সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
এসে গেল ‘মন পড়া’র যন্ত্র
একজন মানুষ যা দেখে,
সেটির প্রতিভাস আঁকে তার মনে। দর্শন ও শ্রবণযন্ত্রের সাহায্যেই মনের গহিনে
সেই ছবিটি আঁকা হয়ে যায়। সেই ছবিটি নিউরনের জটিল কোনো কোষে স্মৃতি হিসেবে
জমা হয়। সেই স্মৃতি ও ভাবনার মিশেলে পরবর্তী সময়ে তৈরি হয় তার কল্পনা।
মস্তিষ্কের বিষয়টাই মোটামুটি এমন। তাই চাইলেই একটা মানুষ কী ভাবছে সেটা ধরে
ফেলা সহজ নয়। এত দিন ধারণা ছিল সম্ভবও নয়।
সম্ভব যে হয়ে গেছে, সেটাও বলার সময় আসেনি। কিন্তু নাছোড়বান্দা বিজ্ঞানীরা
পিছু নিলে যন্ত্র-সভ্যতার উৎকর্ষের এই সময়ে সেটাও বা অধরা থাকবে কত কাল?
তাই এ বিষয়ে এরই মধ্যে গবেষণা হয়েছে বিস্তর। তথ্য-প্রমাণ সাক্ষ্য দিচ্ছে,
অগ্রগতি যা হয়েছে তা নেহাত সামান্য হলেও এর লক্ষণ বলছে খুব বেশি আর দেরি
নেই।
অতিসম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে
‘মাইন্ড রিডিং ডিভাইস’ নামের এক যন্ত্র। এ যন্ত্রের সাহায্যে আপনি এই
মুহূর্তে কী কী ছবি দেখছেন তার একটা আপাত ধারণা পাওয়া সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক বানিয়েছেন
যন্ত্রটি। তাঁরা যন্ত্রটির প্রাথমিক ক্ষমতা পরীক্ষা করেছেন এবং জনসমক্ষে এর
প্রমাণও দেখিয়েছেন। কয়েকজন ব্যক্তিকে প্রথমে ডিভাইসটি পরিয়ে হলিউডের
কয়েকটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র যেমন_মাদাগাস্কার-২, পিংক প্যানথার, স্টার
ট্রেকের কিছু অংশ দেখানো হয়। চলচ্চিত্রের চলমান ছবিগুলো দেখার সময় এমআরআই
স্ক্যানার তাদের মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ মাপতে থাকে। এরপর পর্দায় মস্তিষ্কের
দর্শন কেন্দ্রটি (ভিজ্যুয়াল সেন্টার) কিভাবে ছবিগুলো গ্রহণ করে তা সরাসরি
পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা এর ওপরে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এই
কম্পিউটার প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি কী দেখছেন তা
এটি অনুধাবন করতে পারে।
এরপর
বিজ্ঞানীরা তাঁদের একই চলচ্চিত্র থেকে অন্য কিছু অংশ দেখান। এই নির্বাচিত
অংশগুলো দেখার সময় ওই ব্যক্তিরা কী ধরনের ছবি দেখছেন কম্পিউটার
প্রোগ্রামটি তার ছবি সঙ্গে সঙ্গে দেখানো শুরু করে। পরে ইউটিউব থেকে আরো
কিছু ভিডিও দেখানো হয় তাঁদের। কম্পিউটার প্রোগ্রামটি সেগুলোরও ছবি (ইমেজ)
দেখানো শুরু করে। পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মানুষ যা দেখছে কম্পিউটার
প্রোগ্রামের তৈরি করা ছবিগুলোর সঙ্গে সেগুলোর অনেকাংশেরই মিল রয়েছে। তবে
এই সফটওয়্যারের দুর্বলতা হচ্ছে বেশির ভাগ ইমেজই এখনো অস্পষ্ট এবং দেখে
অনুমান করে নিতে হয়। বর্তমানে এই সফটওয়্যারে ১৮ মিলিয়ন সেকেন্ড ফুটেজ
সংযুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত এটির আরো সংস্কার করা হবে। এই উদ্ভাবনাকে
বিজ্ঞানীরা বলছেন আশাতীত অগ্রগতি। তাঁদের আশা, খুব দ্রুতই এ গবেষণার
কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে। যন্ত্রটি সঠিক এমনকি কাছাকাছি রিডিং দিতে পারলেও
মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত বা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পাওয়া যাবে। এ ধরনের রোগীরা কী ভাবছেন বা কী বলতে
চাইছেন বর্তমানে সেটা কোনোভাবেই জানা সম্ভব হচ্ছে না। এই যন্ত্র সেটির
কার্যকরী সমাধান হতে পারে। তবে এখনো এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
তবে এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনো দৃশ্য দেখে মস্তিষ্ক কী ধরনের প্রতিভাস তৈরি
করে তার একটা ধারণা পাওয়া গেলেও মন কিভাবে চিন্তা করে সেটার কূলকিনারা
এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক
সময়ে মস্তিষ্কের গতিবিধি পরিমাপ-সংক্রান্ত আরো চারটি গবেষণা হয়েছে। চলতি
বছরের মে মাসে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ‘মস্তিষ্কের পাঠানো
সংকেতের পাঠোদ্ধার’ করার দাবি করেন। এর আগো উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক দল
গবেষক দাবি করেন, ইলেকট্রোডের সাহায্যে মস্তিষ্কের ১০টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
সংকেতের পাঠোদ্ধার করে কম্পিউটারে ধারণ করেছেন তাঁরা। পঙ্গু রোগীদের
ক্ষেত্রে এই সংকেতগুলো ৯০ শতাংশ কার্যকরী ফল দিতে পারে। শব্দগুলো
হচ্ছে_’হ্যাঁ, না, গরম, ঠাণ্ডা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হ্যালো, গুডবাই, বেশি,
কম।’ কানাডার আরেক দল বিজ্ঞানী গত জুনে দাবি করেছেন, মস্তিষ্কে স্ক্যান করে
তাঁরা একটি কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এর মাধ্যমে একজন মানুষ কী
ধরনের শারীরিক ভঙ্গি করবে তার পূর্ব অনুমান দেবে তাঁদের যন্ত্রটি। অন্যদিকে
গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টয়োটা ঘোষণা দিয়েছে, সাইকেল চালনা খেলায় চালককে
সাহায্য করার জন্য তারা এমন একটি নিউরন হেলমেট তৈরি করার চেষ্টা করছে,
যেটির সাহায্যে ওই চালকের হৃদকম্পন, গতি এবং ছন্দ জানা যাবে এবং তাঁকে নানা
পরামর্শও দেওয়া যাবে।
সূত্র : টেলিগ্রাফ অনলাইন, ডেইলিমেইল অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment