সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
সব মানুষই বর্ণবাদী!
আজকের পৃথিবীতে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই।
অধিকাংশ মানুষের অবস্থান এর বিপক্ষে। কখনো কোথাও সামান্য বর্ণবাদী আচরণের
ঘটনা ঘটলে বিক্ষোভে রাস্তায় মানুষের নামা ঢলই এর প্রমাণ। তবু বিজ্ঞানীরা
বলছেন, প্রত্যেকটি মানুষই বর্ণবাদী। কেউ একজন
বর্ণবাদে বিশ্বাস করুক আর না করুক, বর্ণবাদ তার মধ্যে রয়েছেই। বর্ণবাদ
মানুষের মজ্জাগত। কারো মধ্যে কম, কারো মধ্যে বেশি। তবে গবেষকরা বলছেন, এ
জন্য মানুষকে দোষ দেওয়া যাবে না; এ জন্য দোষী হচ্ছে গণমাধ্যমগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের
জর্জিয়া টেকস স্কুল অব সাইকোলজির গবেষকরা সম্প্রতি একটি গবেষণা পরিচালনা
করেন। এতে বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে শব্দ তৈরি করতে বলা হয়। এ
ছাড়া কিছু শব্দ দিয়ে এর সঙ্গে মানানসই আরেকটি শব্দ বাছাই করে শব্দের জোড়া
তৈরি করতে বলা হয়। এসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অধিকাংশই ‘নিগ্রো’ শব্দের
সঙ্গে ‘সহিংসতা’, ‘অস্ত্র’ এসব শব্দের সম্পর্ক দেখিয়েছেন। এ ছাড়া ‘নারী’র
সঙ্গে ‘দুর্বল’, ‘বৃদ্ধ’র সঙ্গে ‘জ্ঞানী’ ইত্যাদি শব্দের সম্পর্ক দেখিয়েছেন
তাঁরা। যাঁরা বাস্তবে বর্ণবাদী নন কিংবা নিজেকে বর্ণবাদী নন বলে অন্তত
দাবি করেছেন, তাঁরাও একই কাজ করেছেন।
গবেষকদলের প্রধান পল ভারহেঘেন জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেক মানুষ কম-বেশি
বর্ণবাদী। বাস্তবে যারা বর্ণবাদে বিশ্বাস করে না, তাদের মধ্যেও কিছু
মাত্রায় বর্ণবাদ রয়েছে। এমন হতে পারে যে, অনেকেই সেটি বুঝতে পারে না। তবে এ
জন্য মানুষ নিজেরা দায়ী নয়। আমাদের গণমাধ্যম বেতার, টিভি, ইন্টারনেট এমনকি
বইপত্র-যা কিছুই আমরা আমাদের চারপাশে সব সময় দেখছি, পড়ছি সেগুলো এ জন্য
দায়ী। এসবে প্রতিনিয়ত বর্ণবাদী অনুষ্ঠান বা তথ্য-তত্ত্ব প্রচার ও প্রকাশ
করা হচ্ছে। কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। ফলে নিজের অজান্তেই
আমাদের অবচেতন মনে বর্ণবাদ ঢুকে যাচ্ছে।’ গবেষকরা
বলছেন, আমাদের চারপাশে আমরা যে ধরনের সংস্কৃতি দেখি সেটি থেকে আমরা ঠিক
সেভাবেই নিজেদের গড়ে নিই। তাই আমাদের চারপাশে কী ঘটছে, সেদিকে আমাদের আরো
বেশি মনোযোগী ও সতর্ক হতে হবে।
গবেষকরা
জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন খুব শিগগির ব্রিটিশ জার্নাল
অব সোশ্যাল সাইকোলজি নামের সাময়িকীতে প্রকাশ করা হবে।
সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
সারা বিশ্ব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- ঈর্ষা একটি ভয়ঙ্কর মানসিক রোগ
- The Biggest Water Cube Ever Seen!
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- ধরা পরলো তিন চোখা মাছ!
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে
- ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে মৃত্যু
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment