
সোমালিয়ার গভীর গুহার নিচে যেসব মাছ বসবাস করে, অন্ধকারে থাকতে থাকতে তাদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। তখন তাদের কাছে দিন বা রাতের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য থাকে না। যেহেতু দিন বা রাতের কোনো বিভেদই তাদের কাছে থাকে না, তখন কীভাবে তারা পারে নিজের জীবনযাত্রা সুন্দর ও সাবলীলভাবে পরিচালনা করতে। এটা বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল এক মহা রহস্য। অন্যান্য গভীর জলের মাছ সূর্যের আলো থাকা বা না থাকার ওপর ভিত্তি করে তাদের খাওয়া, ঘুম বা জেগে ওঠার সময়টা নির্ধারণ করে। কিন্তু যেসব মাছ এসব থেকে দূরে থাকে, তারা কী করে? বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, তাদের শরীরের ভেতরে এক ধরনের সময় নিয়ন্ত্রণকারী রয়েছে, যেটা ২৪ নয় বরং ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের শরীরের কার্যাবলির একটা চক্র তৈরি করে। এই শারীরবৃত্তীয় চক্র সম্পর্কে ধারণা বিজ্ঞানীদের আণবিক সঞ্চালন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। সোমালিয়ার গুহার এই মাছগুলো প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন বছর থেকে সূর্যের সংস্পর্শ পায়নি। তাই তারা এভাবেই তাদের জীবনযাত্রা নির্ধারণ করে নিয়েছে।