সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
পৃথিবী বিখ্যাত সফল মানুষেরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি কীভাবে কাটান?
সারা সপ্তাহের কাজের দিনগুলো শেষ করে যখন ছুটির একটা বা দুটো দিন দরজায় কড়া নাড়ে, কি ভালোটাই না লাগে! সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা নিয়ে কতো রকম পরিকল্পনাই থাকে আমাদের। বেড়াতে যাওয়া, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, পরিবারকে সময় দেয়া অথবা সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটাতে বিশাল একটা ঘুম। কিন্তু পৃথিবীর সফলতম ব্যক্তি যারা, তারা কীভাবে কাটান তাদের ছুটির দিনটি? জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই!
জেনে নিন তাহলে-
1। “নিজের ভুলগুলোকে মনে করে শুধরে নেবার দিন”- বিল গেটসঃ
তাঁকে বলা যায় বিশ্বের সফলতম একজন মানুষ। সাফল্যের জোয়ারে ভাসতে থাকা এ মানুষটি প্রতিনিয়ত শিখতে ভালোবাসেন। আর তাই নিজের ছুটির দিনটিকে তিনি পেছনে ফিরে তাকাবার জন্যে নির্ধারিত রাখেন। নিজের ভুলগুলো নিয়ে অনুশোচনা নয়, বরং শিক্ষালাভের জন্যেই ছুটির দিনে নিজের ভুলগুলোকে মনে করা ও শিক্ষালাভের দিন হিসেবে নির্ধারিত রাখেন তিনি।
2। “গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে বাছাই করার দিন এটি”-স্টিভ জবসঃ
ছুটির দিনটা হল, সারা সপ্তাহে আপনার ভুলে যাওয়া ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে মনে করে পরের সপ্তাহের জন্যে সাজিয়ে নেয়ার দিন। এই কাজটাই করতেন তিনি তার ছুটির দিনে। তবে তার মানে এটা নয় যে তিনি ছুটির দিনেও কাজের কথাই কেবল ভাবতেন। কেননা সারা সপ্তাহের না করা কাজের ভেতর পরিবারকে সময় দেয়াটাও আছে। তাই ছুটির দিনে সেটাকেও পূর্ণ মাত্রায় করতেন তিনি।
3। “দিনটা শুধুই পরিকল্পনার”-জ্যাক ডরসিঃ
সফল মানুষদের গোপণ সূত্র নিহিত থাকে তাদের ছুটির দিনেই। কেননা এই দিনটি পরিকল্পনার। তার মতে, ছুটির দিনে আপনি যত ভালো পরিকল্পনা করবেন, তত ভালোভাবে আগামী সপ্তাহটার কাজ এগিয়ে যাবে। সুতরাং কাজের দিনগুলোকে কাজে লাগাতে হলে ছুটির দিনটায় মাথা ঠান্ডা করে প্ল্যান করতে বসুন
4। “শখগুলো চর্চার পারফেক্ট দিন এটি”-ওয়ারেন বাফেটঃ
বিশ শতকের সবচেয়ে সফল এই বিনিয়োগকারী তার ছুটির দিনটি কাটান খেলাধুলা করে। এটিই তার শখ। সফল ব্যক্তিরা সব সময়েই বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। শখ দ্বারাও অনেক কিছু করা সম্ভব। কেননা দলীয় খেলার মাধ্যমে যেমন চেনাজানার গন্ডী বড় হয় তেমনি একাকী সৃজনশীল কোন শখ যেমন ছবি আঁকার মাধ্যমেও খুঁজে পাওয়া যায় মানসিক প্রশান্তি!
5। “ঘুম থেকে উঠতে হবে সকাল সকাল”-রবার্ট আইগারঃ
ডিজনির সি ই ও, নিঃসন্দেহে বিশ্বের সফলদের অন্যতম এই ব্যক্তি ছুটির দিনটিতেও ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটাকে ধরে রাখেন। তাঁর মতে সফল হতে চাইলে ছুটির দিনেও বেলা ১২ টা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমুবার অভ্যাসটা ত্যাগ করতেই হবে! কোন শর্টকাট নেই!
6। “আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজত হবার দিন”, রিচার্ড ব্র্যান্সনঃ
এই বিলিওনিয়ার মনে করেন, “দান করলে কেউ গরীব হয়ে যায় না” তাই তিনি চেষ্টা করেন তার ছুটির দিনগুলোতে সমাজের দুস্থ মানুষদের জন্যে কিছু করতে। তিনি ছুটির দিনগুলোতে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নেন।
7। “ছুটির দিন বলে কিছু নেই”- জে জেডঃ
“আপনি যদি সপ্তাহে মাত্র ৫ দিন কাজ করে বিলিওনিয়ার হতে চান এবং সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো অতি আরাম আয়েশে কাটাতে চান, তাহলে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না”। বলেন বিখ্যাত র্যাপ গায়ক ও সফল উদ্যোক্তা জে জেড। তার মতে আপনি সফল হতে চাইলে ঘুমুবার সময়েও একটা চোখ খোলা রেখে ঘুমুতে হবে। ছুটির দিন বলে যে কিছু একটা আছে, এটা উনি মানতেই চান না।
8। “স্থির হয়ে বসে থাকার চর্চা” -অপরাহ উইনফ্রেঃ
ছুটির দিনে সকাল বিকাল দুই বেলা কমপক্ষে ২০ মিনিট করে স্থির হয়ে বসে থাকতে পছন্দ করেন ফোর্বস ম্যাগাজনের জরিপে ২০১৩ সালের সেরা এই সেলিব্রিটি। বলা চলে মেডিটেশন। কেননা সারা সপ্তাহের মিডিয়া, সামাজিকতা, কাজ আর যোগাযোগ সব মিলিয়ে নিজেকে ক্লান্তি থেকে উজ্জীবিত রাখার জন্যে ছুটির দিনের এই মেডিটেশন তাকে সামনের দিনগুলোর জন্যে শক্তি যোগায়।
9। “দৌড়ের উপরেই থাকতে হবে”-এনা উইনট্যুরঃ
বিশ্বখ্যাত “ভোগ”ম্যাগাজিনের এ্ডিটর ইন চিফ প্রতিদিন এক ঘন্টা টেনিস খেলেন। তার মতে, দেহের সচলতা না থাকলে মনের সৃজনশীলতা থাকা কঠিন। তাই ছুটির দিনেও দৌড়ের উপর, অর্থাৎ শারীরিক পরিশ্রম ব্যায়াম বাদ দিয়ে ঘুমোনো যাবে না একদমই!
এবার ঠিক করুন, কীভাবে কাটাবেন আপনার ছুটির দিনটাকে!
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
সফল-যারা-কেমন-তারা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- চোখের পানির রহস্য
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
Popular Posts Last 7 Days
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- গীতা সারাংশ
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- চোখের পানির রহস্য
- মহাশূণ্যে নতুন চাঁদের উপস্থিতি
- Final Spacewalk for STS-134
- পৃথিবী বিখ্যাত সফল মানুষেরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি কীভাবে কাটান?
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment