ইউনিফিকেশন চার্চের অনুসারীদের ‘প্রভু’ ও চার্চের প্রতিষ্ঠাতা সান মাইয়্যুং মুনের (৯২) মৃত্যুর পর এটাই এ ধরনের প্রথম আয়োজন। গত সেপ্টেম্বরে মুন মারা যান। গণবিয়ে পরিচালনা করেন মুনের বিধবা স্ত্রী হাক জা-হান (৭০)।
১৯৫৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি নতুন ধর্মীয় আন্দোলন শুরু হয়। ইউনিফিকেশন চার্চ নামের এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সান মাইয়্যুং মুন। এই মতাবলম্বীরা মনে করেন, ১৯৩৫ সালের ১৭ এপ্রিল মুনের ভেতরে যিশুখ্রিষ্টের আবির্ভাব ঘটেছে এবং তাঁকে যিশুখ্রিষ্টের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গণবিয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রথমে বিয়েযোগ্য নর-নারীকে নির্বাচন করতেন মুন। পরে বাছাই করা নর-নারীর মধ্য থেকে জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতেন নবদম্পতি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর-কনে বাছাইয়ের এই গুরুদায়িত্ব মা-বাবাকে দেওয়া হয়েছে। তারপরও এবার অন্তত ৪০০ সদস্য মুনের স্ত্রীর পছন্দে বিয়ে করেছেন। এঁদের মধ্যে বিভিন্ন ভাষাভাষী, সংস্কৃতি এমনকি ভিন্ন দেশের নাগরিকও রয়েছেন। এমনও আছে, কেউ কেউ ঘণ্টার ব্যবধানে পরিচিত।
চার্চে গণবিয়ের এই প্রথা চালু ১৯৬০-এর দশকে। কিন্তু সম্প্রতি সংখ্যায় এর ব্যাপকতা বেড়েছে। বিবিসি ও এবিসি নিউজ।
0 comments:
Post a Comment