আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে শক্ত আইন পাস হয়েছে। নতুন ওই আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ছবিসহ পরিচয়পত্র (ফটো আইডি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর বিপত্তি দেখা দিয়েছে সেখানেই। এসব আইনের কারণে ভোটারদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেদের নাম নিবন্ধন করা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ইউরোপের দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রে ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। এ ছাড়া দেশটির অনেক প্রবীণ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং নিম্ন আয়ের ভোটারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ছবিযুক্ত অন্য কোনো পরিচয়পত্রও নেই। এসব ভোটাররা তাই পড়েছেন চরম বিপাকে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যে ভোটাররা ছবি ছাড়া ফরম জমা দিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদেরকে ব্যাংক থেকে দেওয়া একটি স্টেটমেন্ট (হিসাব বিবরণী) জমা দিতে হবে।
দেশটির রিপাবলিকান পার্টি ভোটদানের ক্ষেত্রে কঠোর আইনের পক্ষে। তাদের আশঙ্কা এবারের নির্বাচনে অনেক জাল ভোট পড়বে। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হার্মান কেইনও অভিযোগ করেছেন, যেসব মানবাধিকার সংগঠন ভোটদানের কড়াকড়ি আইনের বিরোধিতা করছে, তারা জাল ভোটারদের উত্সাহ দিচ্ছে।
ভোটদানের নতুন আইন দেশটির বেশির ভাগ নাগরিকের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যেখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, সেখানে নিশ্চিতভাবেই নির্বাচনের ফল নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যেমনটি দেখা দিয়েছিল ২০০০ সালের নির্বাচনে। সে সময় ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ডব্লিউ বুশ মাত্র ৫৩৭ ভোট বেশি পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোরের চেয়ে। আর ফলাফলটা সবারই জানা। মাত্র ৫৩৭ ভোটে জিতে হোয়াইট হাউসের চাবি পেয়েছিলেন বুশ।
0 comments:
Post a Comment