ছেলেরা প্রেমে পড়ে বেশি

ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রেমে পড়ে কম। একটু ভেবেচিন্তে অন্তত প্রেম করার ব্যাপারে মেয়েরা সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিক থেকে ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে একটু বেশিই রোমান্টিক। অর্থাৎ প্রথম দর্শনে ছেলেদের ৪৮ ভাগ প্রেমে পড়লেও এমন প্রেমে পড়েন মেয়েদের ২৮ ভাগ মাত্র। ১০ হাজার ছেলে ও মেয়ের ওপর অনলাইন জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট

তবে ছেলেরা রোমান্টিক হলেও সহজে বিশ্বাস ভাঙতে জুড়ি নেই। এদের ৩৩ ভাগ স্বীকার করেছেন তারা বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে আসক্ত ছিলেন। আবার ছেলেরা বিয়ে বার্ষিকীর দিন মনে রাখতে না পারলেও শেষ মুহূর্তে সঙ্গিনীর জন্যে উপহার কিনতে ভুল করেন না।

ভালবাসা ও সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০ হাজার ছেলে মেয়ের কাছ থেকে ওই জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য সন্নিবেশিত করে একটি বই প্রকাশ করা হবে এবং এ বই সম্পর্ক টেকসই করার ক্ষেত্রে কাজে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনলাইন জরিপে প্রায় ১৩শ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছে। যৌনতা সম্পর্কে এখনকার ছেলে-মেয়েদের মনোভাব সম্পর্কে জানার বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে।

জরিপে ৭৪ ভাগ দম্পতি জানিয়েছেন তারা সুখী এবং ৬৬ ভাগ মনে করেন তারা একে অপরের আত্মার আত্মীয়। তবে বিয়ে বা মানসিক সম্পর্কের বাইরেও আবেগের বশবর্তী হয়ে কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ উত্তরদাতা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মাত্র ১৫ ভাগ উত্তরদাতা একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯ ভাগ মেয়ে স্বীকার করেছেন যে, তারা অতিরিক্ত যৌন সম্পর্ক স্থাপন নিজ ইচ্ছেতেই করেন।

জরিপে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে যে বই প্রকাশ করা হবে তাতে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে অনেক গোপন তথ্য ছাড়াও চমকপ্রদ কিছু বিষয় থাকবে যা যোগাযোগ স্থাপনে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলবে। আর যোগাযোগের অভাব বা বিচ্ছিন্নতাকে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে আরেক জরিপে দেখা গেছে রোমান্স বলে কিছু নেই এমন মত দিয়েছেন অধিকাংশ উত্তরদাতা। জারো ডট কম এক অনলাইনে জরিপে দেখতে পেয়েছে যে, বেশিরভাগ ব্রিটিশ মনে করেন টাকাই আসল যা ভালবাসাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ৪০ ভাগ উত্তরদাতা যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৪ এবং তাদের অভিমত হচ্ছে নগদ অর্থ ভালবাসা কিংবা সুস্বাস্থ্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ জরিপে অংশ নেন ২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক নরনারী যাদের মধ্যে নারীরা ভালবাসাকে বেশ গুরুত্ব দেন আর ১৩ ভাগ পুরুষ মনে করেন অর্থই সকল সুখের মূল।

তবে তরুণ প্রজš§ অনেক বেশি রোমান্টিক, যাদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েরা ভালবাসা ও অর্থকে সমান গুরুত্ব দেন যাদের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ।

বিভিন্ন দেশে যে ১০ হাজার ছেলে-মেয়ের ওপর জরিপ চালানো হয় তার উদ্যোক্তা হচ্ছে ক্রিস্টিনা নর্থরাপ। তাকে এব্যাপারে সহায়তা করেছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক পিপার সোয়ার্জ ও ভার্জিনিয়ার জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস সোয়ার্জ।

আমাদের সময়