঈর্ষা ঘৃণা সীমালঙ্ঘন আপনার প্রাচুর্যের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
২৪৩. অপ্রকাশিত রাগ কাজের দক্ষতা , মনোযোগ ও উদ্যমকে নষ্ট করে দেয়। জমে থাকা রাগগুলোকে কাগজে লিখে পুড়িয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ধ্যানের স্তরে রাগের কাল্পনিক বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে মন থেকে তা ঝেড়ে ফেলুন।
২৪৪. যে বিশ্বাস সাহস সৃষ্টি করে না , তা হচ্ছে অবিশ্বাস বা ভ্রান্ত বিশ্বাস। আর যে বিশ্বাস মানুষকে মুক্তি দেয় সেটাই মুক্ত বিশ্বাস।
২৪৫. ভ্রান্ত বিশ্বাস কিংবা মুক্ত বিশ্বাস - উভয়েরই রয়েছে সম্মোহনী শক্তি। আপনি তথ্য বা ধারণার আলোকে বার বার যা ব্যক্ত করেন অবচেতন মন তা-ই বিশ্বাস করে সম্মোহিত হয়।
২৪৬. আপনার সন্দেহ সংশয় নিস্ক্রিয়তা আত্নধিক্কার- এ সবই ভ্রান্ত বিশ্বাসে নিজের অজ্ঞাতে সম্মোহিত হওয়ার পরিনাম। অবচেতন মনের কাছে অযৌক্তিক নেতিবাচক কথার পুনরাবৃত্তির ফসল।
২৪৭. ভুলে যান অতীত ভুলকে। বার বার তা মনে করে অহেতুক ও অপ্রোয়জনীয় পাপবোধে ভুগবেন না। বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রা করুন সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে।
২৪৮. মানুষ হিসেবে আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধে নই। তাই ভুল হয়ে গেলে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করুন।
২৪৯. আপনার 'আমি' কে খুঁজে বের করুন। তাহলেই দেখবেন, আপনার স্বপ্ন পূরণের ক্ষমতা ও সামর্থ্য নিহিত রয়েছে আপনার ভেতরেই।
২৫০. ভালো রেজাল্ট , ভালো ছাত্র , ভালো মানুষ - শিক্ষার্থী জীবনের লক্ষ্যের সিঁড়ির তিনটি ধাপ।
২৫১. ভালো কাজ ছাড়া কোনো কিছুকেই প্রতিযোগিতা হিসেবে নেবেন না। এতে স্বার্থপরতা ও ক্ষুদ্র মানসিকতা থেকে মুক্তি পাবেন।
২৫২. মমতা সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় বিকশিত করে। আর হিংসা ও ঘৃণা সম্ভাবনার সব পথকে বন্ধ করে।
২৫৩. হিংসার জবাবে প্রতিহিংসা হিংসাকে আরো উসকে দেয়। অহিংসা ও ক্ষমাই পারে এ দুষ্টচক্রকে ভাঙতে।
২৫৪. অন্যের পরিচয়ে নয়, আত্নপরিচয় নিজেকে সবার কাছে পরিচিত করুন।
২৫৫. আত্নসম্মানবোধ ও আত্নবিশ্বাস আপনার ক্ষতিকর লজ্জা কাটানোর দুটি হাতিয়ার।
২৫৬. কারো কাছে থেকে সুবিধা গ্রহণের আগে এর বিনিময় পরে কতটা মূল্য দিতে হতে পারে তা ভেবে দেখুন।
২৫৭. অর্থ ও খ্যাতির পেছনে ছুটতে গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে অবহেলা করবেন না। আত্নিক বন্ধন গড়ে তুলতে কিছু সময় ব্যয় করুন। নিঃসঙ্গ , বঞ্চিত ও ক্লান্তিকর জীবন থেকে মুক্তি পাবেন।
২৫৮. আত্নিক সম্পর্ক বিশেষ দিবসে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে আন্তরিকতার চেয়ে সামাজিক লৌকিকতাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে।
২৫৯. হতাশা ও আনন্দ হচ্ছে এক পরস্পর বিরোধী অবস্থান। হতাশাবোধ আনন্দকে মাটি করে দেয়। আর হৃদয়ে আনন্দের অনুভুতি আনতে পারলে হতাশা পালিয়ে যায়।
২৬০. সত্যিকার বিনোদন দুশ্চিন্তা মুক্ত করে, মানসিক স্থিরতা ও প্রশান্তি এনে দেয়।
২৬১. দুঃখবিলাস বা কিছুই ভালো না লাগা আলস্যর একটি রুপ। যারা কিছু করেনা , তাদেরই আসলে কিছু ভালো লাগে না। আর যারা ব্যস্ত তাদের কিছু ভালো না লাগার কোনো সুযোগ থাকে না।
২৬২. কোনো কিছুতেই বিরক্ত হবেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সবর করুন।
২৬৩. ভালো কথা বলার সুযোগ না থাকলে নীরব থাকুন। আর উৎসাহব্যঞ্জক কিছু বলার সুযোগ থাকলে নির্দ্বিধায় বলুন।
২৬৪. কাজকে নির্ভুল ও গতিশীল করুন। প্রথমে নির্ভুলতাকে গুরুত্ত্ব দিন। এরপর ক্রমান্বয়ে কাজের গতি বাড়াতে থাকুন।
২৬৫. কাউকে দায়িত্ত্ব অর্পণের সাথে সাথে তা পালনের স্বাধীনতাও তাকে দিন।
২৬৬. ইতিহাসে তারাই কালজয়ী হয়েছেন যারা পূর্ব পুরুষের প্রচলিত ভ্রান্ত সংস্কার ও আচরণ - অভ্যাসের ক্ষুদ্র বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন।
২৬৭. গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন না। ভ্রান্ত প্রথা অনুসরণকারী নয়, শাশ্বত চেতনার আলোকে প্রথা প্রবর্তনকারীরাই মুক্তির পথ দেখান।
২৬৮. হাজার মাইলের অভিযাত্রা শুরু হয় একটি ছোট পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে। তাই আপনার যা আছে তা নিয়েই, যেখানে আছেন সেখান থেকেই শুরু করুন।
২৬৯. যত সামান্য উপকার হোক না কেন আজ থেকেই তা শুরু করুন। অন্যের কল্যাণে কাজ না করলে নিজের কল্যাণও করা যায় না।
২৭০. সুসংবাদ কিংবা দুসংবাদ - দুটোই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন। প্রকৃতিতে এমন কিছু ঘটেন না যার কোনো যৌক্তিক বা সুদূরপ্রসারী কারণ থাকে না।
২৭১. জীবন আপনার জন্যে স্রষ্টার পক্ষ থেকে অমূল্য উপহার। একে ভালবেসে অর্থবহ করে তুলুন, কিন্তু জীবনের প্রতি মোহগ্রস্ত হবেন না।
২৭২. আগে জানুন আপনি কেন বাঁচবেন। তাহলেই পারিপার্শ্বিক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
২৭৩. অবজ্ঞা, অশ্রদ্ধা ও অবহেলাপূর্ণ আচরণ জীবনকে মমতাহীন পাশবিকতার দিকে টেনে নিয়ে যায়। আর বিনয়, সহানুভুতি ও মহানুভবতার মতো মানবীয় গুনাবলি জীবনকে স্বর্গীয় করে তোলে।
২৭৪. একাগ্র প্রার্থনায় স্রষ্টাকে আমরা কিছু বলি। আর হিরন্ময় মৌনতায় স্রষ্টা কী বলছেন তা আমরা শুনি।
২৭৫. বিচ্ছিন্নতা হলো দুর্বলতা। আর সঙ্ঘবদ্ধতা হলো শক্তি। গাছের প্রাণ ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তা মূলের সঙে সংযুক্তত থাকে। সৎসঙ্ঘে সঙ্ঘবদ্ধ থাকুন। প্রকৃতির ছন্দে আপনার জীবন বিকশিত হবে।
২৭৬. স্বপ্নের জন্যে রক্ত যখন ঘাম হয়ে ঝরে, সেই নোনা পানিতে সাফল্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়।
২৭৭. প্রতিটি অর্জন হচ্ছে নতুন শুরু, নতুন যাত্রার প্রস্তুতি।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
আত্মনির্মান
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- অসাধারন এবং বিরল কিছু মেঘের ছবি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- স্বাস্থ্যকর জীবনরীতি – নিরামিষ ভোজন
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- কেন তাঁরা চিরকুমার
- রাজপথের দীর্ঘ আলপনা
Popular Posts Last 7 Days
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
- গীতা সারাংশ
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
- বঙ্কিমচন্দ্র–রবীন্দ্রনাথ ধর্মতর্ক
- অমনোযোগী ও ডানপিটে শিশু
- সুখী দাম্পত্যের রহস্য
- সঠিক জীবনদৃষ্টি !! জীবনে আনে প্রশান্তি !!
- এইচআইভির কার্যকারিতা নষ্টের উপায় আবিষ্কার
- লবণও সিগারেটের মতো আসক্তি সৃষ্টি করে
- শুক্রের পরিক্রমণের বিরল দৃশ্য দেখল বিশ্ববাসী
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment