গত রোববার রাতে ইয়াঙ্গুনে এনএলডির প্রধান কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা যতটা না আমাদের বিজয়, তার চেয়ে অনেক বেশি দেশের জনগণের বিজয়। তারাই তো এ দেশে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এনএলডির দাবি, নির্বাচনে ৪৪ আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়েছে তারা। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে আরও ছয় দিন লাগতে পারে। এনএলডি বলেছে, সু চি তাঁর নির্বাচনী আসন কাহমুতে সহজ জয় পেয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনগুলোয় সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন সু চি। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
পার্লামেন্টে যাওয়ার পর সবাইকে এক করে পার্লামেন্টে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা হবে সু চির বড় দায়িত্ব। সু চি বলেছেন, ‘এটা হলো মিয়ানমারের নতুন যুগের সূচনা।
আমরা আশা করছি, যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তারা সবাই দেশে সত্যিকারের একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে একত্র হয়ে কাজ করবে।’
সু চির পরিকল্পনায় যা-ই থাকুক, এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে তাঁর সুম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে। কেননা, মিয়ানমারকে আজকের এ পর্যায়ে আনার জন্য দুজনকেই বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে।
মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি কঠিন পরীক্ষা ছিল রোববারের উপনির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেই ক্ষমতাসীনদের দাবি। ২০১০ সালের নির্বাচনে জয়ী যেসব পার্লামেন্ট সদস্য মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের শূন্য আসন পূরণ করতে ৪৫টি আসনে উপনির্বাচন হয়। ১৯৯০ সালের পর এবারই প্রথম এনএলডি কোনো নির্বাচনে অংশ নিল। এ ছাড়া আরও ১৬টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়।
এবার উপনির্বাচনে এনএলডি প্রায় সব আসনে জিতলেও পার্লামেন্টে জান্তা ও তাদের মিত্রদের কোনো সমস্যা হবে না। কেননা, ৬৬৪ আসনের পার্লামেন্টে তাঁদের বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইঙ্গিত দিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তারা মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে। বিবিসি ও এএফপি।
0 comments:
Post a Comment