লক্ষ্মৌর সুনহাইদা গ্রামে কাদা ও ইটের তৈরি ঘরে বাস করেন পিংকি। ওই গ্রামে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও সামাজিক কুসংস্কার সাধারণ মানুষকে জীবন ধারণে কঠোর সংগ্রামের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তা যেন বিশ্বের দারিদ্র্যপীড়িত কোটি কোটি মানুষেরই প্রতিচ্ছবি।
তবে পিংকির প্রত্যাশা, তাঁর সন্তান সেই সব ৩০০ কোটি মানুষের কাতারে শামিল হবে না, যাদের প্রতিদিনের মাথাপিছু আয় দুই মার্কিন ডলারের কম। তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমার অনাগত সন্তান পৃথিবীতে আসার পর জীবনে সফল হবে। তা সম্ভব করে তুলতে আমি আমার সবটুকু চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
কিছু জনসংখ্যাবিদের মতে, এই যুগান্তকারী এমন এক টালমাটাল ভবিষ্যতের আভাস দিচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন দেশে দ্রুত নগরায়ণ, পরিবেশ বিপর্যয় ও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সম্পদ ও চাকরির আকাশছোঁয়া দাবি পূরণে হিমশিম খেতে হবে মানুষকে।
আবার যেসব দেশে জনসংখ্যা সংকুচিত হয়ে আসছে বা মানুষ খুব বেশি নেই, তাদের কাছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচক। তাদের মতে, মানুষ বাড়লে কর্মশক্তি বাড়বে, বয়স্ক লোকদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার সহায়তা বাড়বে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক বাবাতুন্দে ওসোতিমেচিন বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে জনসংখ্যা দিন দিন কমছে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত লোকবলের জন্য যথেষ্ট মানুষের উপস্থিতি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, আবার বিশ্বের অনেক দেশেই জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এসব দেশ অভিবাসন, দারিদ্র্য, খাদ্যনিরাপত্তা, পানি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করছে। পিটিআই।
0 comments:
Post a Comment