অপুষ্টি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এ রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশের জন্য নিউমোনিয়া দায়ী।
শনিবার রাজধানীতে এক কর্মশালায় ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, "সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ৪ পূরণের এটি প্রভাব ফেলতে পারে।"
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিপ্রেক্ষিত আয়োজিত এ কর্মশালায় জনসচেতনা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
"একজন সদস্যও নিউমোনিয়ায় ভোগেনি এমন পরিবার পাওয়া যাবে না দেশে," এ কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক রুহুল বলেন, "সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু।"
"অথচ শিশুকে জন্মের পর থেকে ছয় মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো, এরপর ঘরে তৈরি খাবার এবং প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া নিশ্চিত করা গেলে এ আক্রান্তের হার কমিয়ে আনা যায়।"
তার মতে, বুকের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করা গেলে নিউমোনিয়া আক্রান্তের হার ১৫ থেকে ২৩ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সাধারণ ঠাণ্ডার ক্ষেত্রে শিশুর কাশি এবং নাক দিয়ে সর্দি পড়ার প্রবণতা থাকবে উল্লেখ করে এ শিশু বিশেষজ্ঞ বলেন, "নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। এছাড়া বেশ জ্বরও থাকবে শরীরে।"
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এ রোগের বিষয়টি সরকারের গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অধ্যাপক রুহুল।
লক্ষ্য অর্জনে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৮-এ নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালে এ হার ছিলো ৬০।
নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি এর টিকা তৈরিতে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিন্স অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশনের (জিএভিআই) সহায়তা চান অনুষ্ঠানে উপস্থিত অণুজীববিজ্ঞানী ডা. সমীর কুমার সাহা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment