ঢাকায় চাকরিকালেও এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় একই রকম অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে চোরাচালানে জড়িত থাকার দায়ে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, বিমানের এ কর্মকর্তাকে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত রোববার আটক করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মহকুমা মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, গত রোববার রাতে বাংলাদেশ বিমানের দাপ্তরিক প্যাকেটে ভরে মোবাইল ফোনের ইলেকট্রনিকস চিপস নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আরিফুর রহমানকে শুল্ক কর্মকর্তারা আটক করেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা পণ্যের মূল্য ৪৬ লাখ ৩০ হাজার রুপি বলে শুল্ক কর্মকর্তারা জানান। এরপর গত সোমবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সূত্র জানায়, এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকা কিছুদিন ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করছিলেন বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর আরিফুর রহমান পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, দুই মাস ধরে তিনি এ ধরনের চোরাচালানে জড়িত যুক্ত রয়েছেন। তিনি ১৪ মাস আগে ঢাকা থেকে বিমানের কলকাতার কার্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।
এদিকে ঢাকায় বাংলাদেশ বিমানের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, এই আরিফুর রহমানকে ঢাকায় একাধিকবার চোরাচালানের অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মীরা আটক করেছিলেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বিমানের নিরাপত্তা শাখা তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও গঠন করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টা তাঁকে কলকাতায় অপারেশন ম্যানেজার পদে বদলি করা হয়। আর বিদেশে বদলিকে বাংলাদেশ বিমানে পুরস্কারমূলক বদলি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। Prothom alo
0 comments:
Post a Comment