চলচ্চিত্র দেখার স্যাটোস্ফিয়ার
হ্যাঁ, কানাডার মন্ট্রিলে বিশেষভাবে তৈরি মিলনায়তনে স্যাটোস্ফিয়ারে (বৃত্তাকার পর্দা) চলচ্চিত্র দেখলে দর্শকের এমন অনুভূতিই হবে। এটি এত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যে দর্শক বিশেষ চশমা ছাড়াই ত্রিমাত্রিক ছবি দেখতে পাবে!
মন্ট্রিলের বিশেষ এই মিলনায়তনটি গম্বুজ আকৃতির। ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আকারের পর্দা। সেখানে দর্শক প্রজেক্টরের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানে ছবি দেখতে পাবে। সোসাইটি ফর আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এই মিলনায়তন ও পর্দার নকশা করেছে।
এই মিলনায়তনে পর্দাজুড়ে ছবির জন্য আটটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে আলো ফেলা হয়। শব্দের জন্য ব্যবহার করা হয় ১৫৭টি স্পিকার। এসবের সমন্বয়ে এমন আবহ তৈরি করা হয় যে দর্শক বিশ্বে প্রথমবারের মতো ত্রিমাত্রিক বিশেষ চশমা ছাড়াই সেই অনুভূতি পায়।
গত অক্টোবরে এখানে প্রথম প্রদর্শনী হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মনিক স্যাভয় বলেন, ‘মন্ট্রিলে ১৯৬৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইউনিভার্সাল এক্সপোজিশনস বেল প্যাভিলিয়নে যে বৃত্তাকার পর্দার ব্যবহার শুরু হয়, এর ধারাবাহিকতায় আজকের স্যাটোস্ফিয়ার। এর মধ্য দিয়ে আমরা আগামী শতাব্দীর জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা এমন সামর্থ্য অর্জন করেছি যে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বহুমাত্রিক দিক থেকে বিভিন্ন দৃশ্য দর্শককে দেখাতে পারি। এর মাধ্যমে দর্শকের মনে এমন অনুভূতি সৃষ্টি করা সম্ভব হয়, তারা যেন ওই দৃশ্যের মধ্যে প্রবেশ করেছে।’
মনিক স্যাভয় বলেন, এই প্রযুক্তি হাসপাতালেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ব্যবহারে বিশেষ রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এএফপি।prothom-alo
0 comments:
Post a Comment