মেদ কমায় আঙুর

নাগাল না পাওয়া শেয়ালের জন্য ‘আঙুর ফল টক’ হলেও হতে পারে; তবে মানুষের জন্য আঙুর মিষ্টিই বটে। চাইলেই পকেটের পয়সা খরচ করে বাজার থেকে কিনে মুখে পুরতে পারেন মিষ্টি আঙুর। তবে স্বাদ ও পুষ্টি জোগানোর সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা কাজও করে থাকে সংস্কৃত ভাষায় দ্রাক্ষা নামের এই ফলটি। তা হলো শরীরের মেদ কমিয়ে মানুষকে মোটা হওয়ার প্রবণতা থেকে রক্ষা করা। অর্থাৎ যে কারণে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে, শরীরে সে উপাদানটা কমিয়ে রাখার কাজ করে আঙুর। ফলে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারে মানুষ।

মিসিগান ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নতুন এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আঙুরের মধ্যে পলিফেনলস নামে এমন একটি উপাদান আছে, যা পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে সহায়তা করে। এর ফলে বিপাকজনিত সমস্যা থেকেও মুক্ত থাকতে পারে মানুষ। এছাড়া শিরা-উপশিরাসহ পুরো দেহযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

গবেষণাটির পরিচালক ই. মিচেল সেমুর আমেরিকানদের খাদ্যাভ্যাসের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পান, আঙুর খেতে পছন্দ করে এবং পছন্দ করে না_ এমন মানুষের মধ্যে ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতার বেশ পার্থক্য রয়েছে। তিনি দেখতে পান, অন্যান্য খাবারকে সুসমন্বিত করার ক্ষেত্রে আঙুরের মধ্যে একটা বিশেষ উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটিই মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক উপাদানগুলোর পরিমাণ কমিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করে।

পরিপাক ক্রিয়াজনিত সমস্যায় আপনি আক্রান্ত হতে পারেন উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে সুগারের প্রকোপ, অস্বাভাবিক হারে মেদবৃদ্ধি, হৃদরোগ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে। গবেষকরা তাদের তিন মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, আঙুর খেতে অভ্যস্ত লোকদের ক্ষেত্রে এসব ঝুঁকি অনেকটাই কম।

সেমুর বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আঙুর খেলে আপনি পরিপাকজনিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং দেহযন্ত্র দীর্ঘ কর্মক্ষম থাকবে।’ সূত্র : জিনিউজ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সমকাল