১৭ই ডিসেম্বর চান্দ্র পাহাড়ের সাথে ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয় নাসার দুটো যান। চাঁদের মধ্যাকর্ষণ মানচিত্র তৈরির জন্য ওই স্পেস ক্রাফট দুটি পাঠিয়েছিল নাসা। খবর রয়টার্স-এর।
সৌরমণ্ডল কিভাবে গঠিত তা নিয়ে গবেষণা করতে নাসা এক জোড়া স্পেস ক্রাফট চাঁদে পাঠিয়েছিল। চাঁদের ভূপৃষ্ঠ আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে পাতলা। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গার রয়েছে ছোটবড় গর্ত। সোমবার একটি পর্বতের সাথে ধাক্কায় ক্রাফট দুটো বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর আগে রাত পৌনে এগারোটায় যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সির সঙ্গে প্রথম স্পেস ক্রাফটটির তরঙ্গ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ২০ সেকেন্ডের মাথায় অপরটিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। নাসার মিশন কমান্ডার এ তথ্য জানান।
গ্রাভিটি রিকভারি এন্ড ইন্টেরিয়র ল্যাবরেটরি ‘গ্রেইল’ স্পেস ক্রাফট চাঁদে প্রদক্ষিণ করছিলো। বিজ্ঞানিরা যাতে মধ্যাকর্ষণ মানচিত্র তৈরি করতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করতে স্পেস ক্রাফটটি পাঠানো হয়। উচ্চ মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে স্পেস ক্রাফটি নিচের দিকে চলে আসে।
মিশনটি শেষ করতে পারা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির পরিচালক চার্লস ইলাচি।
৬ ডিসেম্বর ওই যান চাঁদে ৭ মাইল প্রদক্ষিণ করে সর্বকণিষ্ঠ জ্বালামুখের ম্যাপ তুলতে সক্ষম হয়। একে বিজ্ঞানীরদের চাঁদের গঠন বুঝতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে নাসা। এ গবেষণা চাঁদ ছাড়াও পৃথিবীর ভেতরকার অন্যান্য গ্রহের গঠন প্রক্রিয়া উদঘাটনে সহায়ক হবে। গবেষণায় চাঁদের মধ্যাকর্ষণ মানচিত্রে অ্যাপোলোর মাটি এবং শিলা সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নাসা।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment