রাতের খাবারের পরপরই যাদের ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সকালে মুখের দুর্গন্ধের কারণে তাদের সঙ্গে কথাই বলা যায় না। দাঁত ব্রাশ না করে যদি সে ব্যক্তি মুখ খোলে তাহলে বেরিয়ে বাজে একটা গন্ধ। কারণ, রাতের খাবার হজম হওয়ার সময় অনেক উপাদান গ্যাস হয়ে আমাদের মুখ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার কারণে রাতভর মুখের ভেতর ওই জমে থাকা গ্যাস বের হতে পারে না। যার ফলে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ। কিন্তু রাতের খাবারের পর যদি এক গ্লাস দুধ খাওয়া যায়, তাহলে সকালে উঠে কথা বলতে গিয়ে আর বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। গত বছর এক গবেষণার পর ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই পরামর্শটি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিকভাবেই দুধের ভেতর এমন এক ধরনের উপাদান আছে, যা জমে থাকা গ্যাস এবং দুর্গন্ধকে কাটাতে সাহায্য করে।
শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, দূর করে মুখ এবং দেহের দুর্গন্ধ। নিউ ইয়র্কের ডার্মেটোলজিস্ট বলেছেন, ‘‘লেবুতে এক ধরনের এসিড আছে, যা শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানিকে দুর্গন্ধমুক্ত করে। এছাড়া এতে আছে ফাইবার। ফাইবার দেহের ক্ষতিকারক এসিডকে (যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী হিসেবে বিবেচিত) দেহের বাইরে বের করে দেয়।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘এটা এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক ডিওড্রেন্ট যা গায়ে লাগাতে হয় না। নিয়মিত সকালের নাস্তায় কিংবা খাবারের পর খেলেই চলে।’’
কথায় আছে বিষে বিষ কাটে। অনেকটা এমনই এটা দুর্গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গায়ের এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কোনো বডি বা মাউথ স্প্রে ব্যবহারের চেয়ে বেশি কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। কারণ, সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি এসিড ওমেগা-৩। এই ফ্যাটি এসিডও কাজ করে অনেকটা লেবুতে থাকা এসিডের মতোই।
খাবার সংরক্ষণের পাশাপাশি দেহের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এই আপেল সিডার ভিনেগার। বিশেষ করে মোজার দুর্গন্ধ। খাবারে আপেলের রসের সিরকা দেহের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াকে দমন করে। এছাড়াও, পা থেকে অনেক বেশি দুর্গন্ধ আসলে এক লিটার কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিযে তাতে পা ভিজিয়ে রাখলে গন্ধ চলে যাবে।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে চা এবং চাপাতা অনেক ভালো কাজ করে। যারা খুব বেশি এবং জলদি ঘেমে যায়, তারা নিয়মিত গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি পান করলে অতিরিক্ত ঘাম থেকে রেহাই পাবে। কারণ গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টিতে আছে ট্যানিক অ্যাসিড, যা শরীরের আর্দ্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি দেয়। আর ঘাম না হলে, দেহে দুর্গন্ধের সৃষ্টিও হয় না।
0 comments:
Post a Comment