পরশু করাচি বিমানবন্দরে শহীদ আফ্রিদি
ম্যান অব দ্য ফাইনাল আফ্রিদি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছিল, যেন আমরা ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি। দল হিসেবে বাংলাদেশ অনেক পরিণত হয়েছে। এমন একটা কঠিন ফাইনাল জেতার তৃপ্তিও কিন্তু অন্য রকম।’ সেই তৃপ্তি নিয়ে পরশু করাচি বিমানবন্দরে পা রেখেছেন আফ্রিদি। সেখানেই সাংবাদিকদের বলেছেন বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা।
বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়ার পেছনে বিপিএলের অবদান দেখছেন ওই টুর্নামেন্টে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে খেলা আফ্রিদি। তবে বাংলাদেশকে এখনই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর না তোলারও পরামর্শ দিয়েছেন, ‘বিপিএল একটা প্রভাব ফেলেছে। তাদের খেলোয়াড়েরা পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। আমিও মনে করি, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটকে যথাসম্ভব প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে হবে। আমরাও আইপিএল আর বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট থেকে শিক্ষা নিতে পারি।’
এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এখন পাকিস্তান। তার পরও আফ্রিদি মনে করেন, দলের উন্নতির অনেক জায়গা আছে, ‘আমাদের কয়েকটা জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে, আমাদের আরও নতুন খেলোয়াড় তুলে আনতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমাদের ক্রিকেট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব। যথাসম্ভব মানসম্পন্ন খেলোয়াড় তুলে আনতে আমাদের ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।’
টুর্নামেন্টে নিজের সেরা খেলাটা ফাইনালেই খেলেছেন আফ্রিদি। দলের বিপদের সময় ২২ বলে ৩২ রান করেছেন। ১০ ওভার বোলিং করে একটি উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন মাত্র ২৮। ‘যখনই ভালো বোলিং করি, দল জেতে—এটা আমাকে অন্য রকম তৃপ্তি দেয়। ফাইনালের আগে আমি আসলে ভালো করতে পারছিলাম না। নেটে কঠোর পরিশ্রম করেছি। ফাইনালে ভালো খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতায় আমি সত্যিই আনন্দিত’—বলেছেন এই অলরাউন্ডার।
এদিকে আফ্রিদির জয়ীর বেশে দেশে ফেরার আনন্দে কালি পড়েছে অহেতুক বিতর্কে। বিমানবন্দরে অটোগ্রাফশিকারিদের হুড়োহুড়িতে তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে আঘাত পেলে এক সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। ওই সমর্থককে কষে চড়ও মেরেছেন। অবশ্য পরে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই ৩২ বছর বয়সী। আর গুল রেহমান নামের ওই সমর্থক বলেছেন, যা হয়েছে তাতে আফ্রিদির কোনো দোষ নেই, ‘আফ্রিদির ও রকম রেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। কয়েক ডজন সমর্থক ওকে ঘিরে ধরেছিল, ওর মেয়ে আহতও হয়েছিল। এ ঘটনার পরও আমি তাঁকে ভালোবাসি, তিনি আমার ভাইয়ের মতো।’ ওয়েবসাইট।
0 comments:
Post a Comment