সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
মস্তিষ্ক সব সময়ই নীতিমান
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মানুষকে ইতিবাচক
থাকার পরামর্শ দেয় মস্তিষ্ক। চরম দুঃসময়েও দুশ্চিন্তা করতে মানা করে।
কুচিন্তাকে সহজে ধারণ করতে চায় না। সব সময়ই শুভ চিন্তা ও নৈতিক অবস্থান
নেয়। এভাবেই আশাবাদ অব্যাহত রেখে জীবনে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেয় মস্তিষ্ক। সম্প্রতি
এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের
একদল গবেষক বেশ কিছু মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে পাওয়া ফলের ভিত্তিতে এ
সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
‘নেচার
নিওরোসায়েন্স’ নামের একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে গবেষণাকর্মটি
প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ড. ট্যালি শ্যারোট। তিনি জানান,
মস্তিষ্ক সব সময় ভালো চিন্তা করে। মন্দ খবরের বদলে সারাক্ষণ ভবিষ্যতে কাজে
লাগার উপযোগী সুসংবাদ তৈরি করে। কুচিন্তার কারণে যদিও কিছু মানুষের মধ্যে
মন্দ আচরণ দেখা যায়, কিন্তু মস্তিষ্ক তাদেরও ভালো কাজ করার পরামর্শ দিয়ে
থাকে। তিনি বলেন, এ ধরনের আশাবাদ স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো ফল নিয়ে আসে। ওই
গবেষণায় বলা হয়, এ পৃথিবীর শতকরা আশি ভাগ মানুষই আশাবাদী, যদিও অনেকে
নিজেদের ক্ষেত্রে তা মনে করে না।
এ
গবেষণাকাজে ১৪ জন মানুষের আশাবাদের স্তর পরীক্ষা করা হয়। এ জন্য একটি
‘ব্রেইন স্ক্যানার’ দিয়ে তাঁদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়। প্রত্যেককে ৮০
ধরনের ‘খারাপ কাজে’র বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ করবেন কি
না কিংবা আপনার ক্যান্সার হবে কি না জাতীয় প্রশ্নও ছিল। তাঁরা বাস্তবতার
নিরিখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। এগুলোর মধ্যে কী কী নিজ জীবনে ঘটতে পারে
সেটাও ক্রম অনুসারে সাজাতে বলা হয় তাঁদের। পরে ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়,
সংবাদটি ভালো না খারাপ, সেটির ওপর তাঁদের আশাবাদের স্তরের সূচক ওঠানামা
করেছে।
ড. ট্যালি শ্যারোট বলেন, তাঁদের
সবাই মোটের ওপরে আশাবাদী ছিলেন। জীবনের বাস্তবতা যা-ই হোক না কেন, তাঁদের
৭০ ভাগই বিশ্বাস করেননি তাঁদের ক্যান্সার হতে পারে। তাঁর মতে, কোনো রোগীর
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যদি ৪০ ভাগ হয়, তো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর
আশাবাদী অবস্থান থেকে রোগী সে আশঙ্কাকে ৩১ ভাগে নামিয়ে আনে। আর যদি
রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ১০ ভাগ, তাহলে রোগী ভাবে_’সামান্য রোগা
হয়েছি, এটা তেমন কিছু নয়।’
প্রাপ্ত
সংবাদটি ভালো হলে সব মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগ সক্রিয় থাকে। আর খারাপ খবর
পেলে বেশির ভাগ আশাবাদী মানুষের মস্তিষ্কের সামনের অংশের কাজ কমে যায়।
নৈরাশ্যবাদীদের মাথার সামনের অংশ এ সময়ে দ্রুত কাজ করে। এ থেকে ধারণা পাওয়া
যায়, মস্তিষ্ক আসলে কী ধরনের খবর শুনতে চায় সেটা নিজে বাছাই করে।
ড.
শ্যারোট জানান, ধূমপানে মৃত্যু হতে পারে_এ ধরনের সংবাদ মানুষের মধ্যে খুব
বেশি প্রভাব না ফেলার কারণ হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষই ধরে নেয় তার নিজের
ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। উন্নত বিশ্বে
বিবাহবিচ্ছেদের হার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ হলেও এ ঘটনা তার ক্ষেত্রে হতে পারে
এটা বেশিরভাগ মানুষই ভাবতে চায় না। এসব ভাবনা না ভাবার মূল কারণ মস্তিষ্কের
স্পষ্টতই ভালো সংবাদের প্রতি পক্ষপাত। কারণ, খারাপ কিছুকে মস্তিষ্ক
অনুমোদন করতে চায় না।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির আরেক
স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. ক্রিস চেম্বার এই গবেষণা সম্পর্কে বলেন, ‘এটা খুবই
পরিকল্পিত ও রুচিশীল কাজ এবং খুবই আকর্ষণীয়। স্নায়ুবিজ্ঞান-সংক্রান্ত
গবেষণায় এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজের ধরন বিশ্লেষণে এই গবেষণা ভীষণ
কাজে দেবে।’
আশাবাদ আসলেই স্বাস্থ্যের
জন্য ভালো। প্রায় এক লাখ মহিলার ওপর এ-সংক্রান্ত পৃথক আরেকটি গবেষণায় দেখা
গেছে, তাঁদের বেশির ভাগই হৃদরোগ এবং সহসাই মৃত্যু না হওয়ার ব্যাপারে ভীষণ
আশাবাদী। এই আশাবাদ তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো কিছু করার প্রেরণা জোগাতে
সাহায্য করে।
সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment