রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলা কাউন্সিলের প্রধান রামনিবাস জাত বলেন, ‘আমরা গণশৌচাগার তৈরির কথা ভাবছি। জনগণকে তা ব্যবহারে উৎসাহী করা হবে। জনসমক্ষে প্রস্রাব করা থেকে বিরত রাখতে আমরা সচেতনতা বাড়াতে চাই। এ কারণে ঢোল পেটানো ও বাঁশি বাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, যারা জনসমক্ষে প্রস্রাব বা মলত্যাগ করবে, তাদের লজ্জায় ফেলতে স্বেচ্ছাসেবকেরা এসব কাজ করবে। তবে এ কারণে স্বেচ্ছাসেবকদের সামান্য মজুরি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘দোষী’ ব্যক্তিদের নাম জনসমক্ষে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নারী অধিকারের মতো ভারতে স্বাস্থ্যসম্মত পয়োব্যবস্থা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নারীরা তাদের আত্মসম্মানবোধের কারণে দিনের বেলায় বাসার বাইরে প্রস্রাব বা মলত্যাগ করতে পারে না। তাদের হয় ভোরের আগে অথবা অন্ধকার হওয়ার জন্য বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
জনসমক্ষে মলত্যাগ করায় মানুষের মধ্যে রোগব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় যারা খালি পায়ে হাঁটছে, তারা ফিতা কৃমিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুরা এসব জায়গায় খেলাধুলা করায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ বছরের শুরুতে পল্লি উন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, ভারতের অবশ্যই লজ্জা পাওয়া উচিত। কারণ, সারা বিশ্বের যত লোক খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে, তার ৬০ শতাংশ ভারতের। এএফপি।
0 comments:
Post a Comment