গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় আকবর আলি খান এই মন্তব্য করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশন কাউন্সিল ঐক্য পরিষদ ওই আলোচনার আয়োজন করে।
আকবর আলি খান বলেন, এটা আসলে ঢাকাবাসী চায় কি না, সে বিষয়ে গণভোট নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘মনে হয় না, সরকার গণভোট নেওয়ার সাহস পাবে।’ সে ক্ষেত্রে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্পিকারকে দেওয়া; এটি অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে আদালতে যাওয়া এবং এসবে কাজ না হলে কর বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। এটা আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল না। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকার কমিশন করতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। রাতের আঁধারে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটার পক্ষে ভালো কোনো যুক্তি কেউ দিতে পারল না। তিনি বলেন, ‘মানুষ বাড়ছে বলে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করলে ভালো হবে—এমন একটা কথা বলা হয়েছে। একটাতেই টাকা নয়-ছয় হচ্ছে। দুটি করা হলে তো নয়শ-ছয়শ হয়ে যাবে।’
আকবর আলি খান মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক খরচ বেড়ে যাবে। সেই টাকা কে দেবে? দুটি করপোরেশনের মধ্যে ঠেলাঠেলি বাড়বে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করেন এই স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ঢাকা বিভক্তির চেয়ে বড় অবহেলা ও ষড়যন্ত্র ঢাকাকে নিয়ে হতে পারে না। তিনি প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় হরতাল ডাকার পরামর্শ দেন।
পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আলোচনায় অংশ নিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment