একজন মানুষ দেখতে কেমন, তার গায়ের চামড়ার রং কী, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ না শ্বেতাঙ্গ_এসব বিবেচনা হয় পরে, আগে স্বাভাবিকভাবেই চোখে পড়ে তার পোশাকটি কী রকম। মূলত তার পরিধেয় পোশাক দেখেই তার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাটা তৈরি হয় অন্যজনের মনে। এক দেখাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লোকটি কেতাদুরস্ত নাকি সাধারণ, নাকি গেঁয়ো বা ‘খ্যাত’। ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা করার ক্ষেত্রে এই ‘লেবেল’ সেঁটে দেওয়াটা অনেকে সমর্থন নাও করতে পারে। কিন্তু সমীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে বিষয়টা। তাদের ধারণা, পোশাক মানুষকে ‘বর্ণান্ধ’ করে দেয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে চালানো ওই সমীক্ষা শেষে গবেষকরা জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তির গায়ের বর্ণ বা চেহারা যেমনই হোক না কেন পরিপাটি পোশাকেই মূলত তার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ফুটে ওঠে। গবেষকরা জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস্ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ণের ও আকৃতির নানা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।
টাফটস্ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের প্রধান গবেষক জনাথন বি ফ্রিম্যান জানান, একজন ব্যক্তির গায়ের রং কালো নাকি ফর্সা, সে বিষয়টি মুখ্য নয়। কিংবা ওই ব্যক্তিটি কতটা দামি ও রঙিন পোশাক পরল, তাও মুখ্য নয়। তিনি বলেন, একজন নায়ক বা নায়িকা তার কাজের ক্ষেত্রে নানা রঙের পোশাক পরে থাকে। তাদের নিজস্ব খ্যাতির কারণে তা হয়তো মানিয়ে যায়। কিন্তু তারাই যদি কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান বা পার্টিতে পরিপাটি না হয়ে অগোছাল থাকে, তবে তা ভক্তকুলকে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এমনিভাবে সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ক্ষেত্রেও তেমনটি প্রকাশ পায়। তাঁর মতে, একজন ব্যক্তি যখন পরিপাটি পোশাক পরে উপস্থাপিত হয়, তখন তার অনেক দুর্বলতাই ঢাকা পড়ে যায়। যেকোনো পরিবেশে সে সহজেই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। যে কারণে ব্যক্তির চেহারা ভালো কি মন্দ, সে খাটো কিংবা লম্বা সে বিষয়টি বিবেচ্য না হয়ে তার পরিপাটি দিকটিই সবার কাছে প্রাধান্য পায়। ব্যক্তিত্ববান হিসেবে সে সামাজিক মর্যাদা লাভ করে।
সূত্র : ডেইলি মেইল।
কালের কন্ঠ
0 comments:
Post a Comment