৩০ হাজার মাইল বেগে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ডের আঘাতের পরও প্রাণে বেঁচে গেলেন ১৪ বছর বয়সী জার্মান কিশোর গেরিট ব্ল্যাঙ্ক। মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ডটি মাটিতে পড়ার আগে আঘাত করে গেরিট ব্ল্যাঙ্কের হাতে। অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার হাতে রয়ে গেছে ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি ক্ষতচিহ্ন। খবর দি ডেইলি টেলিগ্রাফের।
গেরিট ব্ল্যাঙ্ক-এর ভাগ্যই বলতে হবে যে, উল্কাপিণ্ডটি ছিলো ছোট একটি মটর দানার সমান। কিন্তু ছোট এই উল্কাপিণ্ডটিই উড়িয়ে নিয়ে যায় ব্ল্যাঙ্ককে। এরপর মাটির গভীরে ঢুকে যায় মহাকাশ থেকে ৩০ হাজার মাইল বেগে ধেয়ে আসা উল্কাটি।
এ ব্যাপারে গেরিট ব্লাঙ্ক বলেন, ‘প্রথমে আমি শুধু একটা আলোর গোলককে আমার দিকে ধেয়ে আসতে দেখি। কিছু বুঝে ওঠবার আগেই সেটির আঘাতে উড়ে যাই আমি। আর উল্কাটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় এতো জোরে শব্দ হয়, যেন বজ্রপাত হলো।’
গেরিটকে আঘাত করা আলোর গোলকটি যে একটি উল্কাপিণ্ড, তা নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানীর ওয়াল্টার হোম্যান অবজারভেটরির পরিচালক অ্যানসগার কোর্টেম বলেন, ‘এটা একটা সত্যিকার উল্কাপিণ্ড। কিন্তু কোনো উল্কপিণ্ডের মহাকাশ থেকে ধেয়ে এসে মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা খুবই বিরল। বেশীরভাগ উল্কাপিণ্ডই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যায়। তার মধ্যে যে কয়টি টিকে থাকে, তার প্রতি ৭টির মধ্যে ৬টিই আছড়ে পড়ে সমুদ্রে।’
এখন ব্ল্যাঙ্কের ওপর ভাগ্যদেবীর যে সুদৃষ্টি রয়েছে তা বলতেই হবে। কারণ কোনো মানুষের উল্কার আঘাতের পরও প্রাণে বেঁচে যাবার সম্ভাবনা প্রতি ১০ লাখে মাত্র ১ বার। এর আগে উল্কাপিণ্ডের আঘাতের পর প্রাণে বেঁচে যাবার ঘটনা ঘটেছে একবারই- ১৯৫৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামায়।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment