সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
সন্তান জন্মদানে অক্ষমদের জন্য সুখবর
সন্তান জন্ম দিতে যারা অক্ষম তাদের অনেকের মুখে হাসি ফুটতে আর বেশি বাকি নেই- এমন দাবি করেছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী৷ কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের দেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে পুরোপুরি সফল হয়েছেন৷
সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ সন্তানের বাবা-মা হতে চান৷ জগতের সব প্রাণীই চায়৷ এই চাওয়া চিরকালীন৷ কিন্তু চাইলেও অনেকে সন্তানের মা-বাবা হতে পারেন না৷ কারো কারো জন্য এই ‘না পাওয়ার ব্যথা’ অবর্ণনীয়৷ এবার একদল কোষবিজ্ঞানীর উদ্ভাবন এই হতাশা থেকে মুক্তির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখাচ্ছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’- এ প্রকাশিত হয়েছে একটি নিবন্ধ৷ ওই নিবন্ধের মাধ্যমেই জানা গেছে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীর অভূতপূর্ব সাফল্যের খবর৷ জাপানের এই বিজ্ঞানীদের দাবি, যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম, তাদের এই অক্ষমতা দূর করার সম্ভাবনা সৃষ্টির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা৷ সাধারণ কোষ থেকে ডিম্বকোষ তৈরি করে দেখিয়েছেন তাঁরা।
মানুষের বড় বড় আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে গিনিপিগ, মশা, মাছি, গরু বা ভেড়ার মতো প্রাণীদের অনেক অবদান৷ কিছুদিন আগে ক্লোনিংয়ের সার্থক রূপায়ণ প্রমাণ করে দেখাতে জন্ম দেয়া হলো মেয়ে-ভেড়া ডলিকে৷ ভেড়া ডলির নাম তাই মানব ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে আছে। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাঁদের সাফল্য প্রমাণ করে দেখাতে বেছে নিয়েছিলেন একটি ইঁদুরকে৷ প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুরটি সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম৷ একে সক্ষম করতে প্রথমে বিজ্ঞানীরা তার দেহ থেকে কোষ নিয়ে সেগুলোর কিছু জিন পাল্টে দিয়ে এমন করে ফেললেন যার ফলে কোষগুলো একেবারে পুরুষদের শুক্রাণু বা মেয়েদের ডিম্বাণু তৈরির সহায়ক আদি কোষের অনুরূপ হয়ে গেল৷ সেই কোষগুলো নিয়ে সাধারণ কোষের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হলো ডিম্বকোষ৷ তারপর ডিম্বকোষ প্রোথিত হলো ইঁদুরের দেহে৷ তারপর সেই ইঁদুরের দেহে তৈরি হলো জননকোষ৷ প্রক্রিয়াটা খুব সহজ মনে হলেও মোটেই সহজ নয়৷ তারপর জননকোষগুলো নিয়ে রাখা হয় টেস্ট টিউবে আর সেখানেই অবশেষে তৈরি হয় নতুন ভ্রূণ৷ তারপর শেষ ধাপ৷ এ পর্যায়ে দরকার পড়ে ‘সারোগেট মাদার’-এর৷ অন্য একটি মেয়ে ইঁদুর এনে তার সহায়তায় জন্ম দেয়া হয় সুস্থ, স্বাভাবিক এক ইঁদুরছানা৷
দীর্ঘদিনের গবেষণা শেষে প্রাপ্তিটা কিন্তু আনন্দে আত্মহারা হবার মতোই৷ নারী-পুরুষের সরাসরি মিলন ছাড়া, দেহের সাধারণ কোষ নিয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে এক পর্যায়ে সুস্থ শিশুর জন্ম দেয়া- এ প্রায় এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড! বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রক্রিয়ায় যেসব নারী মা হতে ব্যাকুল, কিন্তু দেহে ডিম্বাণু তৈরি হয় না বলে পারছেন না, তাঁরাও মা হতে পারবেন৷ তাঁদের দেহ থেকেও কোষ নিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেই সেটা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে৷
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিচিনোরি সাইতো মনে করেন, তাঁদের এই সাফল্য ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো স্বচ্ছ ধারণা দেবে এবং সন্তান জন্ম দেয়ায় অক্ষমতার কারণ শনাক্ত করতেও সাহায্য করবে৷ তবে তিনি বলেছেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি, পথ এখনো অনেক বাকি৷ গবেষণার সাফল্য সম্পর্কে সংশয়মুক্ত হতে মানুষ আর বানরের দেহে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্তান জন্ম দেয়া যায় কিনা তা দেখার পরিকল্পনা আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
কিন্তু কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাতসুহিকো হায়াসি মনে করেন, মানুষের দেহে সরাসরি এ প্রক্রিয়া চালানোর কথা ভাবা এখনো সম্ভব নয়, কারণ, ইঁদুর নিয়ে কাজ করতে গিয়েই সম্প্রতি দেখা গেছে, আদি কোষ নিয়ে সেগুলোকে আবার অন্য একটি জীবিত ভ্রূণের কোষের সঙ্গে নিষিক্ত করতে হয় এবং তা করতে গেলে ওই ভ্রুণটি মারা যায়৷ কথা হলো, এভাবে নতুন শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে অন্য একটি ভ্রূণ হত্যা কি সবাই মেনে নেবেন? অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষেরই কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হওয়ার কথা৷ সে কারণে মানবদেহে এই প্রক্রিয়া যাচাই করে দেখার আগে গবেষণা করে বিকল্প উপায় বের করার পক্ষে কাসুহিকো হায়াসি৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে ও এএফপি।
বার্তা২৪
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment