সম্প্রতি ৭০ হাজার ব্যক্তির (অধিকাংশই নারী) ওপর পরিচালিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আটটি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে গবেষকরা একথা জানান।
ডেনমার্কের আরহুস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লারস রেনজমার্ক ও তার সহকর্মীদের পরিচালিত এ পর্যালোচনায় প্রাপ্ত তথ্য ক্লিনিক্যাল এনডোক্রিনোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ভিটামিন ডি বা এ জাতীয় পরীক্ষামূলক কোনো ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। কোনো কোনো গবেষণায় আবার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম দেওয়া হয় তাদের।
অংশগ্রহণকারীদের ওষুধের মাত্রায় তারতম্য ছিলো। তবে অধিকাংশ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দৈনিক ১০-২০ মিলিগ্রামের ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে বলা হয়। আর যাদের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছিলো তাদের ওষুধের মাত্রা ছিলো দৈনিক এক হাজার মিলিগ্রাম।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী ও ৭০ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে দৈনিক ১২শ’ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে বলা হয়।
এতে দেখা যায়, পরীক্ষামূলক ওষুধ গ্রহণকারীদের তুলনায় সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারীদের তিন বছরে মৃত্যুহার ৯ শতাংশ কমে গেছে।
প্রধান গবেষক রেনজমার্ক বলেন, “তিন বছরে মৃত্যুহার ৯ শতাংশ কমাটা খুব বড় বিষয় নয়। তবে আমার মতে, বয়ষ্ক জনগণের মৃত্যুহার ৯ শতাংশ কমাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
হাড় গঠনের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম খুব পরিচিত সাপ্লিমেন্ট। হাড় ক্ষয় রোগ অস্টিওপোরেসিস রোধে বয়ষ্ক নারীরা প্রায়ই এটা গ্রহণ করেন।
তবে এগুলোই যে মৃত্যুহার কমায়, গবেষণায় সরাসরি এমন কথা বলা হয়নি। বরং এসব সাপ্লিমেন্ট ক্যান্সার ঝুঁকি কমায়- এটা আর একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
রেনজমার্ক বলেন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এমন প্রমাণ রয়েছে। তবে তা নির্দিষ্ট নয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment