সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
পৃথিবীর শুরু ও শেষের কথা: মহাবিশ্ব ও প্রলয়ের ঝংকার!!!
সৃষ্টির আদি থেকে মানুষ এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে, জানতে পেরেছে অনেক কিছুই, আবার অজানাও রয়ে গেছে অনেক। ্যারা মুসলিম তারা বলেন যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন " কুন " আর তারই সাথে সৃষ্টি হয়েছে এ মহাবিশ্বের। ্যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বি তারা দাবি করেন ্যে ভগবানের " ওম্ " থেকে এর সৃষ্টি।আর বিজ্ঞান বলে ্যে Super Nova থেকে সৃষ্টি এ মহাবিশ্বের।এখান থেকেই ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মিল পাওয়া ্যায়।
ধর্মের মত্ আর বিজ্ঞানীদের মতের কোন পার্থক্য এখন খুব একটা পাওয়া ্যায় না, কারন আজকের বিজ্ঞান আজ থেকে কয়েকশ বছর আগের মানুষেরা আবিষ্কার করেছিল, শুধু প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল পৃথিবী।উপরের ছবিটির মতই প্রকান্ড বিষ্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের সৌরজগত। এই Super Nova শব্দটির উৎপত্তি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে ্যার অর্থ এক নতুনের শুরু। বিজ্ঞানিরা বলেন্ ্যে এই Super Nova সংঘটিত হয়েছিল ৩০,০০০ কি.মি./ঘন্টায়। ্যার অর্থ আলোর বেগের ১০%, ্যাই হোক, আপনাদেরকে আর জ্ঞান না দিয়ে আমার মূল ঘটনা শুরু করি।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কি তা কম বেশি আমরা সবাই জানি। রাতের আকাশে তাকালে কখনো কি আপনাদের চোখে পড়েনি এক্টি সাদা সরল রেখা ? না পড়লে আজ রাত পর্যন্ত এক্টু অপেক্ষা করুন। রাতের আকাশে স্পষ্ট দেখা যায় আমাদের সৌরজগতের মা কে। আপনারা সবাই হয়ত জানেন না যে আমাদের universe-এর সকল সদস্যই সঞ্চারণশীল।কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে, কিন্তু সূর্য কার চারিদিকে ঘোরে ? যেহেতু সূর্য নিজে এক্টি নক্ষত্র, সুতরাং তার্ও তো সঞ্চারণশীল হওয়া উচিৎ। ্যা ভাবছেন ঠিক তাই ! আমাদের সূর্য এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারপাশেই প্রদক্ষিণ করছে।আর যার কারনে আজ আমাদের এই পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে আছে।
জীবনে প্রথম যেদিন ব্ল্যাক্হোলের ছবি দেখেছিলাম, সত্যি-ই প্রচন্ড অবাক এবং ভয় দুটোই লেগেছিল। আমি মূলতঃ ছোটোবেলা থেকেই Astronomy-র উপর খুব আগ্রহী ছিলাম। তাই যখন Discovery Channel-এ Astronomy বিষয়ক কোন কিছু দেখাতো খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম।একদিন Discovery Channel-এর " How the universe works " show টি তে এই ব্ল্যাক্হোলের ছবি দেখলাম। ঠিক উপরের ছবিটির মতই ভয়ংকর ! ব্ল্যাক্হোল্ মূলতঃ কোন তারা-র মৃত অবস্থা।
আমাদের এই সৌরজগতে প্রায় বিলিয়ন খানেক তারকা আছে যাদের আয়তন সূর্যের চাইতে লক্ষ গুন বেশি। এই সব তারকার যখন জ্বালানী শেষ হয়ে যায়, তখন তাদের আর জ্বালানী দেয়ার ক্ষমতা না থাকার ফলে সে তার চারপাশ থেকে জ্বালানী টান্তে শুরু করে।বিজ্ঞানীদের মতে, এক্টি ব্ল্যাক্হোল্ মাত্র ১ সে.মি. যখন কিনা তার সৃষ্টি হয় ! কি অদ্ভুত ! আর সেই সৃষ্টি করে আমাদের মহাজগতে এক প্রলয়।
মাত্র কয়েক বিলিয়ন মিলি সেকেন্ডের মধ্য সৃষ্টি হওয়া এই ব্ল্যাক্হোল্ তার চারপাশের সব কিছু কে টেনে নিতে শুরু করে এবং যেহেতু এর আয়তন মাত্র ১ সে.মি. তাই তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত তার দুই পাশ দিয়ে গ্যাস আকারে বের করে দেয়, আর এই গ্যাস বের হওয়ার সময় প্রচন্ড চাপের কারনে যে বিষ্ফোরণ হয় তার নাম-ই Super Nova.
আর ঠিক এর পর-ই সৃষ্টি হয় এক প্রলয়ংকারীর।যার নাম ব্ল্যাক্হোল্।নিচের ছবি দুটি Super nova-র মাঝের ও পরের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি ব্ল্যাক্হোল্ রয়েছে।এবং আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে সূর্য মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারিদিকে ঘুরছে। আর যেহেতু ব্ল্যাক্হোলের আকর্ষণ শক্তি আমাদের মহাবিশ্বের যে কোন গ্রহ নক্ষত্র কে টেনে নিতে পারে সুতরাং সূর্যকে টেনে নেয়া এর পক্ষে কোন ব্যাপার-ই নয়। কারন সূর্যের চেয়ে , কয়েক লক্ষ কোটি গুন বড় নক্ষত্র এর শিকার হয়েছে। আর পৃথিবী তো কোন ছাড় !!!
সূত্র: এখান থেকে
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
মহাজাগতিক,
মহাশুন্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- গীতা সারাংশ
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment