আইএলও’র গবেষণায় বলা হয়, নারীরা দিনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় কাজ করে। কর্মক্ষেত্র থেকে পরিবার—সবখানেই তাঁকে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। একবার পরিবার সামলানো তো আরেকবার কর্মক্ষেত্র বা অফিস। আবার পরক্ষণেই সামাজিকতা রক্ষার্থে নানাবিধ কর্মকান্ডে তাঁকে নিয়োজিত হতে দেখা যায়।
মোহালির গ্রিসিয়ান হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সীমা শর্মা বলেন, ‘গর্ভবতী নারীদের নিজেদের এবং তাদের শিশুর জন্য অধিক ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। তাঁদের খাবার সমৃদ্ধ হতে হবে, তা না হলে শিশুর শরীরের গঠন দুর্বল হয়ে পড়বে। ক্যালসিয়াম, সঠিক খাবার ও ভিটামিন ডি নারীদের হাড়ের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। কিন্তু বেশিরভাগ নারীই নিজেদের খাবারের দিকে নজর না দিয়ে পরিবারের অন্যদের খাবারের প্রতি নজরটা দেয় বেশি।’
ফর্টিজ হাসপাতালের চিকিত্সক স্বপ্না মিশ্র বলেন, ‘এখন নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে সমান কাজ করছে। পাশাপাশি স্ত্রী ও মা হিসেবে তাঁরা অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছেন। এতে করে নারীরা স্বাস্থ্যের দিকে থেকে একটু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।’
এ জন্য সংসারে নারী-পুরুষের ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন, যাতে নারীরা দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা নিজেদের জন্য ব্যয় করতে পারে এবং এ সময়ে তারা মনমতো যা করার ইচ্ছা তাই করতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, স্বামীরা পরিবারের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজে নারীদের একটু সাহায্য করলেই নারীদের কাজের বোঝা কমানো সম্ভব। আইএসটি।
0 comments:
Post a Comment