এর মধ্যে বিভিন্ন শিল্পে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রিন্টার ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা প্লাস্টিক, কাঠ ও ধাতু ব্যবহার করে অলঙ্কার, পাদুকা এমনকি মানুষের হাড়ের বিকল্প উপাদানও প্রিন্ট করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিয়াং হাউ চকলেট প্রিন্টার বাজারে আনতে ‘চক এজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন।
গবেষক হাউ জানিয়েছেন, অন্যান্য থ্রিডি প্রিন্টারের প্রক্রিয়ার মতোই চকলেট প্রিন্টার কাজ করে। সাধারণ প্রিন্টার প্রথমে যেভাবে ছবি ব্যবহার করে কোনো উপাদান প্রিন্ট করে, সেভাবেই থ্রিডি প্রিন্টার ছবি ধরে বিভিন্ন স্তরে স্তরে চকলেট প্রিন্ট করতে থাকে। প্রিন্টারের সিরিঞ্জে যেভাবে কালি রাখতে হয়, সেভাবেই থ্রিডি প্রিন্টারের ক্ষেত্রে সিরিঞ্জের মধ্যে চকলেট তৈরির উপাদান সংরক্ষণ করতে হয়। এরপর প্রিন্ট করার কমান্ড দিলে প্রিন্টার থেকে বেরিয়ে আসে সুদৃশ্য চকলেট।
উল্লেখ্য, চকলেট প্রিন্টার ছাড়াও গবেষকেরা বর্তমানে ‘ফুড প্রিন্টার’ তৈরিতে কাজ করছেন। ২০১১ সালে অবশ্য ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা ‘ডিজিটাল চকোলেটিয়ার’ নামে একধরনের খাবার প্রিন্ট করা যায়—এমন প্রিন্টারের প্রোটোটাইপ দেখিয়েছিলেন।
0 comments:
Post a Comment