স্টেম সেল বা ভ্রুন কোষ ব্যবহার করে কৃত্রিম মাংস তৈরির ক্ষেত্রে মাত্রই ছয় মাস পিছিয়ে রয়েছেন গবেষকরা। মানব দেহ ব্যবহার করে বিভিন্ন কৃত্রিম খাবার তৈরির কাজটি সামনে এগিয়ে চলেছে। এ কাজে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছেন বেইজিং ইউনিভার্সিটি অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি-এর গবেষকরা। গবেষকরা মানুষের জিনে থাকা ডিএনএ ব্যবহার করে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ায় প্রচুর জিলেটিন তৈরি করতে সফল হয়েছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘মানুষের ডিএনএ ব্যবহার করে জিলেটিন তৈরির প্রক্রিয়াটি গবেষণা এবং শিল্পক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়িয়েছে।’
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ সাময়িকীতে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘পশুভিত্তিক উৎস থেকে পাওয়া জিলেটিন-এর বিকল্প হবে মানব দেহ থেকে তৈরি জিলেটিন যা বিভিন্ন খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।’ গবেষকরা এ খাবারকে বলছেন ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’। কারণ, এ ধরনের জেল ইতোমধ্যেই ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাপানের স্যাপ্পোরো মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ খাবারটিকে উপাদেয় বলে রায় দেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং উপকারীও বলছেন।
এদিকে, মানুষের মাংস খাবার এ বিষয়টি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হাস্টিং সেন্টার ফর বায়োএথিকস অ্যান্ড পাবলিক পলিসির গবেষক ড. গ্রেগরি কেবনিক বলেছেন, ‘নরখাদক হবার প্রশ্ন ওঠতে পারে এমনকি এটিকে অন্যভাবেও দেখা হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি আলাদা। পশু থেকে জেভাবে জিলেটিন আলাদা করা হয় মানুষেল ক্ষেত্রে সেভাবে আলাদা করা হবে না। এক্ষেত্রে মানুষের জিন থেকে ডিএনএ পৃথক করা হবে।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের দেহ থেকে তৈরি উপাদানের খাবারগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। এমনকি কেউই ধরতে পারবে না কি খাবার খাওয়া হচ্ছে।’
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment