১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরেই গ্রিনউইচমান সময় আন্তজাতিক সময় নির্ধারণে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে নতুন করে রব উঠেছে, ‘সূর্যের চার দিকে পৃথিবীর আবর্তন'-এর ওপর নির্ভর না করে, অ্যাটমিক ক্লক' বা পরমাণু ঘড়ির সাহায্যেই সময় নির্ধারণের জন্য। আর এ লক্ষ্যেই ২০১২ সালের জানুয়ারীতে জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন নতুন সময় নির্ধারণ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের ভোট নেবে। ফলে, সেখানেই গ্রিনউইচমান সময়ের চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যের আবর্তনের চেয়ে পরমাণু ঘড়িই সময়ের অধিকতর সঠিক হিসেব দিয়ে থাকে। কিন্তু ১৯৭২ সালে 'কো-অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম' (ইউটিসি) নামে নতুন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়, যাতে পরমাণু ঘড়ি ব্যবহার করা হয় বটে; তবে সেটি আবার নির্দিষ্ট সময় পরপর জিএমটির সঙ্গে বাড়তি লিপ সেকেন্ড যোগ করে মিলিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে বাস্তবতা হলো, গোটা বিশ্বে জিপিএসসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক নির্ভর করে পরমাণু ঘড়ির ওপর। ফলে, জিপিএস-এর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে গেলে সমস্যা হয় জিপিএস সিস্টেমে ও মোবাইল নেটওয়ার্কে।
লন্ডনে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৫০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী লিপ সেকেন্ড সমন্বয়ের বিলুপ্তি এবং সময়মান পারমাণবিক ঘড়ি অনুসারে করার জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করবেন। এ প্রস্তাবনাটিই ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে জেনেভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে জিএমটি অবসরে যাবে কিনা।
এদিকে গ্রিনউইচমান সময় পাল্টানোর বিরোধিতা করছে বৃটেন। আর, গ্রিনউইচমান সময় পাল্টানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বৃটেনের পুরোনো প্রতিদ্বন্দী ফ্রান্স। প্যারিসের 'ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অফ ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস' (বিআইপিএম) নতুন সময় নির্ধারণের দাবী তুলেছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য বলছে, ফ্রান্স নিজের সুবিধার জন্যই গ্রিনউইচসময় মান পাল্টাতে চাইছে।
উল্লেখ্য, ১৮৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞানীদের এক সভায় যখন গ্রিনউইচ মিন টাইম নির্ধারণ করা হয় তখন ফ্রান্স প্যারিস মিন টাইম-এর দাবী তুলেছিল।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment