এ প্রসঙ্গে তৌকির আহমেদ বলেন, ‘এটা ঠিক যে প্রথম দিকে একসঙ্গে ব্যবসার জন্য আমার বোন ও তাঁর জামাই সৈয়দ আলী হায়দার আমাকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে আমরা চিন্তা করলাম, তাঁদের সঙ্গে আসলে ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। মূলত এটা সৈয়দ আলী হায়দারের মানসিকতার কারণে। তারপর আমার বোন যে টাকা দিয়েছিলেন, তা বিভিন্ন কিস্তিতে পুরোপুরিই আমি পরিশোধ করে দিয়েছি। এমনকি এগুলোর যথেষ্ট প্রমাণও আমার কাছে আছে। এখন নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্টে যে বিনিয়োগ রয়েছে, তা আমার নিজের পুঁজি ও ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা।’
তৌকির আহমেদ আরও বলেন, ‘১৯ মার্চে করা মামলায় আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর তাই আমাকে মানহানির মামলার আশ্রয় নিতে হলো।’
এদিকে তানজিন হায়দারের মামলা এবং এর কয়েক দিন পর তৌকির আহমেদের পাল্টা মামলা প্রসঙ্গে তৌকির আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব ভাই-বোন কিন্তু সমাজে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত। এ ধরনের একটি ঘটনার কারণে আমাদের পারিবারিক সুনামটাই নষ্ট হয়ে গেল।’
জানা গেছে, মামলায় মানহানির অভিযোগ এনে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তৌকির-বিপাশার আইনজীবী।
তৌকির আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু কয়েক দিন ধরে পারিবারিকভাবেই বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত সম্ভব না হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে হলো।’
উল্লেখ্য, তৌকির-বিপাশার বিরুদ্ধে তৌকিরের সুইডেনপ্রবাসী বোন তানজিন হায়দার ১৯ মার্চ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। সেদিন আদালত তানজিন হায়দারের জবানবন্দি নেন এবং তৌকির-বিপাশাকে আগামী ৪ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
এদিকে ১৯ মার্চ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে করা তৌকিরের সুইডেনপ্রবাসী বোন তানজিন হায়দারের মামলায় বলা হয়, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ‘নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার’ করার জন্য তৌকির ও বিপাশার সঙ্গে মিলে তাঁরা একটি কোম্পানি গঠন করেন। এ কোম্পানির চেয়ারম্যান হন তানজিনের স্বামী সৈয়দ আলী হায়দার আর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন তৌকির আহমেদ।
তানজিনের দাবি, এই রিসোর্ট নির্মাণের জন্য তিনি ও সৈয়দ আলী হায়দার মিলে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ব্যাংকের মাধ্যমে এক লাখ ৭৭ হাজার ৪৮২ মার্কিন ডলার তৌকিরকে হস্তান্তর করেন। কিন্তু তৌকির ও বিপাশা ওই অর্থ দিয়ে ‘প্রতারণামূলকভাবে’ নিজেদের নামে জমি কিনে নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট গড়েন।
0 comments:
Post a Comment