পরীক্ষালব্ধ ফলাফল থেকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট জোরে হাঁটা বা দেঁৗড়ানো কিংবা সাইকেল চালানোর ফলে হার্টের অকার্যকারিতা রোধের পাশাপাশি দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত হার্ট কিংবা হৃদরোগের সমস্যা সম্পূর্ণ না হলেও অনেকখানিই দূর হয়। এ ধরনের শরীরচর্চায় ঘাম সৃষ্টি হলেই সাধারণভাবে ধরা হয় তা যথার্থ হয়েছে। এমন পরীক্ষা প্রথমে কিছু স্বাস্থ্যবান ইঁদুরের ওপর চালানো হয়েছিল। এতে দেখা যায়, ইঁদুরের দেহে স্টেমসেলগুলো অধিক সক্রিয় হয়ে হৃদযন্ত্রের পেশির উন্নয়ন ঘটিয়ে কার্যকারিতায় গতি সৃষ্টি করে। প্রতিদিন নিয়মিত ইঁদুরগুলোকে ছোটাছুটি করানোর দুই সপ্তাহর পর লক্ষ্য করা হয়, এদের হার্টে নতুন পেশিও সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে একটি গবেষণাকর্ম ইউরোপিয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মরিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানিয়েছে, ওই ইঁদুরগুলো এত মোটা ছিল যে, সেগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে ছিল, কিন্তু তাদের ওপর এ পরীক্ষা চালানোর পর তারা অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে।
গবেষক দলের প্রধান ড. জরজিনা ইলিসন বলেন, নির্ধারিত কিছু শরীরচর্চা যা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু ভারী অর্থাৎ শক্তিময় শরীরচর্চা বিভিন্ন অঙ্গের স্টেমসেলগুলোকে সক্রিয় করে পেশির উন্নয়ন ঘটিয়ে সে অঙ্গের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে দেয়। এভাবে স্টেমসেলের এমন সক্রিয় অবস্থা হার্টের পেশির ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে যারা দেঁৗড়াতে বা জোরে হাঁটতে অক্ষম তাদের জন্য সাধ্যমতো ব্যায়াম বা হাত-পা নাড়াচাড়া কিংবা সাইকেল চালালেই উপকার হবে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক জার্মি পেয়ারসন বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের হার্টের কার্যকারিতার উন্নয়ন ও নতুন পেশি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সুপ্ত স্টেমসেলগুলোকে সক্রিয় করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে ভুগছে, এমনকি চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি নিচ্ছে, তাদের জন্যও হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর মতো শরীরচর্চা আরোগ্যের বিষয়টি অনেকখানি ত্বরান্বিত করতে পারে। ক্যান্সার আক্রান্ত এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন ২ হাজার ৬০০ জনের ওপর এ পরীক্ষা চালিয়ে উল্লেখযোগ্য সুফল পাওয়া গেছে।
0 comments:
Post a Comment