নিউট্রন তারাকে বলা হয় পালসার যা ঘুরপাক খেতে খেতে পৃথিবীর দিকে রশ্মি বিকিরণ করে। নিউট্রন তারা হচ্ছে সেই তারা, যেটি সংকুচিত হতে হতে একটি চরম ঘনীভূত অবস্থাপ্রাপ্ত হয়। সাধারণত পালসার ঘূর্ণমান এমন এক নক্ষত্র, যা ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের সমান কিংবা ছোট শহরের মতন। এই নক্ষত্র থেকে বেতার তরঙ্গের মতো রশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে পৃথিবীর দিকে। নক্ষত্রটি যখন ঘোরে এবং বেতার রশ্মি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তখন টেলিস্কোপে নিয়মিতভাবে রেডিও স্পন্দন ধরা পড়ে।
ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার এবং অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গবেষক দল উল্লেখ করেছে, পৃথিবীতে রেডিও স্পন্দন পৌঁছার সময় শৃঙ্খলভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাঁরা বলেছেন, ছোট প্রতিবেশী গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এটা ঘটে থাকে। আর আবিষ্কৃত এই গ্রহটি যুগ্ম পদ্ধতিতে পালসারকে প্রদক্ষিণ করছে।
নতুন এই গ্রহটির অবস্থান চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে। গ্রহটির ঘনত্ব অন্য যেকোনো গ্রহের চেয়ে খুব বেশি এবং এখানে কার্বনের পরিমাণও খুব বেশি। এই বেশি ঘনত্বের কারণেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানকার কার্বনগুলো ‘ক্রিস্টালাইজড’ আকারে রয়েছে। আর এ কারণেই গ্রহটির এক বড় অংশজুড়ে হীরা থাকার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। যে কারণে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহটিকে বলছেন ‘ডায়মন্ড প্লানেট’ (হীরক গ্রহ)।
আকারে ছোট হলেও নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি বৃহস্পতির চেয়ে বড়। অধ্যাপক বেইলিস বলেছেন, গ্রহটির গভীর ঘনত্বই এর উৎ পত্তিসংক্রান্ত যোগসূত্রের ধারণা দেয়। এই ঘনত্বের অর্থ হলো, এখানে কার্বন ক্রিস্টালাইজ আকারে রয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, গ্রহটি একসময়কার বড় একটি নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশ। আর ওই নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষের অধিকাংশ পালসারের দিকে নির্গত হয়েছে।
গবেষক দলের সদস্য মাইকেল কেইথ বলেন, এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ কার্বন ও অক্সিজেন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মতো হালকা উপাদান দিয়ে তৈরি একটি নক্ষত্র এতটাই বড় যে, এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কক্ষপথ ঘুরে আসতে পারে না। এএনআই, রয়টার্স।prothom alo
0 comments:
Post a Comment