রোববার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাহপরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েতউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "স্বাস্থ্য খাতে এটি এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় নিয়োগ।"
পরীক্ষার ফল স্বাস্থ্য অধিপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) দেওয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিচয় যাচাই চলার কারণে ছয়শ ৫০ জনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
নির্বাচিতদের আগামী ৩০ অক্টোবর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হবে।
যে কোনো মোবাইল থেকে ৯৯৩৪ নম্বরে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে। এক্ষেত্রে misdghsRoll NoRoll No লিখে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়েও ফল পাওয়া যাবে।
সাড়ে ১৩ হাজার স্থায়ী কর্মীর জন্য প্রাথমিকভাবে মোট দুই লাখ আবেদন পড়ে। ১৫ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৩৯ হাজার ছয়শ' জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।
২ থেকে ১৮ এপ্রিল ওই মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা দেওয়া হবে।
বর্তমানে একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী সপ্তাহে তিনদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে যান।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্র"তিতে দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রতি ছয় হাজার পরিবারের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক করার কথা বলা হয়।
এ নিয়োগ গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় গতি আনবে মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পকে 'টেকসই' করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ থেমে ২০০১ সাল মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় এ প্রকল্প শুরু করা হয়েছিলো। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার এ প্রকল্পের প্রতি উদাসীনতা দেখায়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ প্রকল্প আবার প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করে।
১০ হাজার ৩২০টি ক্লিনিক এখন সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও আগামী জুলাই নাগাদ সাড়ে ১৩ হাজার ক্লিনিক 'পুরোদমে' সেবা প্রদান করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, "যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই সেখানে নিকটবর্তী হাসপাতালে কাজ করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।"
এছাড়া ওই সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ শুরু না করা পর্যন্ত কিছু ক্লিনিকে প্রয়োজনের দ্বিগুণ স্বাস্থ্যকর্মী দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
সিফায়েতউল্লাহ বলেন, "তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি সেবা ও অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।"
প্রশিক্ষণের মডিউলও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, "কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তারাও জড়িত থাকবেন।"
কমিউনিটি ক্লিনিককে স্থানীয় জনগণ যাতে নিজেদের মনে করে সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানকারীদের নিয়ে একটি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্র"প গঠন করা হবে।
সার্পোট গ্র"পের সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
0 comments:
Post a Comment